পাতা:প্রবাসী (ত্রয়স্ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৫৪২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

স্মৃতি-পাথেয় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর একদিন কোন তুচ্ছ আলাপের ছিন্ন অবকাশে সে কোন অভাবনীয় স্মিত হাসে অন্যমন আত্মভোলা যৌবনেরে দিয়ে ঘন দোলা মুখে তব অকস্মাৎ প্রকাশিল কী অমৃতরেখা, কতু যার পাই নাই দেখা, ফুলভ সে প্রিয় অনিৰ্ব্বচনীয় । হে মহা অপরিচিত এক পলকের লাগি হয় সচকিত গভীর অন্তরতর প্রাণে কোনো দূর বনান্তের পথিকের গানে ; যে অপুৰ্ব্ব আসে ঘরে পথহারা মুহূর্তের তরে বৃষ্টিধারামুখরিত নির্জন প্রবাসে সন্ধ্যাবেলা যুথিকার সকরুণ স্নিগ্ধ গন্ধশ্বাসে, চিত্তে রেখে দিয়ে গেল চিরস্পর্শ স্বীয় তাহারি স্থলিত উত্তরীয় । সে বিস্মিত ক্ষণিকেরে পড়ে মনে কোনোদিন অকারণে ক্ষণে ক্ষণে শীতের মধ্যাহ্নকালে গোরুচরা শস্তরিক্ত মাঠে চেয়ে চেয়ে বেলা যবে কাটে । সঙ্গহারা সায়াহের অন্ধকারে সে স্মৃতির ছবি সূৰ্য্যাস্তের পার হতে বাজায় পুরব । পেয়েছি যে-সব ধন যার মূল্য আছে ফেলে যাই পাছে । সেই যার মূল্য নাই, জানবে না কেও, সঙ্গে থাকে অখ্যাত পাথেয় ॥