পাতা:প্রবাসী (ত্রয়স্ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৮৮০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

o 2-1: l ; উন আর একটি দন্ড হইতে আপনার বিতেপানে ভারত গবৰ্ণমেন্ট প্রতি বৎসর রেলওয়ে সেতু গৃহাদি নিৰ্ম্মাণের জন্ত বহুবালাপেক্ষ যে-সকল কষ্ট ষ্টি দিয়া থাকেন, তাহা বর্তমানে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই বোম্বাই বা পঞ্জাব প্রদেশের কটাক্টারগণ পাই থাকেন। সেকালে এরূপ ছিল না। ঈষ্ট ইণ্ডিয়ান রেলওয়ে ইত্যাদি নিৰ্ম্মাণে স্বৰ্গীয় নীলকমল মিত্র প্রমুখ অনেক বাঙালীই বহু ধনাগম করিয়াছিলেন। ব্যক্তিগত ভাবে বাংলার কন্টাক্টরগণের যথেষ্ট সঙ্গতি এবং উদ্যোগ নাই বলিয়া তাহারা অনেক সময় এই প্রকার বড় বড় কষ্ট ষ্টি সংগ্ৰহ করিতে পারেন না। দৃষ্টান্ত স্বরূপ ভারতের রাজধানী নয়া দিল্লী শহর গঠনের কথা উল্লেখ করা যাইতে পারে। এই মহানগরীর সংস্থাপন করিতে কোটী কোটা টাকা ব্যয় হুইয়াছে, কিন্তু পরিতাপ এই যে, বাঙালী কপ্টাক্টর এই বিরাট নগরগঠনে কেবল রাস্তার দুই ধারে গ্যাসবাতির থাম সরবরাহের স্থযোগ পাইয়াছেন মাত্র। আমার মনে হয়, যদি ইহার -একতাবদ্ধ হন এবং সঙ্ঘবদ্ধভাবে কার্ধ্য উদ্যোগী হন, তাহা হইলে বড় বড় কণ্টাক্টের অংশ পরিমাণ আমরাও লাভ করিতে পারি। চীফ কন্টেলারের সহিত আলোচনার ফলে বাংলার মফঃস্বল ব্যবসায়শিল্পে সংহতির অভাবে যে এক গুরুতর সমস্যা রহিয়াছে তাহ বিশেষ করিয়া আমাদের চক্ষুর সম্মুখে •উপস্থিত হইয়াছে। বাংলার ব্যবসায়ী ও শিল্পিগণ সঙ্ঘবদ্ধ ন হইলে আমাদের চেম্বারের পক্ষ হইতে তাহদের সহায়ত করা মুকঠিন হইয়া উঠিবে। এ সম্বন্ধে আরও একটি বিষয় প্রণিধান করা কর্তব্য। বিশ্বশক্তির প্রভাবে বহুদেশে বহুভাবে ব্যবসায়শিল্পের বিপৰ্য্যয় ঘটিতেছে। স্ববিধা অপেক্ষা অন্ধবিধা ক্রমশঃ বাড়িয়া চলিয়াছে। কিন্তু সমস্যা সমাধানের জন্ত সকলেই সচেষ্ট। তাহার স্বদেশ এবং বিদেশের সকল তথ্য সম্পূর্ণরূপে জানে, জানি না কেবল আমরাই। তবে সঙ্ঘবদ্ধ হইয়া সমবেত চেষ্টা করিতে পারিলে আমদের পথ পরিষ্কার হইবেই সন্ত্বে নাই। - মফঃস্বলের ব্যবসায়িগণের পক্ষেও এই যে কথা বলা যাইতে পারে তাং পূর্ববর্ণিত কুশিদ ব্যবসায়ীর ব্যাপার হইতে উপলব্ধি হইবে। মফঃস্বলের ব্যবসায় ক্ষেত্রেও SునOBO বে রপ্তানি; বাণিজ্যের সহিত সাক্ষাৎভাবে- সম্বন্ধ রহিয়াছে এমন নয়। কোন কোন ব্যবসায় হয়ত কেবল একটি জেলাতেই কেন্দ্র করিয়া পরিচালিত হইতেছে। আবার কোন ব্যবসায় হয়ত একাধিক জেলার মধ্যে সন্নিবদ্ধ রহিয়াছে } কিন্তু এই প্রকার ব্যবসায়ের পক্ষেও বিশ্ববাণিজ্য সম্বন্ধে উদাসীন থাকিলে চলিবে না। এই প্রকার কত ব্যবসায় যে আমদানী বাণিজ্যের দ্বারা বিপৰ্য্যস্ত হুইয়া পড়িয়াছে, তাহার বিস্তারিত আলোচনা এ ক্ষেত্রে সম্ভব নয়। ফরিদপুরের ব্যবসায় সম্বন্ধে আলোচনা করিয়া আমি জানিতে পারিয়াছি যে, ঐ অঞ্চলের প্রধান ব্যবসায়িক পণ্যগুলি সমস্তই বহির্বাণিজ্যের সহিত ঘনিষ্ঠ ভাবে সংশ্লিষ্ট। সৰ্ব্বপ্রধান পণ্য পাট যে মুখ্যতঃ বহির্বাণিজ্যের উপর নির্ভরশীল সে-বিষয়ে আলোচনা নিম্প্রয়োজন। আমি অমুসন্ধান করিয়া জানিতে পারিয়াছি যে, ঐ জেলার বাঙালী পাটব্যবসামীর সংখ্যা ক্রমশঃই হ্রাস পাইতেছে। ফরিদপুরের স্বায় ব্যবসায় কেন্দ্রে বাঙালীর প্রচেষ্টায় পাটের গাইট বাধিবার জন্য আজ পর্যন্ত একটিও প্রেস প্রতিষ্ঠিত হয় নাই, ইহা পরম পরিতাপের বিষয়। ফরিদপুরের উৎপন্ন ধনিয়াও দেশে বিদেশে রপ্তানি হইতেছে, রগুন ব্যবসায়ও এখন ফরিদপুরের একটি প্রধান ব্যবসায় বলিয়া বিবেচিত হয়। প্রতি বৎসর ফরিদপুর হইতে বহু পরিমাণ রপ্তন স্বদুর ব্রহ্মদেশে রপ্তানি হয়। এই দুইটি ব্যবসায় যাহাতে স্বপরিচালিত হয় ও স্থায়িত্ব লাভ করিতে পারে সে-বিষয়ে সতর্ক হইতে হইবে। এই রগুনের ব্যবসায় উপলক্ষ্য করিয়াই আমার বক্তব্য বুঝাইতে চেষ্টা করিব। আমার বিশ্বাস ফরিদপুরের রগুন যে ত্রন্ধে বিক্রয় হয় সে-বিষয়ে ফরিদপুরের রগুন ব্যবসায়ী কোন খোজই রাখেন না এবং রাখাও প্রয়োজন মনে করেন না। উৎপন্ন জিনিষ বিক্রয় হইলেই হইল। কেন এবং কোথায় বিক্রয় হয়; আবার অকস্মাখ একদিন কেন যে বিক্রয় বন্ধ হইয়া যায় তাহা আমরা বুঝিতেই পারি না—ভাবি অদৃষ্টের খেলা। আসল কথা অন্তান্ত দেশ ত ইতিমধ্যে বসিয়া থাকে নাই—তাহারাও রপ্তন উৎপন্ন করে। তাহাদের দেশের গবর্ণমেণ্ট তাহাদের সহায়—সরকারী বিভাগের সাহায্যে অথবা নিজেরাই বৈজ্ঞানিকের সাহায্যে তাহারা কৃষিবিদ্যায় উৎকৰ্ষ লাভ করে। পৃথিবীর কোথায় রগুনের চাহিদা আছে দেশবিদেশ হইতে সে খোজ লয় – সে দেশের লোক কিরূপ রগুনই বা পছন্দ করে তাহাও জানিয়৷