পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৪২৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রবাসী—আধাঢ়, ১৩৩০ ২৩শ ভাগ, ১ম খণ্ড SM eS eS ee ee eMS MS AA M MAM AAAA AAAA AAA AAAAS AAAAA AAA AAAeMS AM M eM MM SeeS eSeS SeeM Ae eM eA AeM eAeeAeMSAAAAAA AAAAS AAAAA AAAA AAAASAASAASAASAASAASAASAMMSAAAAAAS AAAAA AAAAM ASASASAS A SAS A SAS SSAS SSMSS లిషిశ్రీ কলকাতায় এসেছিলুম, তাই সেইসঙ্গে একবার তোদের বাড়ীটাও ঘুরে গেলুম . . কিন্তু কোথায় বসি বল্‌ দেখি ?” সুনীতি তাড়াতাড়ি একখানা চেয়ার এগিয়ে দিলে । হরিহর মাথা নেড়ে হাসতে হাস্তে বললেন, “দূর পাগলী, ওতে আড়ষ্ট হ’য়ে বস। কি আমার পোষায় ! একবার আমি অন্তমনস্ক হ’য়ে চেয়ারে বসে দুলতে দুলতে ধুপ্‌ ক’রে পড়ে গিয়েছিলুম, সেই থেকে চেয়ারে বসা ছেড়ে দিয়েচি ! বাঙালীর ছেলে, দিব্যি আসনপিড়ি হ’য়ে বস্ব, তবেই না বলি আরাম ! যা, যা,—একখানা আসন এনে পেতে দে !” এমন সময়ে রতনের হাত ধ’রে টানতে টানতে স্থমিত্র ঘরের ভিতরে ঢুকে বললে, “মা, রতনবাবু কেমন গান গাইতে পারেন শোনো, উনি লজ্জায় আসতে চাইচেন না, আমি জোর ক’রে ধীরে—” বলতে বলতে হরিহরকে দেখে সে থেমে পড়ল । জ্ঞান হয়ে পৰ্য্যন্ত দাদামশাইকে সে দেখেনি। সেন-গিল্পী সঙ্কুচিত ভাবে বললেন, “বাবা, এটি আমার ছোট মেয়ে—সেই ছোট-বেলায় একে আপনি একবার দেখেছিলেন --- -- স্বমি, ইনি তোর দাদামশাই, প্ৰণাম কর।” সুমিত্র থতমত খেয়ে হরিহরকে দুইহাত তুলে ছোট একটি প্রণাম কবুলে । হরিহর এই একেলৈ প্ৰণামে যে খুসি হলেন না তা বলা বাহুল্য । তার উপরে সুমিত্রার পোষাক আর পায়ের জুতোর দিকে দৃষ্টিপাত ক’রে তিনি আরো অপ্রসন্ন হয়ে উঠলেন। মেয়ের দিকে মুখ ফিরিয়ে বললেন, "জায়, তোরা যে একেবারে খৃষ্টান হ’য়ে উঠেচিস্ দেখচি ! মেয়ের পায়ে জুতো, আবার জুতো পরেই ঘরের ভেতরে ঢোকে ! ছি, ছি !” - সেন-গিল্পী মুখ নামিয়ে বললেন, “বাবা, ওরা যে কলেজে পড়ে, সেখানে সবাই জুতো পরে।” হরিহর আরো চটে বললেন, “কেন, মেয়েদের কলেজে পড়বার দরকার কি ? ওরা কি কেরাণী হবে, সাটােল খুলবে ?" স্বমিত্রা বেশীক্ষণ অগ্রস্তুত থাকবার পাত্রী নয়। চট্ ক’রে পায়ের জুতো খুলে ফেলে, হরিহরের একখানি হাত ধ’রে কাচুমাচ মুখে বললে, “তুমি রাগ কোরো না দাদামশাই, এই দেখ আমি জুতো খুলে ফেলেচি!” তার কাতর চোখদুটির দিকে হরিহর খানিকক্ষণ অবাক হ’য়ে তাকিয়ে রইলেন, দেখতে দেখতে র্তার রাগের ঝাঝট ক’মে এল । আস্তে আস্তে বললেন, “আচ্ছা নাতনী, আমি খুব খুসি হয়েচি ... ...এ ছেলেটি কে অন্না ?” ব'লে তিনি রতনের দিকে চাইলেন । রতনের সামনে আসল নাম ধ’রে ডাকার জন্তে সেনগিল্পীর ভারি লজ্জা হচ্ছিল । কিন্তু ভয়ে কোন আপত্তি করতেও পারলেন না । এর মধ্যে স্বনীতি একখানি আসন এনে পেতে দিলে । তার উপরে বসে হরিহর আবার বললেন, “আল্লা, এ ছেলেটি কে ? একে তো কখনো দেখিনি ! বিনয়ের কেউ হবে বুঝি ?” সেন-গিল্পী বললেন, “না, উনি স্থমিত্রার মাষ্টার, ছবি তাক শেখান ।” মাষ্টার । তা হ’লে বাইরের লোক ! অথচ অত-বড় সোমৰ্ত্ত মেয়ে সুমিত্র। কিনা একেই হাত ধ’রে টানতে টানতে বাড়ীর অন্দরে নিয়ে এল ! হরিহরের মনে মনে আবার একটা রাগের ঝটুকী ব’য়ে গেল। খানিকক্ষণ গুম্‌ হয়ে থেকে তিনি বললেন, “দেখ আন্না, সৰ্ব্বদাই মনে রেখ যে, তুমি হিন্দুর মেয়ে। আমাদের এ সীতা-সাবিত্রীর দেশে বিবিআনাটা ভালো নয়। তোমার মেয়েদুটির বয়স হয়েচে, কিন্তু এখনো তাদের মাথায় সিঁদুর নেই দেখে আমার মনটা ছাৎ ছাং কবৃচে ! দিনে দিনে তোমরা হ’লে কি ?” - সেন-গিন্নী বললেন, “কি করব বাবা, ওঁর অমতে আমি তো কিছু করতে পারিনে ?” হরিহর বললেন, “তোমার সোমৰ্ত্ত মেয়েরা অবাধে পরপুরুষের সঙ্গে মেশামেশি করে, তাও আমি বেশ বুঝতে পরিচি। আমার চোথে এ দৃশ্ব অসহ ।” সেন-গিল্পী ও রতন, দুজনেরই বুঝতে দেরি হ’ল না, হরিহর পরপুরুষ বলচেন কাকে ! সেন গিল্পী মাথা ষ্টেট