পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/১৫৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

లిy অবলোকিতেশ্বৰ বোধিসত্ত্ব ভাবে সঙ্গায়ক হইয়া উঠিয়াছিল । বারাণসীর মূৰ্ত্তি পৰ্য্যবেক্ষণ করিয়া শিল্প-সমালোচকগণ মৃত্তির দেহতত্বের কয়েকটি উল্লেখযোগ্য সাধারণ সত্য আবিষ্কার করিতে পারিবেন। দ্বিতীয় প্রশ্নটির উত্তর দেওয়ার পূৰ্ব্বে এস্থলে ৰক্তব্য এই যে শিল্পসম্বন্ধীয় আকারের ( types ) বৈশিষ্ট্যের উৎপত্তি মলতঃ শিল্পীর পারিপার্শিক অবস্থার বৈশিষ্ট্য হইতে উৎপত্তি লাভ করে । “স্থানীয় বর্ণ” ( Local colour ) প্রবাসী—বৈশাখ, ১৩৩০ ২৩শ ভাগ, ১ম খণ্ড AMAMAMAMMMMAMMAM AAMMAMAMAAAA শিল্পের নানাবিভাগকৈ প্রভাবান্বিত করিয়াছে। বিশেষভাবে ভাস্কর্য্যের মধ্যে ইহার প্রভাব লক্ষ্য করা যায়। কারণ তাহাতে বলিতে গেলে বিশিষ্ট আকারের জাতি এবং ব্যক্তির চিত্র পাষাণে ফুটিয়া উঠে। এই “স্থানীয় বর্ণ ” হইতে নানা শিল্পপদ্ধতির মৌলিক বিভিন্নতার উৎপত্তি হইয়াছে। ভাস্কর আত্মপ্রকাশ-দমনে অসমর্থ হইয়া অধিকাংশক্ষেত্রে অলক্ষিতে নিজকেই খোদিত করিয়া বসে – তাহার ব্যক্তিত্ব তপন তাহার জাতির মধ্যে আপনাকে হারাইয়। ফেলে। তাই আমরা দেখিতে পাই যে বাঙ্গালীর শ্ৰীকৃষ্ণমৃত্তি একটি মান্দ্রাস্ত্রী অথবা মহারাষ্ট্রীয় শিল্পীর হাতে গড় শ্ৰীকৃষ্ণমূৰ্ত্তি হইতে অত্যম্ভ বিভিন্ন। শারীরিক আকৃতি, দেহের গঠন, মুখের গঠন, বিস্তারের অনুপাতে উচ্চত, কেশের বিন্যাস, অলঙ্কার ও বেশ ইত্যাদি, স্থানীয় ভাস্কর্ষ্যের বৈশিষ্ট্য দান করে। ভিন্ন ভিন্ন স্থানীয় লোকের বৈশিষ্ট্য সম্বন্ধেও একথা বলা চলে । প্রাচ্যবিদ্যাবিশারদগণ গান্ধার-শিল্পের একটি পদ্ধতি, মথুরাশিল্পের পদ্ধতি, অমরাবতী শিল্পের পদ্ধতি, মাগপশিল্পের পদ্ধতি ইত্যাদি আবিষ্কার করিয়াছেন। কিন্তু কি হইতে এইসকল বিভিন্ন পদ্ধতির উৎপত্তি ? তাঙ্গাদের বৈশিষ্ট্যেরই বা কারণ কি ? আমার মনে হয় এসকল ভাস্কর্য্যশিল্পীগণ যে জাতির মধ্যে বাস করিত তাহাদেরই আকার প্রকার হইতে বিশিষ্টত লাভ করিয়াছে। দ্বিতীয় প্রশ্নের উত্তর আরও স্পষ্ট । আজিও সীমান্ত প্রদেশের লোকদের দৈহিক গঠন এবং পরিচ্ছদ হইতে মথুরার অধিবাসীগণের তথা পূৰ্ব্বদেশীয় অধিবাসীগণের দেহ-গঠন ও পরিচ্ছদের বিভিন্নতা সহজেই লক্ষ্য করা যায়। গান্ধার দেশ অথবা বর্তমান কান্দাহারের অধিবাসীগণ বিশিষ্টভাবে দীর্ঘাকৃতি দীর্ঘকরোটিবিশিষ্ট, প্রশস্তবক্ষঃ উন্নতপেশী উন্নতনাসা দীর্ঘকেশ, পরিধানে আলুলায়িত ও কুঞ্চিত পরিচ্ছদ । অবিকল এইসকল বিষয় আমরা তথাকথিত গান্ধারপদ্ধতির ভাঙ্গর্যো দেখিতে পাই। নিম্নপ্রদেশ মথুরাঅঞ্চলের অধিবাসীগণ সীমান্ত প্রদেশের লোকের ন্যায় তাদৃশ পেশীবহুল দেহু ধারণ করে না। কিন্তু তাঙ্গদেরও দীর্ঘ চাদের দেহ আছে, নাতিবহুল পেশী