পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৬২০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৪র্থ সংখ্যা ] তিব্বত-প্রবেশ লইয়া হাঙ্গামা করিয়াছে। পারস্তের লোকেরা সম্প্রতি তাহাদের ব্রিটিশ ও অন্যান্য বিদেশী কৰ্ম্মচারীকে বিদায় দেওয়া স্থির করিয়াছে। প্যালেষ্টাইনে ইংরেজপ্রতিষ্ঠিত শাসনবিধি-অনুযায়ী প্রতিনিধি-নির্বাচন পও করিবার জন্ত-প্রবল চেষ্টা হইয়াছে। আরবেরা নানা প্রকারে বার বার দেখাইয়াছে, যে, তাহারা ইংরেঞ্জের প্রভূজ বা অভিভাবকত্ব, কিছুই চায় না! কিন্তু তাহাতে কি আসে যায় ? কোটি কোটি এশিয়াবাসীর মূনের গোপন কথাটি আল্ উইন্টার্টন জানিয়াছেন। তিনি ইংরেজ-রাজত্বের ন্যায়বিচারের উল্লেখ করিয়াছেন। এত বড় একটা জাতি ৪ দেশকে আত্মকর্তৃত্ব হইতে বঞ্চিত রাখা কি ন্যায়সঙ্গত ? ইহার ষে শিল্পবাণিজ্য ইংরেজশাসনকালে নষ্ট হইয়াছে, সৰ্ব্বপ্রযত্নে তfহার পুনরুজ্জীবন-চেষ্টা না-কর। কি ন্যায়সঙ্গত ? যোগ্যতা থাক। সত্ত্বেও ভারতীয়দিগকে স্বদেশের বড় বড় কাজ করিতে না দেওয়া কি ন্যায়সঙ্গত ? ভারতবাসীর অনিষ্টকারী ইংরেজ অপরাধীর ন্যায্য দগু কয়টা মোকদ্দমায় হয় ? দেশে শান্তিস্থাপন ও রক্ষার উদ্দেশ্য এই, যে, মানুষের ধনপ্রাণদেহ নিরাপদ থাকিবে । আমরা গত চৈত্র মাসের প্রবাসীতে ও মার্চ মাসের ওয়েলফেয়ারে দেখাইয়াছি, যে, ভারতে শান্তি থাকা সত্ত্বেও ভারতের অনেক প্রদেশে লোকসংখ্যা কমিতেছে, এবং কোন কোন দেশে যুদ্ধ হ ওয়া সত্ত্বে ও লোকসংখ্য বাড়িতেছে । তা ছাড়া, নিবীৰ্য্য ও মৃতপ্রায় হইয়া শান্তিলাভের মূল্য কি ? এশিয়ার কোন দেশ ভারতের মত চিরকুভূক্ষিত নহে । তাহাতে বুঝা যাইতেছে, যে, অন্য দেশের রক্তকলঙ্কিত বর্বরতা সত্ত্বেও তথাকার লোকেরা খাইতে পায়, শান্তি সত্ত্বেও আমরা পাই না । শান্তির আর-একটা দিক দেখুন। ডাকাতী গুগুমি লাগিয়াই আছে ; কখন কখন ডায়ারীয় অবদান সংবাদপত্রে কীৰ্ত্তিত হয়, পুলিসের বীরত্বের পরিচয়ও বিরল নহে—এবং ভারতীয় ভারত অপেক্ষ ব্রিটিশ ভারতে হিন্দুমুসলমানের দাঙ্গা বেশী হয়। মোপূল বিদ্রোহও স্বদূর অতীতের কথা নহে। বিবিধ প্রসঙ্গ—পারস্যের জাগরণ 6.b-S) SAMMAAASAASAASAASAASAASAASAAASAAA SASAAAAASA SAASAAAS দক্ষিণ আফ্রিকার কয়লা ১৯২১ সনের মাঝামাঝি হইতে প্রধানত: দক্ষিণ আফ্রিকার কয়লার প্রতিযোগিতায় পশ্চিম ভারতের বন্দরসকলে, বিশেষতঃ বোম্বাইয়ে, বাংলাদেশের কয়লার কাটুতি প্রায় নাই বলিলেও চলে। এতদূর হইতে কয়লা চালান করিয়া দক্ষিণ আফ্রিকা আমাদিগকে হারাইয়া দিতে পারিতেছে, এই কারণে, যে, তথাকার গবর্ণমেণ্ট সস্তায় ভারতে কয়লা লইয়া যাইবার জন্য জাহাজের মালিকদিগকে টাকা দিতেছে। ইহার প্রথম প্রতিকার ঐসব জাহাজ প্রতি টনে দক্ষিণ-আফ্রিকা-গবর্ণমেণ্টের নিকট হইতে যত টাকা পাইতেছে, তথাকার কয়লার উপর প্রতি টনে তত টাকা ট্যাক্স, বসান। ইহা সম্পূর্ণ ন্যায়সঙ্গত। দ্বিতীয় উপায়, বাল হইতে পশ্চিম-ভারতের বন্দরগুলি পৰ্য্যন্ত কয়লা লইয়া যাইবার জন্য রেল-ভাড়া কম৷ইয়া দেওয়া। ইহাও ন্যায্য । পারস্যের জাগরণ পারস্য-দেশের তিহারান শহরের মাদ্রাসা মাদারশাহ, কলেজের ভূতপূৰ্ব্ব অধ্যাপক ডা: জনাব ফাজেল আমেরিকায় ‘বাঙ্গাই ধৰ্ম্ম বিযয়ে বক্তৃতা করিবার সময় পারস্তের জাগরণ সম্বন্ধে কয়েকটি উল্লেখযোগ্য কথা বলিয়াছেন । তিনি বলেন,—

  • আন্দাজ অfশী বংসর আগে আমাদের দেশে ধৰ্ম্ম, সমাজ, শিল্প, সাহিত্য ও জ্ঞান বিজ্ঞানের অন্যান্য ক্ষেত্রে নতন জাগরণের চিহ্ন দেখা যায় । যে দেশের অতীত এত আশ্চৰ্য্য স্মৃতিমণ্ডিত, যে দেশে অতীত প্রথার প্রতি শ্রদ্ধা ও নিষ্ঠ জাতির মনে এত উচ্চ স্থান জুড়িয় আছে, সে দেশের পক্ষে এই জাগরণ বিশেষ ভাবে উল্লেখযোগ্য বলিতেই হইবে।

“পারস্তের স্ত্রী ও পুরুষগণ বহু যুগের বাধা পথ ছাড়িয়া অপূৰ্ব্ব সাহসের পরিচয় দিয়াছিলেন। এসিয়া মাইনরের অধিবাসী জাতিকে তাহারাই এই নূতন পথ দেখাইলেন। ষাট বৎসর আগে শ্ৰীমতী গরাহ-উল-আয়েন প্রথম অবগুণ্ঠন মোচন করিয়াছিলেন । এই মহিলা অবগুণ্ঠন মোচন করিবার পর অন্যান্য বহু মুসলমান নারী তাহার পথ