পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৭২১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

** g t "াড়িয়ে আছ তুমি আমার গানের ওপারে! অমর হরগুলি পায় চরণ, আমি পাইনে তোমারে।” স্বর্ঘ্য অস্ত গেল। আমরাও গিয়ে ডাকবাংলোয় উঠ* লাম । রাত্রের খাওয়ার ব্যবস্থা বৌদিই করলেন। সবই সৃঙ্গে আনতে হয়েছিল, এখানে কিছুই পাওয়া যায় না। রাত্রে আমার আর বৌদির একঘরে, আর দাদাদের অন্ত ঘরে শোবার বন্দোবস্ত করা গেল । তখন বোধ হয় রাত নটা হবে, চমৎকার চাদের আলো হয়েছে, কি সুন্দর যে হয়েছিল চারিদিক্‌ ! আমরা সবাই বাইরে এসে বসলাম । সে তার গম্ভীর গলায় গান গেয়ে উঠল : “তুমি রবে নীরবে হৃদয়ে মম নিবিড় নিভৃত পূর্ণিম-নিশাঁখিনী সম ॥" মনট। বডড খারাপ হ’য়ে গেল, তাড়াতাড়ি উঠে ঘরে চলে গেলাম । শুয়ে ভাবছিলাম—-এর সঙ্গে দেখ। না হ’লেই ছিল ভাল।” বাইরে তখনে গান চলছে :– "মম দুঃখ বেদন মম সফল স্বপন, তুমি ভরিবে গৌরভে নিশৗখিনী সম।” তার পর গান থেমে গেল। কিন্তু আমার কানে অনেকক্ষণ পৰ্য্যন্ত সেই-গানের স্বর বাজ তে লাগল।... ভোরের বেলায় আবার তার বঁাশী বেজে উঠল। প্রায় আধঘণ্টা বঁাশী বাজিয়ে সে গেয়ে উঠল – “আমার নয়ন-জুলান এলে. আমি কি হেরিলাম হৃদয় মেলে ।” আমরা তাড়াতাড়ি উঠে বাইরে গেলাম। গিয়ে দেখি স্বধ্য উঠছে! চমৎকার! সেদিনের কথা কখনো ভুলব না। সে পাথরের সিড়ির উপর বসে গান গাইছিল। হঠাৎ গান থামিয়ে সে হেসে উঠে বললে—“কাল জামি চা করেছি, আজ লীলা করবেন অজয়-দা।” আমি চা করতে গেলাম। গিয়ে দেখি ষ্টোভের তেল ফুরিয়ে গেছে। চৌকীদার কাঠের উনান জেলে' দিলে। চাম্বের জল চড়িয়ে রুটি কাটুতে বস্লাম। বাইরে বঁাশী বেজে উঠল, একটুক্ষণ বাজিয়েই সে গান ধরলে – “अांभांब्र ७क/* कक्षों **ौ छांtन * रौी*ौड़े छांटन ।” প্রবাসী-ভান্দ্র, ১৩৩০ [ २०° छाँ१, ४म थ७ চুপ করে’ শুনছিলাম। হঠাৎ সে থেমে গেল। একটা গানও তাকে শেষ পৰ্য্যন্ত ভাল করে গাইতে শুনলাম না। আবার বাণী বেজে উঠল। সত্যিই সে মুখে কিছু বলেনি, কিন্তু তার চোখ যে কথা বলে। হঠাৎ বঁাশী থেমে গেল। উপর দিকে তাকিয়ে দেখি সে আমার দিকে চেয়ে দাড়িয়ে আছে । উনানের আলো আমার মুখে এসে পড়েছিল। কি দেখলে জানি না, আবার বাইরে গিধে সে এক লাইন গান বাজালে :– “কেবল বলে গেলেম বঁাশীব কীনে-কনে ৷” চ-পৰ্ব্ব শেষ করে আমরা তাড়াতাড়ি নামৃতে স্বরু করলাম,–এবারে আর ডুলিতে নয়, সবাই হেঁটে । আমার আর পেছিয়ে পড়তে সাহস হচ্ছিল না, বরাবর বৌদির হাত ধরেই চললাম । নীচে নেমে ডাকবাংলোয় অল্পক্ষণই ছিলাম। বুঝতে পারলাম একটু পরেই যে যার পথে চলে যাব । আমি জলখাবারের ঝুড়িটা ঠিক করে গুছোতে বসেছি, বারাণ্ডায় গান শুনতে পেলাম :– “:श्रूलtद्र मtशौ, बेिtिनि, चiब्र ८१{एलl, গেল যে খেলার বেলা : ডাকিল পপিকে দিকে বিদিকে ভffeল বে এ কুপ-মেলা ৷” তার পর ঐ-স্বরটা খানিকক্ষণ বাজালে । আমার মনে হ’ল এ যে আমারই মনের কথা । হঠাৎ সে উঠে এসে আমার হাত থেকে চায়ের বাসনগুলি নিয়ে বললে-“আমি গুছিয়ে দিই, আপনি বম্বন।” প্যাক করা হয়ে গেছে । এবার যাবার পালা ! ও তার মোটর-বাইকে ওর জিনিসপত্র বেঁধে নিয়েছে,—ওকেও যেতে হবে । আমার ছাতাটা পড়ে গিয়েছিল, সেটা আমার হাতে তুলে দিয়ে সে আমার দিকে চাইলে, আবার সেই চাউনি, প্রথম দেখে। যেমন করে চেয়েছিল । আমি চোখ নামিয়ে নিলাম । সে বললে—“তোমাদের গাড়ী চ’লে গেলে আমিও আমার পথে চলে যাব।”—বলেই তাড়াতাড়ি ঘরে গিয়ে দাদাকে বললে—“অক্ষয়-দা, তুমি