পাতা:প্রবাসী (ত্রয়স্ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৬৮৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

*88. কণাক্ষপে লোকচক্ষুর অন্তরালে রহিয়াছে, কে জানে একদিন এই বীজকণা হইতে শত শত শাখা-প্রশাখা বিস্তার করিয়া কত শত তপ্ত প্রাণকে ছায়া ও আশ্রয় দান করিবে না । রান্ত্রি ছারটায় স্বপ্তিতে শয়ন আশ্রমবাসীদের ঘন্টায় স্ট্রপ্রধাচী ; চলিয়াছেন। যে তাপসের তপ:ধারা ক্ষুদ্র আখখের বীজ SOBరి -- - سه - - ۰ नर्नेौउँौ८ब्र घाँवभवांगैौ णकरण जमटवष्ठ इहेछ। cखां८ब्रः শুকতারাষ্ণে গানে রাখিয়া প্রার্থনা করে— “ম স্বহং কামরে রাজা, মৰঙ্গম পুনৰ্ভৰৰঃ কাময়ে ছুঃখ তপ্তানাং প্রাণিনামাজিলাশমন ॥ আমি রাজ্য চাহি না, স্বৰ্গ চাহি না, পুনর্জন্ম চাহি না ডাকিতে থাকে—“ওঠ জাগ, ওঠ জাগ, ওঠ জাগ " সবরমতী আমি কেবল জীবগণের দুঃখ নাশ চাহিতেছি। هجيكجي-جيجيجمع جيجابيجه দেবাঃ ন জানন্তি শ্ৰীনিৰ্ম্মলকুমার রায় রেলগাড়ীতে কোথাও যাইতে হইলে আমার একটি নিয়ম আছে, একা থাকিলে আধ ঘণ্টা আর শ্ৰীমতী সঙ্গে থাকিলে ৪৫ মিনিট হাতে রাখিয়া বাহির হই। বন্ধু-বান্ধবেরা ঠাট। করিয়া বলেন, তোমার টিকিট কিনিতে হয় না ; প্রথম শ্রেণীতে যাত্রীর ভিড় নাই, এ তোমার নার্ভাস্নেস্; তুমি রেল অফিসারের যোগাই নও। রেল অফিসারের যোগ্য যে নই তাহা জানি ; টেনিস আসে না ; বাজি রাখিয়া তাস খেলিতে চাই না ; বোতলবাহিনীর আরাধনা করি না ; কথা বলিতে অশ্রাব্য ইংরেজী বুলি আওড়াই না ; এমন কি, ১৫ মিনিট প্লাটফমে পায়চারি করিয়া ছাড়িবার পর চলন্ত গাড়ীতে লাফ দিয়া উঠি না, মনের দুঃখ মনে চাপিয়া বলি, গাড়ী ছাড়িবার ১ ঘণ্টা আগে ক্টেশনে আসিলে কোন ক্ষতি নাই, কিন্তু এক মিনিট পরে আসিলে গাড়ী

  • ी७ध्रीं शृiश्च न] ।

কিউল প্যাসেঞ্জার ৯নং প্লাটফম হইতে ১১-৪১ মিনিটের সময় ছাড়ে ; হোটেল হইতে হাওড়া ষ্টেশনে যাইতে ১৫ মিনিট লাগে, ঘড়ি দেখিয়া ১০-৪০ মিনিটের সময় হোটেলের নীচে নামিলাম। জীমতীকে এই প্রতিজ্ঞ করাইয়া লইয়া আসিয়াছিলাম যে, কলিকাতাতে নিতান্ত প্রয়োজন ব্যতিরেকে কিছু কিনিতে পরিবে না। কিন্তু দেখিলাম, পালং শাক, উচ্ছে, আলু, মুগভাল, আম, লিচু, গোলাপজাম কিছুই বাদ পড়ে নাই, জানিতাম প্রতিবাদ করা বৃথা, কারণ ইহাদের মধ্যে কোনটাই বা নিতান্ত প্রয়োজনীয় সছে ? বেশী বেশী শাক ও উচ্ছে খাইতে ডাক্তার আমাকে উপদেশ দিয়াছে ; আলু মুগডাল ত জীবনযাত্রার পক্ষে একান্ত অপরিহার্ঘ্য ; আম, লিচু, গোলাপজাম প্রথম বাহ্যি হইয়াছে, না কিনিলে চলে কি ! তবু একটু বিরক্ত হইয়া জিজ্ঞাসা করিলাম, নিজের বিছানা বাক্স ইত্যাদিতে ট্যাক্সি বোঝাই হয়েছে, তারপর এতগুলি জিনিষ কোথায় ধরবে । তিনি উত্তর দেওয়া প্রয়োজমনে করিলেন না ; ড্রাইভারের পাশে, আমার পা ও কোলের উপর সব জিনিষ চাপাইয়া দিলেন । তিন দিন হোটেলে ছিলাম, ডাকাডাকি করিয়া, চেচাইয় এক গ্লাস জল পৰ্য্যস্ত পাই নাই। সমস্ত ঘরখানি তিন দিনে একবারও সন্মার্জিত হয় নাই ; দুই বেলা ঠাণ্ড ভাত ও লুচি গলাধঃকরণ করিয়াছি। কিন্তু যাইবার সময় দেখিলাম গেটের কাছে অন্ততঃ ছয় জন দাড়াইয়া আছে—দুইটি চাকর, ঠাকুর, দারোয়নযুগল ও ঝাড়ুদার, প্রতিজ্ঞা করিয়া ছিলাম এক পয়সাও বকৃশিস দিব না, আর কেনই বা দিব ? হোটেলে টাকা দিয়াছি আবার এই উপত্রব কেন ? কিন্তু সেলামের উপর সেলাম পড়িতে লাগিল । বাক্স বিছান বোঝাই করিবার অজুহাতে দুই চাকর ও দুই দারোয়ান মিলিয়া এমন অনাবশুক টানাটানি আরম্ভ করিল যে, পলাইতে পারিলে বাচি। মনি-ব্যাগটি খুলিয়া কয়েকটি আধুলি বাহির করিতে যাইব এমন সময় ক্রমতী হাত হইতে বাজপাখীর মত ছে। মারিয়া ব্যাগটি ছিনাইয়া লইজেন এবং এমন ভাবে জামায় দিকে চাছিলেন যেন মনে হইল কি একটা অপকৰ্ম্ম করিতে ৰাইতেছিলাম। সস্থানে জাবাত