পাতা:প্রবাসী (ত্রয়স্ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৭৫৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সবরমতী-আশ্রম-ভঙ্গ মহাত্মা গান্ধী সবরমতী আশ্রম স্থাপন করিয়াছিলেন, ভাঙিয়াও দিলেন তিনি। কয়েক বৎসর পূৰ্ব্বে, উহার উদ্দেগু তখনও সিদ্ধ হয় নাই বলিয়, তিনি উহার নাম দিয়াছিলেন উদ্যোগ-মন্দির। এই আশ্রমটির সহিত আমাদের বাহিবের যোগ ছিল না, ইহা আমরা একবার মাত্র দেখিয়াছিলাম। কিন্তু ইহার লক্ষ্যের সহিত আমাদের যোগ ছিল,—যদিও কায্যপ্রণালীর সহিত যোগ ছিল না । সেই জন্য, ইহার তিরোভাবে বিষাদ অনুভব করিতেছি । ইহার ঘরবাড়ি গাছপালা হয়ত থাকিবে । কিন্থ যাহাদিগকে ও যাহাদের নেতাকে লইয়া আশ্রম, তাহারা ও তাহাদের নেতা সেখানে আর থাকিবেন না ; এবং তাহারা সেখানে যে-ষে উদ্দেশ্যে যে-সব কাজ করিতেন, সেই সকল উদ্দেশ্যে সেই সব কাজ আর সেখানে হইবে না। মহাত্মাজী বলিয়াছেন, আশ্রমী যিনি যেখানে থাকিবেন, তিনি ও তাঁহাই আশ্রম হইবে। জড়ৈশ্বৰ্য্যের ও তাহার বৃহত্ত্বের সম্মানের দিনে মহাত্মা গান্ধী এখানে মানুষের আধ্যাত্মিক মহত্ত্বের প্রতিষ্ঠা করিবার চেষ্টা করিয়াছিলেন। ক্রমবর্ধমান ভোগলালসার প্রাদুর্ভাবের দিনে তিনি সংযম ও চারিত্রিক পবিত্রতার আদর্শ স্থাপিত করিবার চেষ্টা করিয়াছিলেন। কিন্তু তিনি আনন্দকে বাদ দেন নাই। পৃথিবীর প্রায় সমুদয় সভ্য দেশে এথন ধনিকদের অর্থে স্থাপিত কারখানার যন্ত্রপাতিই যেন প্রভু এবং শ্রমিকরা তাহদের দাস বা যন্ত্রপাতিরই একটা অঙ্গ। মহাত্মা গান্ধী ধনিকদের কারখানার কলের দাসত্ব মাছবের পক্ষে অপকারী জানিয়া, কলের বাহুল্যের ও জটিলতার এবং কারখানার পরিবর্তে সহজ সরল সামান্ত কলের সাহায্যে ঘরে ঘরে মাগুমের একস্থ wরকারী জিনিসগুলি উৎপাদনের পক্ষপাতী, এবং তাহার প্রবষ্টন জঙ্গ চরথায় সুতা কাট ও হাঙের তাতে তাহা ইষ্টঙে কাপড় বোন চালাইবার চেষ্টা করিয়া আসিতেছেন । এষ্ট প্রণালীস্তে কাজ হুষ্টলে মানুষের উপর কলের প্রভৃত্বের পরিবর্কে কলের উপর মানুষের স্বাভাবিক প্রভূত্ব রক্ষিত হয় ; অধিকক্ষ, হাজার হাজার শ্রমিকের দ্বার। বড় বড় কারখানায় বহুপরিমাণ পণাদ্রব্য উৎপাদন প্রথার দ্বার যে-সকল নৈতিক ও অন্তবিধ অমঙ্গল হঈমাঠে, তাহ নিবারিত হয়। গান্ধীজীর উদেঙ্গ ভাল। কিন্থ সেই উদ্দেশু, বৃহৎ ও জটিল যমপাতি সমন্বিত বড় বড় কারখান। হাজার হাজার শমিকের দ্বারা উন্নততর পদ্ধতি ও নিয়ম অন্তসালে চালাইয়া ও সিদ্ধ হুঙ্গতে পারে কি না, তাহার স্বতন্থ আলোচনা হক্টভে পারে । প্রত্যেক দেশে সেঙ্গ দেশের মাহুষদেরষ্ট কৰুত্ব রক্ষিঙ বা পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হওয়৷ আযা ও মঙ্গলকর রাষ্ট্ৰীয় আদর্শ । এই আদর্শ ভারতবর্মে প্রতিষ্ঠিত করিতে ইষ্টলে একাগ্র প্রযত্নের আবশ্বক। সেঙ্গ প্রযg র্যাহার করিবেন, এরূপ কৰ্ম্মী প্রস্তুত করা এবং কৰ্ম্মী প্রস্তুত হইলে তাহাদিগকে সেট প্রযত্নে প্রবৃত্ত কর, গান্ধীজার আশ্রমের অন্যতম লক্ষ্য ছিল । এষ্ট প্রযত্ন কোন পথ ধরিয়া করিতে হুইবে, সে-বিষয়ে মতভেদ আগেও ছিল, এখনও আছে। কিন্তু প্রত্যেক দেশে সেষ্ট দেশের মাহুষদেরষ্ট করুত্ব রক্ষা বা পুনঃপ্রতিষ্ঠা যে বাঞ্ছনীয়, এ-বিষয়ে স্বাঞ্জাতিকদের কোন মতভেদ থাকিতে পারে না। কথিত হুষ্টয়াছে, যে, ষ্টণ্ডিপেণ্ডেন্স অর্থাৎ স্বাধীনতা, অনধীনতা ব৷ পূর্ণস্বরাজ অপেক্ষ ইন্টারডিপেণ্ডেন্স অর্থাৎ পরস্পরনির্ভরশীলতা বড় আদর্শ। সত্য , কিন্তু পূর্ণস্বরাজের সহিত পরম্পরনির্ভরশীলতার কোন একান্ত বিরোধ নাই, বরং পূর্ণস্বরাজ না থাকিলে প্রকৃত পরস্পরনির্ভরশীলতা থাকিতে পারে না। একট দৃষ্টান্ত লউন। ফ্রান্স ও ব্রিটেনের মধ্যে