পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৭৯০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

હજેમાં if বনিময় ও টাকার বাজারে বিনিময়হার । له " - ه - ك " ૧8હ.

  • - - * هر * . i - AMMMMMM AMAMAMMAMMMMMeMMAMMAMAMSMSMSMS SS - 5- - - جبهه م

বিনিময় ও টাকার বাজারে বিনিময় হার । যুরোপের কুরুক্ষেত্ৰ’ শেষ হইল কিন্তু আমাদের গরীবের কষ্ট যাহা তাহ রহিয়াই গেল। যুদ্ধের কয় বৎসর জিনিষ পত্রের দর যেরকম বাড়িয়াছিল তাহার যাতনা সহ করিতে না পারিয়া আমরা সকলেই মনে মনে ভাবিয়ছিলাম যুদ্ধ শেষ হইলেই জিনিষপত্র আবার সস্ত হইবে, দুই বেলা সকলে, পেট ভরিয়া ভাত খাইতে পারিব ; আবার বুঝি আমাদের গরীবের ঘরের মায়ের বোনের গায়ে কাপড় তুলিয়া- দিয়া তাহাদের লজ্জা নিবারণ করিতে পারিব। কিন্তু হায়, আজও বাজারে গেলে "চড়া দরের কড়া কথা' শুনিলে মনের সাধ মনেই থাকিয়া যায়। দোকানীকে জিজ্ঞাসা করিলে সে জবাব দেয় “টাকার বাজার খারাপ, মহাশয়, বিদেশের সঙ্গে বাণিজ্যে স্থবিধা নাই। সস্তায় সওদা দিব কি করিয়া ?” সাধারণ গৃহস্থ অভ কথা না বুঝিয়া অদৃষ্টকে ধিক্কার দিয়া ঘরে ফিরিয়া যায়। কিন্তু অন্ধের মতো "অচলায়তনে বসিয়া কেবল অদৃষ্টের দোহাই দিলে আর চলিবে না। ‘অর্থমনৰ্থম ভাবয় নিত্যম্’ বলিয়া আর্থিক অবস্থার প্রতি বিমুখ হইলে আর্থিক কষ্ট বাড়িবে ছাড়া কমিবে না। অর্থ না হইলে যখন চলিবে না, পার্থিব অভাব যখন পূরণ করিতেই হইবে, তখন আমাদের আর্থিক অবস্থা বিশ্লেষণ করিয়া, চারিদিকে যাহা নিত্য ঘটিতেছে তাহার ভিতরকার কারণটি খুজিয়া বাহির করিয়া সত্য ও মঙ্গলময় পথটি আবিষ্কার করার প্রয়োজন হুইয়া পড়িয়াছে। ( २ ) আর্থিক সমস্তার কথা আলোচনা করিতে গেলে আগেই মনে পড়ে বর্তমান কালের সামাজিক গঠনের কথা । এখন কেবল আমাদের সমাজ নয়, সকল সভ্য সমাজেরই ভিত্ত্বি স্থাপিত বিনিময়ের উপরে । সমাজে বিনিময়ের রীতি চলিত আছে বলিয়াই এখন কাহাকেও তাহার . নিজের অভাব পূরণের জন্য নিজে পরিশ্রম করিয়া সকল জিনিষ উৎপন্ন করিতে হয় না। তাহার এক একটি অভাব পূরণ করিবার জন্য দেশের কত লোক A9--8ھa খাটিতেছে। সেও হয়ত যাহ উৎপন্ন করিতেছে তাহ{ প্রধানতঃ অন্তের অভাবই পূরণ করিবে। কৃষক ষে । পরিশ্রম করিয়া শস্য উৎপল্প করিতেছে, কাপড়ের কলওয়ালা ষে কাপড় প্রস্তুত করিয়া স্তুপাকার করিতেছে, এসকল কিসের জন্য ? এই সকল কি তাহার। নিজেদের ব্যবহারের জন্ত তৈয়ার করিতেছে ? তাহ নয়। অনুসন্ধান করিয়া দেখুন, দেখিবেন যে তাহারা হয়তো ইহার কিছুই ব্যবহার করিবে না ; আর যদি ব্যবহার করে, তাহা হইলেও উহার অতি অল্প অংশই ব্যবহার করিবে । বাকি সকলই বিনিময়ের জন্য উৎপাদিত হয়। আমাদের বিদ্যাবুদ্ধি, প্রতিভা ও ক্ষমতা যে পাটাই তাহাও বেশী সময়ই অপরের অভাব পূরণের নিমিত্ত। উকীল যে • দিনের পর দিন ওকালতি করিয়া মোকদ্দম। জয় করিতেছেন তাহার মধ্যে কয়টার্তাহার নিজের মোকদম ? : ডাক্তার তাহার ডাক্তারী বিদ্যার সাহায্যে রোগ আরোগ্য করেন, তাহার মধ্যে অধিকাংশই অঙ্কের পীড়া, নিজের নহে। এই যে উকীল ও ডাক্তারের কথা বলিলাম ইহার স্ব স্ব গুণ ও কাৰ্য্যতৎপরতার বিনিময়ে অন্য জিনিষ গ্রহণ করিয়া থাকেন। এইরকম প্রায় সকলেই । .هي معه বিনিময় আছে বলিয়া অনেক জিনিষ মামুস্তুের-— উপকারে লাগিতেছে, বিনিময়-অভাবে সেগুলি অব্যবহার্য্য হইয়া পড়িয়া থাকিত । বিনিময়ের আর-একটি উপকারিত এই যে, ইহার জন্যই অনেক উৎপাদিকা শক্তির সম্পূর্ণ সদ্ব্যবহার করিতে পারিতেছি, ইহার অভাবে সেগুলি অকেজো হুইয়া থাকিত। যদি বিনিময় না থকিত তাহা হইলে প্রত্যেক মাকুযকে তাহার অভাব পূরণের জন্য সকল জিনিষ তৈয়ার করিয়া লইতে হইত। একজন লোকের যদি দশটি অভাব থাকিত, তাহা হইলে তাহাকে দশরকম ভ্ৰব্য-প্রস্তুতির কাৰ্য্যে লিপ্ত থাকিতে হইত। কাজেই তখন সে অভাবের তাড়নায় চালিত হইয়াই দ্রব্য প্রস্তুত করিতে বাধ্য হইত। কিন্ত বিনিময় এই বিষয়ে মানুষকে অনেকটা স্বাধীনতা দিয়াছে।