পাতা:প্রবাসী (ত্রয়স্ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৫৩২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

থে প্রবাসী ; SOBG ‘Chandragupta was the grand-daughter of Ashoke," (চন্দ্রগুপ্ত অশোকের নাতনী ) । wife —'Aurangzeb imprisoned Chandragupta and ascended the throne of Delhi ( òawcars চন্দ্রগুপ্তকে কারারুদ্ধ করিয়া দিল্লীর সিংহাসন দখল করিয়াছিলেন ) । শঙ্কর বলিল, “বেশ, বেশ, আরও কিছু ? frafé l-'Akbar defeated Aurangzeb at the battle of Plassey in the year of our Lord 1957? ( আকবর ১৯৫৭ খৃষ্টাব্দে ঔরঙ্গজেবকে পলাশীর যুদ্ধে পরাজয় করিয়াছিলেন )। এই কথায় তাহারা হো হো করিয়া হাসিয়া উঠিল। আমিও দূর হইতে তাহাদের হাসিতে যোগ না দিয়া থাকিতে পারিলাম না। তাহাদের এই প্রকার পরিহাস শুনিয়া আমি মনে করিয়াছিলাম, আমার উপর তাহাদের রাগটা বোধ হয় পড়িয়াছে। কিন্তু শঙ্কর আমাকে ডাকিল না বা আমার সঙ্গে কথা কহিতে চেষ্টা করিল না, দেখিয়া আমি অন্ত দিকে চলিয়া গেলাম । পর দিন স্কুলের সময় বুকপোষ্টে আমার নামে একখানা বই আসিল । সেখানা উপন্যাস, সবে নুতন বাহির হইয়াছে, আমার ভগ্নীপতি আমার ভগিনীর জন্য পাঠাইয়াছেন । আমি বইখানা পাইয়াই তাহার প্যাকেট খুলিয়া ফেলিলাম। আমার পাশ্ববর্তী ছেলেদের হাতে হাতে বইখানা ঘুরিতে লাগিল । শঙ্করও সেই বইখানার দিকে সতৃষ্ণ নয়নে তাকাইয়া রহিল দেখিলাম, কিন্তু সে মুখ ফুটিয়া তাহ দেখিতে চাহিল না। ইহার অল্প ক্ষণ পরে স্কুলের ছুটি হইল এবং আমি সেই বইখানা লইয়া বাটি গেলাম । বাড়ি গিয়া আমি সে বইধানা দিদিকে না দিয়া, উহা আমার কাপড়ের মধ্যে লুকাইয় লইয়া বেড়াইতে বাহির হইলাম। সন্ধ্যা উত্তীর্ণ হইলে আমি শঙ্করদের বাড়ির পথে ফিরিলাম। তখন শঙ্করের বাড়ি ফিরিবার সময় হইয়াছিল। অল্প দূর আসিয়াছি, এমন সময় দেখিলাম শঙ্কর আসিতেছে। তাহাকে জ্যোৎস্নালোকে চিনিলাম। তখন মামি আমার গন্তব্য পথে যেন আপন মনে যাইতেছি, এই ভাব লখাইয় তাহার সম্মুখে আসিলাম। জামাকে দেখিয়া শঙ্কর লিল, ‘কে ও ৰিশোর না কি ? আমি বলিলাম। স্থা।' সে Řa ،سنسنستفٹ দাড়াইল না, আর কোন কথাও বলিল না, চলিতে লাগিল। আমি পশ্চাৎ ফিরিয়া তাহাকে বলিলাম, এই বইখানা আজ ডাকে এসেছিল, তুমি যদি পড়তে চাও তবে নিতে পার।" সে এই কথা শুনিয়া থমকিস্থা দাড়াইল, এবং বিক্রপের গসি হাসিয়া বলিল, “আজ যে বড় ভাব করতে এসেছ ? আমি নিতান্ত অপ্রস্তুত হইয়া ছল ছল নেত্রে বলিলাম, ‘কেন, আমি তোমার কি করেছি ? সে বলিল- “কর নাই ? সে দিন হেড মাষ্টারের কাছে আমাদিগকে অপমানিত করেছিল কে ?” আমি কাতর ভাবে বলিলাম, ‘ভাই, আমার কোন দোষ নাই। আমি তোমার বিরুদ্ধে তো কোন কথাই বলি নাই । তুমি অনর্থক আমার উপর রাগ করো না ? শঙ্কর আর কিছু না বলিয়া চলিয়া গেল। আমি অনেক কষ্টে আশ্রসম্বরণ করিয়া বাড়ি ফিরিলাম । - কিন্তু যেখানে বাঘের ভয় সেখানেই সন্ধ্যা হয়। আমি কতক দূর অগ্রসর হইয়া দেখিলাম, বিনয় তাহার দলবল সহ খেলার মাঠ হইতে ফিরিতেছে। আমি তাহাদের পাশ কাটাইয়া যাইতে চেষ্টা করিলাম, কিন্তু বিনয় আমাকে দেখিয়া ফেলিল এবং হাতছানি দিয়া কাছে ডাকিল । আমি সভয়ে তাহার দিকে অগ্রসর হইলাম। সে বলিল, “কি রে কিশোর, তুই যে আজকাল বড় বড় গুড বয়' হয়েছিস ? মাঠে খেলতে যাস্ না, আবার বই হাতে ক’রে বেড়াতে যাস ’ আমি কোন উত্তর না দিয়া চুপ করিয়া দাড়াইয়া রহিলাম। কিন্তু বিনম্ন ছাড়িবার পাত্র নহে। ওখানা কি বই দেখি, বলিয়া আমার হাত হইতে বইখানা টানিয়া লইল । তাহার সঙ্গী বিমল বলিল—‘এই বইটাইত আজ স্কুলে কিশোরের নামে ডাকে এসেছিল, কেমন না রে ? আমি 'হ বলিয়া দাড়াইয়া রহিলাম—বেশী কথা বলিলে পাছে ধরা পড়ি । বিনয় বইখানা নাড়িয়া-চাড়িয়া বলিল, “কিন্তু এই বই নিম্নে তুই আজ শঙ্করদের বাড়ির দিকে কেন গিয়েছিলি বল ত +—ওহে ! বুঝেছি, শঙ্করকে ঘুম দিয়ে খুণী করতে ? তাহার এই কথায় তাহার সঙ্গীরা উচ্চ হাস্ত করিয়া উঠিল। আমি যেন লজ্জায় মরিয়া গেলাম । -