পাতা:প্রবাসী (ত্রয়স্ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৮৭৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ব্যবসায়-ক্ষেত্রে বাঙালী ীিনলিনীরঞ্জন সরকার সদর অতীতে বাংলার ব্যবসায়ী সম্প্রদায় দেশে বিদেশে, এমন কি দুস্তর সমুদ্র অতিক্রম করিয়াও একদা যে বাণিজ্য১ মুদ্ধি বিস্তার করিয়াছিলেন, তাছা এপন কেবলমাত্র ঐতিহাসিক খাপায়িকায় পরিণত হইয়াছে। বিগত শতাব্দীতে তাঙ্গাদের ব্যবসায়িক উদ্যম ক্রমশঃ সঙ্কুচিত হইয়৷ বৰ্ত্তমানে এমন গিন্ন ইষ্টয়া পড়িয়াছে যে, অতীত গৌরবের তুলনায় আজ বাঙালীপরিচালিত ব্যবসাহুষ্ঠানের বর্তমান অবস্থাকে পরম মৰ্ম্মস্থদ ললিয়| মনে হয়। কলকারখানার আবিষ্কার এবং প্রতিষ্ঠার পরে উনবিংশ শতাব্দীতে পৃথিবীর রাণিজ্য-সম্পর্কে যে আমূল পরিবর্তনের স্বচনা হয়, তাহার ঢেউ বাংলায়ও আসিয়া পৌছিয়াছিল সন্দেহ নাই কিন্তু তাহার কতটুকু সুবিধা আমরা আয়ন্ত করিতে পারিয়াছি ? বাংলার প্রধান শিল্প চট কল, চ-বাগান, কয়লার পনি—আমরা যে দিকেই তাকাঙ্গ না কেন, প্রথমাবস্থায় তাহার সমস্তই বিদেশীয়গণের উদ্যোগে প্রতিষ্ঠা লাভ করিয়াছে। এই বিদেশীয়গণের অতুসরণ করিয়া বাঙালী কোন কোন ক্ষেত্রে শিল্প প্রতিষ্ঠায় উদ্যোগী হুষ্টয়াছেন বটে, কিন্তু বাংলার সমগ্র শিল্পসম্পদের তুলনায় তাহ অতি সামান্য বলিতে হুইবে । ব্যবসায়-ক্ষেত্রে বাঙালীর বর্তমান অবস্থ। আরও ষ্টান. এস্থলে কেবল ইংরেজ বণিক নয়, ভারতের বিভিন্ন প্রদেশের ম-বাঙালী ব্যবসায়িগণ গু ক্রমশঃ বাঙালী ব্যবসায়ীদিগকে স্থানচু্যত করিয়াছেন। অন্যান্ত প্রদেশে ইহার বিপরীত অবস্থা দেপিতে পাওয়া যায় । ইংরেজ সেখানে কোন কোন বিষয়ে প্রধান ব্যবসায়ী হুইলেও সকল প্রকার ব্যবসায় প্রধানত: দেশলাসীর হাতে। আমাদের ঔদাসীন্তে এবং অল্পদ্যমের ফলে আমাদের নিজের ঘরে কেবল ইংরেজ নয়, অবাঙালীও ব্যবসায় বিস্তার করিয়া ধনাগমের সুবিধা করিয়া লইয়াছে। অর্থাগমের দিক দিয়া দেখিলে পাটের ব্যবসায় বাংলার সর্বশ্রেষ্ঠ। উক্তার অক্টবগিজা, বিদেশী রপ্তানী এবং যান্ত্রিক উপায়ে বস্থাদি প্রস্বত-করণ-সকল ক্ষেত্রেই বাঙালীর স্থান আজ অতি সঙ্কীর্ণ। যে অস্তবাণিজ্যে বাঙালী তথাপি মৃৎকিঞ্চিং স্থান অধিকার করিয়াছিলেন তাহাও আঞ্জ লুপ্তপ্রায় । কলিকাতায় হাটখোল অঞ্চলে যে সকল সমৃদ্ধ পাটবাবসায়ীর নাম সুপরিচিত ছিল, তাহাশের সাপ। ইদানী একেবারে মুষ্টিমের হয়ে পড়িয়ছে। বাঙালী পাট ব্যবসায়ী বলিনে অতঃপর ফড়িয, ল্যাপারী এবং কতিপয় আড়তদার মন্ত্ৰ বুঝাইবে । বাংলার লবণ এবং চামড়ার বাবধায় সম্পূর্ণ অ-বাঙালী দ্বার! পরিচালিত, ধানচালের লাবসায়ও ক্রমশঃ বাঙালীর হাত হটতে সরিয়া মাড়োমারী ব্যবসায়ীগণের হাতে পড়িয়ছে, তামাক বাবলায়ের নিরক্ষা এখন সুদুর বম্ম মূলুঞ্চ হুইঙে মাগত দালাল। এমন কি কমলার ব্যবসায়েণ্ড এখন লাঙালীর স্থান আশঙ্কাজনক হইয়া পড়িয়াছে। বাংলায় উৎপন্ন ৮ ফসলের বিক্রয়-ব্যবস্থা করিতেছে কতিপয় ইংরেজ ব্যবসায়ী, চায়ের উৎপাদন কাৰ্য্যও মূখ্যতঃ ইংরেজ ব্যবসায়ীর হাতে । বাঙালী যাহু! করিতেছে তাহ৷ অতি সামান্য মাত্র । পে ব্যাঙ্ক বালল-বাণিজ্যের প্রধান সঙ্গয় বাংলায় ভাe আজ সম্পূর্ণরূপে ইংরেজ এল বিদেশী পরিচালিত । ਬਾਂ প্রতিষ্ঠান যে দুই-একটি আছে, তাহাও অবাঙালী । জীবন-বীমা ব্যবসায়ের গতি ও ঐরূপ ছিল । হম ইংরেজ, নতুবা অবাঙাল্লা কোম্পানী বঙ্গদেশে এ ব্যবসায়ের একচ্চত্র অধিকারী ছিল, মাত্র বিগত কয়েক লংসরের মধ্যে বাঙালী এক্ষেত্রে উহুর্যেক্তর প্রতিষ্ঠা লাভ করিতেছে । বাংলার ক্ষেন্তোৎপন্ন এবং অন্যান্য পণ্যসস্থারের দালালি ব্যবসায়, যাহা পর্কে বাঙালীরষ্ঠ হাতে ছিল, মাঞ্জ তাহু। ইংরেজ এবং অবাঙালীর একচেটিয়া। একশ্চেষ্ট, লবণ, পাট শস্য প্রভৃতির দালালগণের মধ্যে বাঙালীর স্থান শৃগুপ্রায় । বাংলায় বিদেশ হহঁতে আমদানী এবং সেক্ট সকল দেশে রপ্তানীর পরিমাণ বিপুল, কিন্তু আমদানী-রপ্তানীর ব্যকলায় প্রায় সকল ऋनझे झेशzब्रटछब्र चाब्रडाथैौन । अबा€ाणैौe चरनाक cनস্থান অধিকার করিয়াছেন, বাঙালী একেবারে নাট ৰদিলেও,