পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৮২৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

૭૪ નવit] . বাবার মুখ সৰ্ব্বদাই বিষs,–কিসের চিন্তায় দিবারাঞ্জি অল্পমনস্ক । তার স্বভাব আমি জীবনে কখনও এরূপ দেখ নি । মনে মনে স্থির করলাম,—এর কারণও বুঝি বা আমিই। " 畿 বাবা খোকার ও আমার যথাসাধ্য চিকিৎসার ব্যবস্থা করলেন। স্বামী-গৃহের পরিত্যক্ত জঞ্চাল, পিত্রালয়ের श्रणश्चरश्ञ निन जां★ ब१ि ना ;-क्रूि ख्नि भांग करन গেল। খোকার অস্থখ মধ্যে একটু কম পড়ে আবার যে বৃদ্ধি হল সে আর কমূল না,-ভুগে ভুগে মাণিক আমার এখন-তখন হল । আমিও শয্যা নিলাম,— আমার আর উত্থানশক্তি থাকুল না। তার পর একদিন যা হল,—তা যে আর ভাববারও শক্তি আমার নেই। হে ঠাকুর । সেইদিনের ঘুমটাই যদি আমার শেষ ঘূম হত ! 尊 খোকার শেষ অবস্থা। কাশতুে কাশতে আমার গলা দিয়ে অনেকটা রক্ত পড়ল। সৰ্ব্বশরীর ঘেমে উঠে অবসাদে কখন ঘুমিয়ে পড়লাম। সে কাল-ঘুম ভাঙবার পূর্কেই আমার পোষ-পাখী আমায় ফাকি দিয়ে উড়ে গেল। আঘাতের উপর আঘাত খেয়ে খেয়ে প্রাণ হয়েছিল বজ্রকঠিন। তবুও একটা বুকফাটা আৰ্ত্তস্বরে সারা বাড়ীখানাকে চমকে দিলাম । বাবা আমার মাথাটাকে দুই হাতে চেপে শ্লেষ্মা-রুদ্ধ-স্বরে বললেন —“চুপ কর মা,—লে ধৰি তোমার হ’ত তবে তোমারই থাকৃত ।” সে-দিন সকালে উঠেই বাবা সহরে চ’লে গেলেন,— বলে গেলেন—একটা মোকৰ্দমা আছে। নিয়মিত ঔষধ খাবার জন্তে আমাকে বারম্বার ব'লে গেলেন । হায় রে! এখনও নাকি ঔষধ খেয়ে আমাকে বেঁচে থাকৃতে হবে —আমার প্রাণ যে তখন চিকিৎসা,-ঔষধের অনেক দূর ব্যবধানে গিয়ে পড়েছে। আমি সারাদিনের ঔষধ গোপনে নালির মুখে ঢেলে দিলাম। সন্ধ্যার সময় বাবা উন্মত্তের মত, বিচলিত পদে এসেই আমার শষ্যার একপার্থে বসে পড়লেন। মুহূর্তকাল মীরব থেকে ইপিাতে ছাপাতে বললেন—“আচ্ছা মা ! তোমার গহনাগুলো সব এনেছ কি ?” এ প্রশ্নের কারণ বিদায়-বরণ , . ه۹ സ്.സ.സ~~.ുസ AMAMAAASAASAASAASAASAASAA AAAS ایسه با چa চিন্তা করবারও অবসর আমাকে না দিয়ে তিনি পুনরায় बन्रणन,-“चांक ७थन थाकू । छूभि चांछ cरूयन আছ ?” ८केभन जोष्ठि उ) छर्भवान् छोट्नन । উত্তর না শুনেই উঠে যাচ্ছিলেন।

  • "ভালো না।’

তিনি আমার ললাট স্পর্শ ক'রে বললেন,-"জাজ যেন জরটা বেশী হয়েছে মনে হচ্ছে।” আমি বললাম,—“কিলের মোকদ্দমা ছিল, বাবা ?” “সে আর শুনে কি করবে মা !”—বলেই তিনি তার শুষ্ক মলিন মুখখানা ফিরিয়ে চলে গেলেন। পরদিন আমাদের গ্রামের বড়লোক’ বেণী দত্ত আমাদের বাড়ীর পাশের পথে দাড়িয়ে বাবাকে লক্ষ্য ক’রে চীৎকার ক'রে বলে গেল,-“কি হে মাধব ঠাকুর । ভালয় । दांदी यांभांब्र জামি বললাম— ভালয় টাকা দেবে, না বাপের ভিটে নিলেমে চড়াবে ? T বড় না ঘটা ক’রে মেয়ের বিয়ে দিয়েছিলে । তখন মনে ছিল না,-যে, দেন শোধ করতে হবে ?* * মুহূর্ডের জন্তে একবার ভূমিকম্প হ’য়ে গেল। তার পর বেশ বুঝলাম—বাবার কিসের মোকৰ্দমা, কেন তিনি আমার গহনার সন্ধান নিচ্ছিলেন । কিন্তু, সে গহনায় ত বাবার কোন দাবী দাওয়া নেই। তবুও যদি সেগুলো আজ থাকৃত ! তাও যে সব ননদের বিয়েতে বদ্ধক পড়েছে। এখন উপায় ? ভগবান! এখনও कि আমাকে বাচতে হবে ? এখনও কি তোমার মনোবাঞ্ছ পূর্ণ হয় নি ? ভাবতে পারলাম না। কাশতে কাশতে অক্ষুটশ্বরে ডাকুলাম—“বাবা—” । আকাশ ঘোর-মেঘাচ্ছন্ন ; স্তন্ধ প্রকৃতির উদাসগম্ভীৰ্য্য প্রতি মুহূর্তেই একটা প্ৰলয়বস্কার ভয় দেখাচ্ছে। এল কাল-বৈশাখী ! তোমার ধ্বংসোন্মুখী রূত্ৰমূৰ্ত্তি T নিয়ে ;–তাণ্ডব নৃত্যে ধ্বংস ক'রে দাও এ রাক্ষসীর • ' অভিশপ্ত জীবন ; দাও প্রভঞ্জন ! তোমার ভীম পরাক্রমে ভেঙে চুরে লুপ্ত ক'রে দাও—এ কলঙ্কিত অস্তিত্ব। এস বারিধারা ! তোমার অবিজ্ঞান্ত পতনপ্লাবনে ভাসিয়ে নিয়ে যাও এ অস্পৃগু দেহ ! ও কো, শয়তানীর শেষ-বিদায়ের বরণ-বাদ্য বাজাচ্ছ বজধ্বনি ?