পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৬৩৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৫ম সংখ্যা । একুলার নয় । “আপনি মাঝে মাঝে এমন এক-একটা দুঃসাহসিক কাজ করেন যে আমি-মৃদ্ধ চম্কে যাই ।. একটা কথা বলব ?” - “কি ? বলে ।” “আমার মনে হয় ও-রকম ক'রে বিপদের মাঝখানে ঝাপিয়ে পড় সাহসী সৈনিকের উপযুক্ত হতে পারে কিন্তু বিচক্ষণ সেনানায়কের পক্ষে বিবেচনার কাজ নয় । ওতে বিপদের সমূহ সম্ভাবন আছে।” “থাকূলই বা । বিপদের ভয় আমার মাথায় আসে না । হাতী ক্ষেপলে, আমারও মনট ক্ষেপে’ ওঠে তাকে বশ করতে। আমি বিপদ দেখতে পাইনে, আমি দেখতে পাই আমার কৰ্ত্তব্য । দ্রোণাচায্য যখন তার শিষ্যদের লক্ষ্যবেধ শেখাচ্ছিলেন তখন অৰ্জ্জুন যেমন লক্ষ্যের চক্ষু ছাড়া আর কিছু দেখতে পাননি, আমার মনে হয়, যাকে তুমি বিপদ বল্‌ছ সে অবস্থায় আমিও আমার লক্ষ্য ভিন্ন আর কিছু দেখতে পাইনে।” “কিন্তু আপনি মগধ-সম্রাটের জ্যেষ্ঠ পুত্র, শুধু জ্যেষ্ঠ নয়—শ্রেষ্ঠ পুত্র, মগধ-সাম্রাজ্যের আশা-ভরসা। কাজেই আপনার নিজের জীবন সম্বন্ধে অতটা ঔদাসীন্য ভালে নয়, তাতে শুধু আপনার ক্ষতি নয়, সমস্ত আর্য্যাবক্টের ক্ষতি।” হঠাৎ চন্দ্রগুপ্তের মুখ গম্ভীর হয়ে উঠল, তিনি বললেন –‘বিপদের অগ্নিপরীক্ষায় যে পুড়ে ছাই হ’য়ে যায়, সাম্রাজ্য তার জন্যে নয় । ছেলেবেল থেকে বাঘের সঙ্গে যুদ্ধ ক’রে জয়লাভ করতে শিখেছি, তাই আজ বাঘের চেয়ে ভীষণ এই কিরাতদের যুদ্ধেও জয়লাভ সম্ভব হয়েছে। তা’ ছাড়া, বন্ধু, আমি দুয়োরাণীর ছেলে, স্তন্তের চেয়ে অশ্রই পান করেছি বেশী। আমার কাছে মৃত্যুও খুব ভয়ঙ্কর নয়। মাহুষের চরম বিপদ কি ? মৃত্যু ৷ সেই মৃত্যুকেও আমি ভয় করতে শিখিনি ...আমার মা রাজকন্যা নন, সেই অপরাধে মন্ত্রীরা আমার সিংহাসন লাভের প্রতিকুল । সেই প্রতিকূলতার বিপক্ষে দাড়িয়ে যাকে যুঝতে হবে, বিপদের ভয় তার পক্ষে নিশ্চিত পরাজয়ের নামস্তির।" “কিন্তু মহারাজের আপনার উপর স্নেহ-পক্ষপাত আছে ব'লে শুনেছি।” ডঙ্কা-নিশান MMAeM AA AAMMMAe M MMAee MMeSAAA AAAA AAAA AAAA AAAA SAAAAA SAAAAee See eM MM MM MAAA AAASA SAASAASAASAASAASAAAS A SAS SSAS SSASAAA MA MAAASA SAA AA ASASASA AAAAAS AAASASASS ولا هوان “ই। কিন্তু মহারাজ বুদ্ধ, পাস ~ে০১:৫৬, ১১ এপ্রিল ২০১৬ (ইউটিসি)~~ মহারাজ হচ্ছেন মহারাণী ধনশ্ৰী, আমার বিমাতা আর...” বন্ধুগোপের কৌতুহলী দৃষ্টি হঠাৎ চন্দ্রগুপ্তের চোখে পড়তেই তিনি কথা উলটে নিয়ে বললেন—“আর. কি জানো বন্ধু, আমার একটা ভারি মজার ধারণা আছে . . . ” “কি রকম ?” “আমার ধারণ, তুমি হাসবে না ?” “না।" “আমার ধারণ। এই যে ধারা যুদ্ধ করে, তারা যুদ্ধে মরে না । বিপদকে যার বরণ কবে, বিপদ ভাদের কেশস্পশ করতে পারে না. " “হাস্ব না বলেছিলুম, কিন্তু প্রতিজ্ঞা রক্ষণ করা আপনি কঠিন ক’রে তুলছেন।" “কেন ? যারা যুদ্ধ করে তার যুদ্ধে মরে না, এতে হাস্থবীর কথা কি আছে ? রাম, লক্ষ্মণ, কৃষ্ণ, বলরাম, ভীম, অৰ্জ্জুন,— এরা সবাই পৃথিবীর আর-সকলের চাইতে বেশী যুদ্ধ করেছেন, কিন্তু কেউ যুদ্ধে মরেননি । আমিও যুদ্ধ করি, সুতরাং আমি গু যুদ্ধে মরব না । বিপদে আমার ভয় নেই, তুমি নিশ্চিন্তু হ’তে পাের।” বন্ধুগোপ হেসে বললে—“অবাক করলেন আপনি, অবাক করলেন । দুঃসাহসী ব’লে আমারও একটা অখ্যাতি আছে । কিন্তু আপনি আমাকে ও হার মানিয়েছেন । এই বয়সে আপনি যে মনে মনে দুঃসাহসিকতার একট। দর্শন-শাস্তর খাড়া ক'রে তুলেছেন তা’ জনতুম না।” “মন ধার ক্রমাগত দুঃখ পেয়ে এসেছে ভাবনা ভfর নিত্যসঙ্গী | ভূযোরাণীর ছেলে ধে ভেবে ভেবে দুঃসাহসিকভাটাকে দার্শনিক ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠিত করবে এ আর বিচিত্র কি ৷” আলাপের বিষয়টা ঘুরে ঘুরে খুব একটা জায়গাতেই ফিরে আসছে দেখে বন্ধুগোপ বললে—“যাক সে কথা, তর্কে আপনার সঙ্গে পারলার জে নেই ...ভালো কথা.. পাহাড়ীর আর কি বলছিল জালেম ?” “কি r" “বলছিল সন্ধি হ’ল বটে, কিন্তু এ-সন্ধি তেমন পাকা