পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৭৮২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৬ষ্ঠ সংখ্যা ] AeeSMAMA AMAMAMMAMAAASAAAA চাহিয়া দেখি সংজ্ঞা নাই। উদয়-বাবুকে ডাকিয়া জানিতে কনককে পাঠাইয়া চোখে-মুখে জলের ঝাপ্টা দিতে স্বরু করিলাম। উদয়-বাবু আসিলেন। তিনি অধীর আগ্রহে মেয়েকে কোলের উপর শোয়াইয়া বাতাস করিতে লাগিলেন। জল ও বাতাসের গুণে মুচ্ছ ভাঙিল। সন্ধ্যা চোখ মেলিয়া চাহিয়া আৰ্ত্তস্বরে কহিল—“উঃ !” - উদয়-বাৰু মাথায় হাত বুলাইতে বুলাইতে ডাকিলেন— “মা !” মায়ের কানে সে আহবান পৌছিল কিনা সন্দেহ, সে সেই ডাকের সঙ্গে সঙ্গে সহসা উত্তেজিত কণ্ঠে বলিয়া উঠিল—“মাষ্টারমশাই কোথায় ?—আমি পড়বো।” উদয়-বাবু মেয়ের পানে নিৰ্ণিমেষনয়নে চাহিয়৷ ছিলেন ; এইবার দৃষ্টি ফিরাইয়া বাহিরের দিকে চাহিলেন, ক্ষণকাল কি ভাবিলেন। তাহার ক্রযুগল ঈষৎ কুঞ্চিত হইল। মুখরেখা একটা প্রশান্ত গাম্ভীর্ষ্যে উদ্ভাসিয়া উঠিল। অনেকক্ষণঐরূপে চাহিয়া থাকার পর শেষে বলিলেন— “আচ্ছা কনক, তুই মাষ্টার-বাবুর সঙ্গে সন্ধ্যার পাশে একটু বোস। আমি দেখিগে আজকে আবার কোন ওষুধের ব্যবস্থা করা যায়। কালকে যে ওষুধ দিলাম তাতে ত কোন ফলই হ’ল না।” বলিয়া তিনি চলিয় গেলেন । আমি একটু বিত্রত একটু বিপদগ্ৰস্ত একটু বিস্মিত হইয় দাড়াইয়া রহিলাম । ( & ) বলিতে ভুল হইয়াছে যে উদয়-বাপুর স”সারে কেবল তিনি ও র্তার মেয়ে ছাড়া আর কেহই ছিল না । উদয়বাবুর স্ত্রীর অনেক দিন হইল মৃত্যু হইয়াছে। তিনি দ্বিতীয় ধার দারপরিগ্রহ করেন নাই। ঠাকুরের পাক করিত, চাকরের কাজ করিত, উদয়-বাবু মেয়েকে ভালোবাসিয়া ও লিথিয়া পড়িয়া দিন কাটাইতেন। সেদিন মেয়ের ভার আমার উপর দিয়া তিনি সেই যে অন্তৰ্হিত হইলেন অনেকক্ষণ পৰ্য্যন্ত আর তার দেখা পাওয়া গেল না। অগত্যা দ্বিধা সঙ্কোচ বিসর্জন দিয়া সন্ধ্যার শুশ্রুষায় লাগিয়া গেলাম ।

  • سیم-9\2

বেদির श्रुङ्] 褒 AeMeeMA MMA AMAeMAeMeMAMAeeeeAMAeMeeMA AMM AMMMMMMA MMeMA AMMMA AeeAMM MeA AeeeeAMA MM MM MMMM MAMMM SSAAAAAASAAAA O 曝 ግoች বেলা এগারটার সময় তিনি কোথা হইতে আসিয়া উপস্থিত হইলেন এবং বলিলেন—“মাষ্টার-বাবুকে অনেক কষ্টই দেওয়া হ'ল। আচ্ছা আস্বন, এখন স্বান করে' খেয়ে নেওয়া যাক। আর কনক তুই ততক্ষণ তোর দিদির পাশে বোস, তোর খাওয়া হয়ে গেছে ? না ?” কনকচাপার আহার পূৰ্ব্বেই সমাপন হইয়াছিল, সে বলিল—“স্থ ।" “তবে তুই ভুলুর সঙ্গে ওর কাছে থাক।” “জুলু” এ বাসার এক বৃদ্ধ ভূত্য । স্বানাহার-শেষে দুজনে বিশ্রামের ঘরে আসিয়া বসিলাম । পান চিবাইতে চিবাইতে আমি বলিলাম—“ওঁর জর ত অনেকট কমে’ গেছে !” “ই। কমবেই ত—আজ ওষুধ যে ঠিকু পড়েছে।” আমি আশ্চয্য হইয়। জিজ্ঞাসা করিলাম—“ওষুধ ! আজ আবার ওষুধ কখন দিলেন ।” “কেন, আমি যখন ওর কাছ থেকে চলে আসি তথনি ত ওষুধ দিয়ে এসেছিলাম অমল-বাবু!” আমি কিছুই বুঝিতে না পারিয়৷ সপ্রশ্ন দৃষ্টি তুলিয়া উদয়-বাবুর মুখপানে চাহিয়া রহিলাম। ক্ষণকাল নীরব থাকিয়া সংস। আমার নয়নে স্থির নয়ন রাখিয়া উদয়-ৰাৰু বলিয়া উঠিলেন—“সন্ধ্যার এ রোগের ওষুধ তুমিই যে অমল ?” আমি তখনও ফ্যাল ফ্যাল করিয়া তাঙ্গার দিকে চাহিয়| আছি। কথাটা বুঝার সঙ্গে সঙ্গে আমার বুকের মধ্যে কেমন করিয়া উঠিল ও আমার উখিত দৃষ্টি নামিয় গেল। চোর ধরা পড়িলে তাহার যেমন অবস্থা হয় আমার অবস্থাও তখন ঠিক তেমনি হুইল । উদয়বাবু বলিতে লাগিলেন—“অমল, তুমিই তার এ রোগের ওষুধ । আর তখন আমি তোমাকেই সন্ধ্যাকে দিয়ে এসেছি।” একটু থামিয়া আবার বলিলেন—“সন্ধ্যা যে তোমাতেই আত্মসমর্পণ করেছে এটা আমি বহুদিন পূৰ্ব্বেই জেনেছি। এমন কি, ও যে তোমাকে ভালোবাসে এটা ও নিজে জানে না, কিন্তু আমি জানি ও জানে না বলেই আমি সেটা সহজেই জানতে পেরেছি।” এই