পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৬০৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৪র্থ সংখ্যা ) হইবে, এই ধারণ বিনষ্ট হওয়া চাই। সঙ্গে সঙ্গে বালিকাদিগকে স্বশিক্ষিতা করিয়া, প্রাপ্তবয়স্ক হইলে তাহারা যাহাতে আত্মনির্ভরশীল হইতে পারে, তাহার ব্যবস্থা করিতে হুইবে । তাহ হইলে বিবাহ, অর্থের জন্য না হইয়া, নারীর অমূল্য প্রেমের জন্য হইবার সম্ভাবন হইবে । 尊 বঙ্গীয় প্রাদেশিক কংগ্রেসূ-কমিটির নিৰ্দ্ধারণ বঙ্গীয় প্রাদেশিক কংগ্রেস্-কমিটি অধিকাংশ সভ্যের মত অনুসারে স্থির করিয়াছেন, যে, কৌন্সিল-প্রবেশের বিরুদ্ধে কোন আন্দোলন করা হইবে না। কৌন্সিলপ্রবেশার্থীদের জিদ বজায় হইয়াছে ; এখন তাহারা কৌন্সিলে প্রবেশ করিবার বা করাইবার জন্য ভোট সংগ্রহের চেষ্টা করিতে পারেন। চিত্যানেীচিত্য লইয়া আর বাগ্‌বিতণ্ডার প্রয়োজন নাই । যাহাঁদেরমত অন্যরূপ, র্তাহারাও “অস্পৃশ্বতা” দূরীকরণ, হিন্দুমুসলমানের মিলন, মদ আফিং গাজ। প্রভৃতির চলন বন্ধ, কাপাস বৃক্ষ রোপণ, পদ্ধর উৎপাদন ও ব্যবহার, প্রভৃতি যাহাতে হয়, এবং এইসব কাজ করিবার জন্য যাহাতে কংগ্রেসের সভ্যসংখ্যা খুব বাড়ে, তাহার চেষ্ট করুন। ইংরেজীতে «×is, &ìf*, ( spade-work ) বা কোদালের কাজ বলিয়া একটি কথা আছে । তাহাব মানে এই, যে, যেমন মাটিতে ফল ফুল শস্য কিছু আঞ্জাইতে হইলে কোদাল দিয়া মাটিটা খুড়িয়া উল্টাইয়৷ চাষের উপযোগী করিতে হয়, তাহার পর অন্যান্য প্রক্রিয়ানস্তর ফুলফলশস্য পাওয়৷ যায়, তেমনি অন্য কোন কাজেও সফলতা লাভ করিতে . হইলে প্রারম্ভিক এমন অনেক কাজ করিতে হয় যাহাতে ও যাঁহাতে হুজুক ও উত্তেজনা নাই, হাততালি বা অন্যবিদ বহিব পাওয়া যায় না। যেদেশে অজ্ঞাত ও অপ্রশংসিত থাকিয় এষ্ট কোদালের কাজ করিবার লোক যত বেশী আছে, সেদেশের উন্নতির সম্ভাবনা তত বেশী । আমাদের দেশে এখন এই প্রকার কাজের খুব বেশী দরকার । অমর খবরের কাগজ লিখিয়া বিবিধ প্রসঙ্গ—অ্যাংলো-ইণ্ডিয়ান ব্রাহ্মণ AMMMMAMAAA AAAA AAAA AAAA AAAA AAAASASAS SSAS SSAS SSAMA AM MAAA AAAAA খাই । হুজুক ও উত্তেজনা বেশী হইলে, বড় বড় অক্ষরে শিরোনামা লিখিয়া উত্তেজক খবর দিতে পারিলে, কাগজের কাটতি বাড়ে বটে, কিন্তু আমাদের লাভ হইলেও দেশের কল্যাণের তাহা একটি পথ বলিয়া স্বীকার করিতে পারি না । তাজমহলের প্রশংসা এখন সবাই করে, কিন্তু যখন উহ! নিৰ্ম্মাণ করিবার জন্য উহার ভিং খোড়া হইতেছিল ও দেওয়ালের মাটির নীচের অংশের গাথনী হইতেছিল, তখন উহার প্রশংসায় ভুবন ভরিয়া যায় নাই। আমরা যদি কখন জাতীয় জীবনের সৌধ গড়িয়া তুলিতে পারি, তখন প্রশংসা করিবার লোকের অভাব হইবে না । এখন কিন্তু ভিত্তিটা মজবুত করিয়া গণথিবীর সময়। এখন হুজুক, উত্তেজনা, প্রশংসালোলুপত পরিহার করিতে হইবে । অ্যাংলো-ইণ্ডিয়ান ব্রাহ্মণ হিন্দু বলিতে কাহাকে বুঝায়, অর্থাৎ কোন কোন লক্ষণ দ্বার। হিন্দুকে হিন্দু বলিয়া চেনা যায়, তাহ ঠিকৃ করিয়া বলা কঠিন । তবে, একট লক্ষণ এই, যে, হিন্দু মাত্রেই ধৰ্ম্মাচরণ এবং সামাজিক ক্রিয়াকলাপে ব্রাহ্মণ পুরোহিতের বিধান এবং পৌরোহিত্য স্বীকার করিতে বাধ্য । এই সংজ্ঞাটি সম্পূর্ণ কি না, এবং ইহাতে আপত্তি করা চলে কি না, এখানে সে বিষয়ে আলোচনা করিবার প্রয়োজন নাই । আমরা এখানে ইহাই কেবল দেখাইতে চাই, যে, সম্প্রতি অ্যাংলো-ইণ্ডিয়ান সংবাদপত্রগুলিও হিন্দুধৰ্ম্মের সামাজিক ও ধৰ্ম্মনৈতিক আইন কি প্রকার ব| তাহা কেমন হওয়া উচিত, সে বিষয়ে মতামত প্রকাশ করিতে আরম্ভ করিয়াছেন। সম্প্রতি ষ্টেট্স্ম্যান মালকান রাজপুতদিগের শুদ্ধি বা হিন্দুধৰ্ম্মে পুনগ্ৰহণ সম্বন্ধে খুব মুরুবিধয়ানার সঙ্গিত মন্তব্য করিয়াছেন, যে, বিধৰ্ম্মীর হিন্দুধৰ্ম্মে দীক্ষিত • হওয়া বা পুনগৃহীত হওয়ার কোনো বিধি নাই । আমরা এই উক্তিটি সম্বন্ধে বিচার করিতে চাই । অতুমান অপেক্ষ বাস্তব তথ্যের মূল্য অধিক । চহ একটি - এইরূপ তথ্য যে, গত কয়েক বৎসরের