পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৮২৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৬ষ্ঠ সংখ্যা ] " . احعلیه حمایی خصه هیحییعه কিন্তু খোকাবাবু আমার মুখের দিকে চেয়ে হেসে ফেলত। আমি তাকে বুকের মধ্যে চেপে ধরে সব ভুলে যেতাম । মনের মধ্যে কত আশা-আকাঙ্ক্ষার উদয় হয়ে আমাকে উৎফুল্ল করে ফেলত। ক্ষণিকের জন্যও ংসার স্বত্র দেখতাম । প্রতিদিন একটু একটু জর ই’তে লাগল। একটু একটু কাশি ও বুকে ব্যথা : শরীরে বল পাই না, সামান্য পরিশ্রমেই ক্লান্ত হ’য়ে পড়ি, সামান্ত শব্দে চম্কে উঠি, বুকের মধ্যে র্কাপতে থাকে। অন্তে আমাব সন্ধান না নিলেও অন্ততঃ আমি বুঝলাম—আমার কি হয়েছে । শারীরিক যতটুকু পরিশ্রম করবার ক্ষমতা ছিল তার : দ্বিগুণ পরিশ্রম কবে সাংসারিক কাজ কৰ্ম্ম করতে হ’ত শুধু ‘অমুখের ভাণ করে দিন রাত শুয়ে থাকি’— এই বাক্যবাণের হাত হ’তে “নিজেকে রক্ষা করবার জন্তে । সে-দিন বৈকালে ঝি থোকাকে নিয়ে বেড়াতে গেছে । আমি রাস্তার দিকের জানালায় দাড়িয়ে স্থির দৃষ্টিতে বাইরে চেয়ে ছিলাম । সহসা স্বামী এসে দৃঢ়স্বরে বললেন,—“ওখানে দাড়িয়ে আছ কেন ? তুমি বড় নিলজ ।”—আমার শরীরের রক্তপ্রবাহ যেন বন্ধ হ'য়ে গেল,—বাকৃশক্তি রুদ্ধ হ'য়ে গেল । স্বামী অামার উত্তরের অপেক্ষ না করে’ই চলে গেলেন । ধে সত্যকথাটা বললেও অন্ততঃ তখন তিনি তা বিশ্বাস করতেন না, আমি লজ্জায় তা বলবারও চেষ্টা করলাম না। কিন্তু ওগো অম্ভযামী ! তুমি ত সাক্ষী । আমি দেখছিলাম,—যা সহস্রবার দেখেও আমার তৃপ্তি হয় না, প্রতিদৃষ্টিতে যাতে নূতন সৌন্দৰ্য্য দেখতে পাই—ঝি থেfকাকে কোলে নিয়ে রাস্তার অপর প্রান্তে দাড়িয়ে ছিল,—আমি দেখছিলাম-থোকার মুখখানি । সে-দিন থেকে স্বামী আমীর সহিত বাক্যব্যয় কবুতে ও বিরক্তবোধ করতে লাগলেন । আর একদিন প্রাতে বাধ্য হয়ে স্বামীর আলনায় টাঙ্গান জামার পকেটে হাত দিলাম—গোট কতক পয়সার জন্যে। স্বামী সেটা দূর থেকে লক্ষ্য করলেন, কিন্তু কিছু বললেন না । কিছুক্ষণ পরে আমিও দেখলাম—তিনি বিদায়-বরণ 登 AMM Mee AMAM AAAA AAAA AAAA AAAA AAAASAAAA AAAA AAAA AAAAMMeMMMAeMMAeA AM AA AMASAAM MM MMMM MMeMMM MMAeM MeeM eM eeMAMSAS SSAS SSAS SSAS ጳፃ∶ র্তার জামার পকেটু থেকে মানিব্যাগটি নিয়ে গেলেন, বোধ হয় আমার অজ্ঞাত কোনো স্থানে রাখবার জন্তে । পূর্বে ভেবেছিলাম—স্বামীর অজ্ঞাতে একাধ্য করার আমার অধিকার আছে কি না ;–অধিকার না থাকলেও,—ধে কারণে স্বামীর অর্থে হস্তক্ষেপ করবার স্পৰ্দ্ধ করেছি,— তা তাকে পরে জানাব । কিন্তু বুঝলাম—এতটুকুতেও আমার অধিকার নেই,- সে স্পৰ্দ্ধার ফলে হ'লাম —অবিশ্বাসিনী ! এ অপমানের ব্যথাটাও অমানবদনে মাথা পেতে নিলাম। কেন না-নেব ? অভিশপ্ত জীবনের মান অপমান,—তাতে কোনো প্রভেদ আছে ? সন্ধার ঈষৎ অন্ধকারে আমি রাস্তার দিকের জানালায় দাড়িয়ে অপর একজনের সঙ্গে গোপনে কথা বলছিলাম ও পয়সা গুনে দিচ্ছিলাম। অকস্মাং কোথা থেকে ঝড়বেগে স্বামী এসে দৃঢ়মুষ্টিতে আমার একখানা হাত চেপে ধরে পরুষ কণ্ঠে বললেন,—“সত্য বল—ও কার সঙ্গে কথা বলছিলে ?” স্পর্শে বুঝলাম তার সর্বশরীর থরথর করে” কাপ ছে। তার মুখের দিকে তাকাতে আমার সাহস হ'ল না। আমি কাপতে কঁপৃিতে জানালায় বসে পড়লাম। তার পর ছাপাতে হাপাতে বললাম,—"বিশ্বাস করবে কি যদি বলি কার সঙ্গে কথা বলছিলাম ?” মুষ্টিমধ্যে আমার হাতখানাকে সজোরে একবার পিষ্ট করে একটা ঝাকানি দিয়ে স্বামী বললেন,—“ভণিতা শুনতে চাই নে,—শীঘ্র বল।” 始 আমি বল্লাম—“যা বিশ্বাস করবে না, তা বলে’ লাভ কি ?” ক্ষণকাল স্তন্ধ থেকে বিরক্তিভরে আমার হাতখানা ছেড়ে দিয়ে দৃঢ়স্বরে স্বামী বললেন,—“বটে!” তার, পর গৃহত্যাগ করে চলে গেলেন । আমার বুকের মধ্যে কেমন করতে লাগল। আমি আমার অবসঙ্গ দেহটাকে জানালীর কবাটে রক্ষণ করে ভাপতে লাগ লাম, স্বামী অবিশ্বাস করলেও তুমি ত তা পারবে না বিশ্ব-স্বামী ! * তোমার দৃষ্টিকে আড়াল করে’ ত কারও কিছু করবার ক্ষমতা নেই পরমেশ্বর ! বাড়ীতে কদিন থেকে দুধ জীম৷. বঙ্গ হয়েছে। অন্যায় বুঝেও, আমি বাধ্য হ'য়ে খোকার