পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৭৯৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৬ষ্ঠ সংখ্যা ] লইতে আরম্ভ করিল। আর বিলাত হইতে আমরা যাহা যাহা আমদানি করিতাম তাহার পরিমাণ অত্যন্ত কমিয়া গেল, কারণ তাহারা তখন বাণিজ্য ছাড়িয়া যুদ্ধ লইয়া ব্যস্ত। লেনাদেনার হিসাবে ভারতের নিকট বিলাতের ঋণ শাস্তির সময়ে যাহা হইত তাহার চেয়ে অত্যন্ত বেশী ङ्हेब्रा भफ़िल । कां८छझे স্কুল বিলাতী বণিকই ভারতীয় মহাজনের দেনা শোধ করিবার জন্য এদেশী টাকা কিনিতে ব্যগ্র হইয়া পড়িল । ইহার ফলে টাকার মূল্য ১৬ পেনির চেয়ে চড়িয়া গেল। ইহা থামাইবার জন্য গভর্ণমেণ্ট, পৃথিবীর নানান দেশ হইতে রূপা কিনিয়া আনিয়া টাকা তৈয়ার করিয়া টাকার যোগান বাড়াইতে সচেষ্ট হইলেন। পৃথিবীর অধিকাংশ রূপাই সরবরাহ হয় মেকৃসিকে হইতে। মেকৃসিকোতে তখন আবার আরম্ভ হইল ঘরোয় যুদ্ধ। কাজেই রূপার চালান কমিয়া গেল। রূপার দরও ক্রমশঃ বাড়িয় চলিল। শেষে এমন হইল যে, টাকায় যতটা রূপা আছে তাহার দর চড়িয়। ১৬ পেনির ও বেশী হইয়া গেল। তখন টাকার বিনিময়-মূল্যের হার প্রতিদিনই পরিবর্তিত হইতে লাগিল। গভর্ণমেণ্ট, আর কোন উপায়ে তাহা ঠিক রাখিতে পারিলেন না। বণিকৃদিগের ক্ষতি হইতে লাগিল বলিয়। তাহারা টাকার বিনিময়হার স্থির করিয়া দিবার জন্য গভর্ণমেণ্ট কে অনুরোধ করিল। ইহার ফলে, বিশেষজ্ঞদিগের এক বৈঠকে এই স্থির হইল যে, আগে রূপার মূল্য অত্যন্ত কম ছিল বলিয়৷ টাকার ভিতরে যতটা রূপ আছে তাহার মূল্য ১৬ পেনির চেয়ে বেশী হইবে না এই বিশ্বাসে গভর্ণমেণ্ট, টাকার মূল্য এক টাকায় ১৬ পেনি হারে ঠিক করিয়াছিলেন। কিন্তু এখন যখন রূপার দর বাড়িয়া টাকায় যতটা রূপ। আছে তাহার মূল্যও ১৬ পেনির চেয়ে বেশী হইয়া গিয়াছে,—তখন গভর্ণমেণ্টের উচিত টাকার মূল্য ১০ টাকায় ১ পাউণ্ড, হারে ঠিক করিয়া দেওয়া । তাহারা বলেন যে রূপার দাম এরূপ কখনই বাড়িবে না যে এই নূতন বিনিময়-হারও বদলাইতে حبیبی ۹جمی می به تعیین مییه ۹ হইবে। গভর্ণমেন্টও এই মতানুসরণ করিয়া ঠিক করিয়াছেন যে, বিনিময়-হার ১০ টাকায় ১ পাউণ্ড হিসাবেই ঠিক করিতে হইবে। বিনিময় ও টাকার বাজারে বিনিময়-হার ፃ® > ̈ 鶯 SAASAASAASAASAASAAMAMSAMSAeSeAeS eAMAAA AAAASAAMAAAA টাকার মূল্য ১২ পেনি হইতে ১৬ পেনি করিবার সময় গভর্ণমেণ্ট, যে উপায় অবলম্বন করিয়াছিলেন এই বেলাও তাঁহাই করিলেন। গভর্ণমেণ্ট, নূতন টাকা অথবা নূতন নোট তৈয়ার করা বন্ধ করিয়া দিলেন। টাকার যোগান কমিয়া যাওয়ায় উহার মূল্যও বাড়িতে লাগিল। কিন্তু এই মূল্য বৃদ্ধি যতটা তাড়াতাড়ি দরকার তাহা হইল না। গভর্ণমেণ্ট, সেইজন্য "রিভাস কাউন্সিল বিল” বিক্রয় অরম্ভ করিলেন ; অর্থাং বিলাতে মজুড় পাউণ্ডের বিনিময়ে ভারতে সওদাগর ও ব্যাঙ্ক গুলির নিকট হইতে টীকা ও নোটু ক্রয় করিয়া সরকারী ট্রেজারীতে বন্ধ করিয়া রাখা হইল। গভর্ণমেণ্টের বিশ্বাস ছিল এই উপায়ে টাকার যোগান আরো কমলে উহার মূল্য নিশ্চয়ই বাড়িবে। কিন্তু গত বৎসর ভারতে মন্ত্রম ভাল হয় নাই বলিয়া ফসল ও ভাল ফলে নাই। কতকট। গভর্ণমেণ্টের হুকুমে এবং কতকটা অন্যান্য কারণে গত বংসর এই দেণ হইতে ধান গম প্রভৃতি খাদ্যশস্যের রপ্তানি অনেক কম হইয়াছে । কাজেই বিলাতী বণিকৃদিগের ভারতীয় টাকা কিনিবার জন্য তেমন আগ্রহ ছিল না। এদিকে যুদ্ধ থামিয় যাওয়াতে যুরোপে নানান রাজ্যে যুদ্ধে ব্যবহারের জন্য যে-সব চামড়া মজুত ছিল তাহ ভারতবর্ষে বিক্ৰী হইতে লাগিল। ভারত হইতে চামড়ার রপ্তানিও কমিয়া গেল। এমনি করিয় ভারতীয় তুলা পাট ও চায়ের বাজারেও মনা পড়িল । মোটের উপর ভারতের রপ্তানি কমিয়া যাওয়াতে বিলাতী বণিকদের ভারতীয় টাকা কিনিবার আগ্রহ থাকিল না। কাজেই টাকার টান কমিছা গেল। যুদ্ধের কয়বৎসর ভারতবাসী বিলাত হইতে জিনিষ ইচ্ছামত আমদানি করিবার স্ববিধা পায় নাই। এখন মোটরগাড়ী সাইকেল রং ইত্যাদি বহুজিনিষ যুরোপ হইতে ভারতে আমদানি হইতেছে। ভারতের রপ্তানি কমিয়া যাইরা আমদানি বাড়িয়া যাওয়াতে বিলাতের সওদাগরদিগের নিকট ভারতীয় বণিকদের দেন। বাড়িয়া গিয়াছে । এই দেন। শোধ দিবার জন্য ভারতীয় বণিক চাহে টাকার বিনিময়ে পাউণ্ড, কিনিতে। ইহার ফলে টাকাৰ, মূল্য আরো কমিয়া যাইতে লাগিল। যে টাকার মূল্য