পাতা:প্রবাসী (ত্রয়স্ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৫১১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শ্রাবণ হইতে দেখা যায় ষাহাতে কেবল তাহার স্বাভাবিক ছন্দবোধই পরিতৃপ্ত হয়। স্বতরাং শিশুগণ সব সময় শক্তির আধিক্যের জন্তই খেলা করে না। শক্তির আধিক্য শিশুদের ক্রীড়াপ্রবৃত্তি জাগাইতে সাহায্য করিলেও উহাকে ঠিক খেলার কারণ বলা যায় না। জাৰ্ম্মান দার্শনিক লাজারস-এর মতে আমাদের অবসন্ন মানসিক ও দৈহিক শক্তিগুলিকে বিশ্রাম ও আরাম দিবার . জন্যই.আমরা খেলা করি। এ-বিষয়ে কোনও সন্দেহ নাই যে, খেলা আমাদের অবসাদগ্ৰস্ত দেহ ও মনকে ফুৰ্ত্তি ও আনন্দ দান করে। কিন্তু সেই আনন্দ ও ফুৰ্ত্তি লাভের জন্যই খেলার আবশ্যকতা নাই । কালর্ণগ্রস ও বন্ডউইন-এর মতে শিশুর সহজাত সংস্কার ইষ্টতেই তাহার ক্রীড়াপৃহা জন্মে। ইহা ইতর প্রাণীদিগের মধ্যেও লক্ষিত হয়। বল্ডউইন ও গ্রস-এর মতে শিশুর ক্রীড়ার মধ্য দিয়াই তাহার ভবিষ্যৎ জীবনের কৰ্ম্ম করিবার শক্তি অর্জিত ও নিয়ন্ত্রিত হয়- ইহার দ্বারাই শিশুর দৈহিক ও মানসিক শক্তিগুলির উৎকর্ষ সাধিত হয়। কাল গ্রস-এর মতে পেলার সাহায্যে শিশুর অনিয়ন্ত্রিত শক্তি সুনিয়ম্বিত, ও জীবনের কার্য্যের উপযোগী হইয়া উঠে। শিশুর ভবিষ্যৎ জীবনে যে-সকল কাৰ্য্যে ব্ৰতী হইবে শৈশবে খেলার ছলে তাহাই নানাভাবে অভ্যাস করে। এই মত অন্ততঃ অনেকাংশেই সত্য বলিয়া মনে হয়। যত্নপূৰ্ব্বক লক্ষ্য করিলে দেখা যায় যে, শিশুর ক্রীড়ায় তাহার ভবিষ্যৎ জীবনের কর্মের আভাস সূচিত হয়। অনেকস্থলেই বালক ও বালিকাদিগের বিভিন্ন প্রকারের খেলায় অনুরাগ লক্ষিত হয়। বালকের সাধারণতঃ বল মাৰ্ব্বেল ইত্যাদি লইয়া ছুটাছুটি করিয়৷ খেলিতে ভালবাসে। খেলাঘরের গৃহস্থালীর কাজকর্শ্বে, পুতুলখেলায়, বালিকাদিগের অধিক আনন্দ ও আসক্তি দেখা যায়। এখানে রবীন্দ্রনাথের একটি কবিতার লাইন মনে পড়ে। জননী শিশুকে বলিতেছেন – ছিলি আমার পুতুল খেলায়, প্রভাতে শিবপূজার বেলায় তোরে আমি ভেঙেছি আর গড়েছি । পুতুল খেলার সময় বালিকার মধ্যে ভাবী জননীর রূপটিই প্রকাশ পায় । এইরূপে শিগুজীবনের প্রথম শিক্ষা খেলার মধ্য দিয়াই হুইয়া विi७्च नििक्षी: ८षंशब्रि चांबं 8ቁe থাকে । এইজন্য থেলাকে প্রকৃতির ধাত্রী (Nature's jolly old nurse) বলা হইয়াছে। ইহার মধ্য দিয়াই শিশু তাহার দৈহিক ও মানসিক শক্তিগুলির পরিচালনা ও উৎকর্ষসাধন করিতে শিক্ষা করে। খেলার মধ্যে শিশুর মন ষে-আনন্দ সংগ্রহ করে তাহা তাহার কার্য্যশিক্ষার সমস্ত কষ্টকে ভুলাইমা দেয়। এইজন্যই প্রকৃতির বিধান যে শিশুর প্রথম জীবনের সমস্ত কাজই খেলার মত। তাহার কাজের ও খেলার মধ্যে বিশেষ কোন পাখ্যকই দেখা যায় না। তাহার পর বয়োবুদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে শিশুর প্রয়োজনবোধ সজাগ হইয় উঠে। ক্রমে সে প্রয়োজনের বশবৰ্ত্তী হইয় কাজ করিতে শিথে । শিশুর দৈহিক ও মানসিক শক্তিগুলির যেরূপ ক্রমবিকাশ হয় তদনুযায়ী তাহার খেলারও প্রকারভেদ হটতে দেখা যায়। এইরূপেই প্রকৃতি খেলার মধ্য দিয়া শিশুর সহজ শিক্ষার বিপান করিয়াছেন। শিক্ষকের কাজ তাহাকেই ঠিক ভাবে নিয়মিত করH–শিক্ষার দ্বার শিশুমনের স্বাভাবিক ক্রমবিকাশকে বাধা না দিয়া সহজ করিয়া দেওয়া এবং তদন্ত রূপ আবেষ্টনী স্তষ্টি করিতে চেষ্টা কর । শিক্ষাক্ষেত্রে পেলার প্রয়োজনীয়ত। যাহার প্রথম প্রচার করিয়াছিলেন তাহাদের মধ্যে কিণ্ডারগার্টেম প্রণালীর প্রধৰ্ত্তক ফ্রোএবেলের নামই বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য ৷ পেল ঘে শিশুর আত্মপ্রকাশের একটি প্রক্লষ্ট উপায় এ সত্য তিনিই প্রথম আবিষ্কার করেন। আনন্দই যেন শিশুর সকল কাজের প্রেরণ হয় ইহাই তাহার অভিপ্রেত ছিল। র্তাহার মতে আনন্দ ব্যতীত শিশুর সহজ ও স্বাভাবিক আত্মবিকাশ সম্ভব নয়। ঐ বয়সে আনন্দই সকল কাজের প্রাণ। খেলার সাহায্যে শিশু আনন্দে কুড়ি হুষ্টতে ফুলের মত বিকশিত হইয় উঠে। ফ্রোএবেলই প্রথম শিশুর শিক্ষাপদ্ধতিতে খেলাকে এইরূপ উচ্চস্থান দেন । আমলে কুটিয়া ওঠ শুত্র সুৰ্য্যোদয়ে প্রভাতের কুসুমের মত । তিনি শিশুজীবনকে এই সহজ আনন্দেষ্ট ও স্বাভাবিক ভাবেই বিকশিত করিয়া তুলিতে চাহিয়াছিলেন। শিশুর coussos Masoto (voluntary attention) on to ষে-বিষয়ে তাহার স্বাভাবিক অনুরাগ থাকে না তাহাতে