পাতা:প্রবাসী (ত্রয়স্ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৭৮৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তারপরে সেদিনকার বালক যখন যৌবনের প্রৌঢ়বিভাগে তখন বালকদের শিক্ষার তপোবন তাকে দূরে খুজতে হবে কেন ? আমি পিতাকে গিয়ে জানালেম শান্তিনিকেতন এখন প্রায় শূন্ত অবস্থায়, সেখানে যদি একটি আদর্শ বিদ্যালয় স্থাপন করতে পারি তা হলে তাকে সার্থকতা দেওয়া হয়। তিনি তখনই উৎসাহের সঙ্গে সন্মতি দিলেন। বাধা ছিল আমার আত্মীয়দের দিক থেকে। পাছে শাস্তিনিকেতনের প্রকৃতির পরিবর্তন ঘটে যায় এক্ট ছিল তাদের আশঙ্কা । এপনকার কালের জোয়ার জলে নানাদিক থেকে ভাবের পরিবর্তন আবর্ভ রচনা করে আসবে না এ আশা করা যায় না- যদি তার থেকে এড়াবার ইচ্ছা করি তা হ’লে আদর্শকে বিশুদ্ধ রাখতে গিয়ে তাকে নিৰ্জ্জীব করে রাখতে হয়। গাছপাল জীবজন্তু প্রভৃতি প্রাণবান বস্তুমাত্রেরই মধ্যে একই সময়ে বিকৃতি ও সংস্কৃতি চলতেই থাকে, এই বৈপরীত্যের ক্রিয়াকে অত্যন্ত ভয় করতে গেলে প্রাণের সঙ্গে ব্যবহার বন্ধ রাগতে হয়। এই তর্ক নিয়ে আমার সঙ্কল্পগাধনে কিছুদিন প্রবলভাবেই ব্যাঘাত চলেছিল । এই তো বাইরের বাধা । অপর দিকে আমার আর্থিক সঙ্গতি নিতান্ত সামান্ত ছিদ্ধ, আর বিদ্যালয়ের বিধিব্যবস্থা সম্বন্ধে অভিজ্ঞতা ছিলই না । সাধ্য-মত কিছু কিছু আয়োজন করছি আর এই কথা নিয়ে আমার আলাপ এগোচ্চে নান লোকের সঙ্গে। এমনি অগোচরভাবে ভিৎপত্তন চলছিল। কিন্তু বিদ্যালয়ের কাজে শাস্তিনিকেতন আশ্রমকে তপন আমার অধিকারে পেয়েছিলেম । এষ্ট সময়ে একটি তরুশ যুবকের সঙ্গে আমার আলাপ হ’ল, তাকে বালক বললেক্ট হয়। বোধ করি আঠারো পেরিয়ে সে উনিশে পড়েছে । তার নাম সতীশচন্দ্র রায়, কলেজে পড়ে, বি-এ ক্লাসে । তার বন্ধু অজিতকুমার চক্রবর্তী সতীশের লেখা কবিতার পাত কিছুদিন পূর্বে আমার হাতে দিয়ে গিয়েছিল। পড়ে দেখে আমার সন্দেহমাত্র ছিল না যে, এই ছেলেটির প্রতিভা আছে, কেবলমাত্র লেখবার ক্ষমতা নয়। কিছুদিন পরে বন্ধুকে সঙ্গে নিয়ে সতীশ এলেন আমার কাছে । শাস্ত নম্র, স্বল্পভাষী, cनोगान्ड, cनाथ मन चख्हें भाझ्डे श्छ। नउँौभरक भाबि শক্তিশালী বলে জেনেছিলেম বলেই তার রচনায় যেখানে শৈখিলা দেখেছি স্পষ্ট করে নির্দেশ করতে সঙ্কোচ বোধ जाअथ-विछाजरकन चूकत्रा করিনি। বিশেষভাবে ছন্দ নিয়ে তার লেখার প্রত্যেক लोहेन १८ब्र आभि चाळणांक्रम करब्रहि । अजिङ श्राभञ्चि কঠোর বিচারে বিচলিত হয়েছিল কিন্তু সতীশ সহজেই শ্রদ্ধাঙ্গ সঙ্গে স্বীকার করে নিতে পারলে। অল্প দিনেষ্ট সতীশের ৰে পরিচয় পাওয়া গেল আমাকে তা ধিস্মিত করেছিল। যেমন গভীর তেমনি বিস্তৃত ছিল তার সাহুিভারসের অভিজ্ঞতা । ব্রাউনিঙের কবিতা সে যে-রকম করে আয়ুগত করেছিল এমন দেখা যায় না । শেক্সপীয়রের রচনায় যেমন ছিল তার অধিকার তেমনি আনন্দ । আমার এই বিশ্বাস দৃঢ় ছিল যে, সতীশের কাব্যরচনায় একটা বলিষ্ঠ নাট্যপ্রকৃতির বিকাশ দেখ দেবে, এবং সেট দিক থেকে সে একটা সম্পূর্ণ নতুন পথের প্রবর্তন করবে বাংলা-সাহিত্যে । তার স্বভাবে একটি দুলৰ্ভ লক্ষণ দেখেছি, যদিও তার বয়স কাচ তবু নিজের রচনার পরে তার অন্ধ আসক্তি ছিল না । সেগুলিকে আপনার থেকে বাইরে রেখে সে দেখতে পারত, এক নিৰ্ম্মমভাবে সেগুলিকে বাক্টরে ফেলে দেওয়া তার পক্ষে ছিল সহজ। তাঙ্গ তার সেদিনকার লেগার কোনো চিহ্ন তানতিকাল পরেও আমি দেখিনি। এর থেকে স্পষ্ট বোঝা ধেত তার কবি-স্বভাবের যে বৈশিষ্ট্য ছিল তাকে বলা যেতে পারে বহিরাপ্রয়িতা (objectivity) । বিশ্লেষণ ও ধারণাশক্তি তার যথেষ্ট ছিল কিন্তু স্বভাবের ধে পরিচয় আমাকে তার দিকে অত্যন্ত আকর্ষণ করেছিল, সে তার মনের স্পর্শচেতনা। যে-জগতে সে জন্মেছিল তার কোথাপ্ত ছিল না তার ঔদাসীপ্ত । একই কালে ভোগের দ্বারা এবং ভ্যাগের দ্বার! সৰ্ব্বত্র আপন অধিকার প্রসারিত করবার শক্তি নিয়েই সে এসেছিল । তার অনুরাগ ছিল আনন্দ ছিল নানাদিকে ব্যাপক কিন্তু তার আসক্তি ছিল না । মনে আচে সামি তাকে একদিন বলেছিলেম, তুমি কবি ভধুঙ্গরি, এষ্ট পৃপিনীতে তুমি রাঙ্গ এবং তুমি সপ্ল্যাসী । সে-সময়ে আমার মনের মধ্যে নিয়ত ছিল শান্তিনিকেতন আশ্রমের সংকল্পনা । জামার নতুন-পাওয়া বালক-বন্ধুর गरक बामाग्न ८नले आशाण झन्छ। छात्र चाउक्कि शानमृद्रि७ সমস্তটাকে সে দেখতে পেত প্রত্যক্ষ। উত্তক্ষের যে উপাখ্যানটি সে লিখেছিল তাতে সেই ছবিটিকে সে জাতে চেষ্টা করেছে।