পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৯০৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

vcs శ్నా হিন্দুধৰ্ম্ম ঠিক এক নহে বলিয়া “হিন্দু" নামটির সর্ববাদীসন্মত সংজ্ঞা এপর্য্যন্ত নির্দিষ্ট হয় নাই। সেইজন্ত, মোটামুটি বলা হইয়া থাকে, যে, যে কেহ আপনাকে হিন্দু বলেন, डिनिहे श्लूि । दिदां८झ्ब्र नभंध्र छांडि^छन भांनिम्नां छलिटल ७ গ্রাহ্মণের পৌরোহিত্য গ্রহণ করিলে, তাহ এ পর্য্যন্ত হিন্দুত্বের একটি লক্ষণ বলিয়া গৃহীত হইয়া আসিতেছিল। কিন্তু বিবাহে জাতিভেদ না মানিয়াও ভবিষ্যতে হিন্দুসমাজে থাকা চলিবে । সব হিন্দু-জাতের লোকের ব্রাহ্মণেব প্রদত্ত জল পান বা তাহার রাধা অন্ন ভোজন করিবেন, যদিও ব্রাহ্মণ ইহাদের কাহারও রাধা অন্ন ভোজন এবং কোন কোন জাতির প্রদত্ত জল পান করেন না, হিন্দুসমাজের ইহা একটি রীতি। কিন্তু এই নিয়ম কেবল সামাজিক ক্রিয়াকৰ্ম্ম উপলক্ষে পালিত হয় ; অন্ত সময়ে, বিশেষতঃ ইংরেজীশিক্ষিত লোকদের মধ্যে, ইহার ব্যতিক্রম দৃষ্ট হয়। তা ছাড়া, যাহারা ইংরেজী শিক্ষার কোনই ধার ধারে না, নিয়শ্রেণীর এরূপ অনেক হিন্দু জাতের মধ্যে ইহার ব্যতিক্রম দেখা যায়। কয়েকটি দৃষ্টান্ত দিতেছি। মধ্য প্রদেশের ঘালিয়ারা কায়স্থদের দেওয়া লবণ গ্রহণ করে না, তাহা অপবিত্র মনে করে । মেথরের কায়স্থদের বাড়ীতে অল্প গ্রহণ করে না। ব্রাহ্মণদের নৈকট্য ভূঞ্জিয়াদিগকে অপবিত্র করে। যদি কোন ব্রাহ্মণ কোন ভুঞ্জিয়ার কুঁড়ে-ঘর ছোয়, তাহা হইলে সে ঘরটিতে আগুন লাগাইয়া পুড়াইয়া ফেলে ; কারণ তাহার বিবেচনায় উৎ এত অপবিত্র হইয়া যায়, যে, আর উহাকে কোন উপায়ে শুদ্ধ করিবার সম্ভাবনা থাকে না। বেতুলের তেলি ব্রাহ্মণের দেওয়া জল খায় না, যদিও গোড়ের দেওয়া জল খায়। * জৈনদের মধ্যে অনেকে আপনাদিগকে হিন্দু মনে করেন না, কেহ কেহ হয়ত হিন্দু নামে আপত্তি করেন না । পরেশনাথ পাহাড়ের জৈন মন্দিরে ব্রাহ্মণ পূজারী দেখিয়াছি। বৌদ্ধদের মধ্যেও বোধ হয় অনেকে হিশুনামে • আপত্তি করেন না। শুনিয়াছি, নেপালের প্রবাসী—আশ্বিন, ১৩৩০

  • Man in India, March and June, 1923, p. 72.

{ ২৩শ ভাগ, ১ম খণ্ড ^ కోvశాఖ^. অধিবাসীরা ‘হিন্দু সকলের সাধারণ নাম বলিয়া গ্রহণ করেন ; তাহাদের মধ্যে কেহ বা বৌদ্ধ, কেহ বা শৈব, ইত্যাদি । শিখদের মধ্যেও এইরূপ অনেকে হিন্দুনামে আপত্তি করেন, অনেকে করেন না। ব্রাহ্মদের মধ্যে আদি ব্রাহ্মসমাজ কখনও হিন্মুনাম ত্যাগ করেন নাই। স্বৰ্গীয় রাজনারায়ণ বন্ধ মহাশয় একসময়ে ইহার সভাপতি ছিলেন। তিনি “হিন্দুধর্মের শ্রেষ্ঠত্ব’ নামক পুস্তিকা লিখিয়াছিলেন। হিন্দুধৰ্ম্ম বলিতে তিনি ব্রহ্মোপাসনা বুঝিতেন । ব্রাহ্মসমাজের অন্যান্য শাখার কেহ কেহু আপনাদিগকে হিন্দু মনে করেন, অনেকে করেন না। আৰ্য্যসমাজের লোকেরা কাৰ্য্যতঃ বরাবরই হিন্দু আছেন, যদিও আজকাল তাহার। হিন্দুনামের প্রভি যতটা অনুরাগ প্রদর্শন করেন, আগে ততটা করিতেন না । হিন্দু মহাসভা হিন্দু মহাসভা হিন্দুর যে সংজ্ঞা নির্দেশ করিয়াছেন, তাহা হয়ত ইতিপূৰ্ব্বে কথায় কেহ স্পষ্ট করিয়া বলেন নাই, কিন্তু তাহার অন্তনিহিত ভাবটি অস্পষ্টভাবে বিদ্যমান ছিল। মহাসভার মতে যে-কেহ ভারতবর্ষে উদ্ভূত কোন ধৰ্ম্মে বিশ্বাস করেন, তিনিই আপনাকে হিন্দু বলিবার অধিকারী । হিন্দু বা “সনাতন” ধৰ্ম্ম, জৈন ধৰ্ম্ম, বৌদ্ধ ধৰ্ম্ম, শিখ ধৰ্ম্ম, ব্রাহ্মধৰ্ম্ম, ও আর্য্য সমাজের ধর্ক, এইগুলি ভারতবর্ষে উদ্ভূত প্রধান ধৰ্ম্ম । আমরা উপরে হিন্দুনাম সম্বন্ধে যাহা বলিয়াছি, তাহা হইতে দেখা যাইবে যে, এই সমুন্ধু ধৰ্ম্মসম্প্রদায়েরই কতকগুলি লোক আপনাদিগকে হিন্দু মনে করিয়া থাকেন । w - সম্প্রতি কাশীতে হিন্দুমহাসভার যে অধিবেশন হইয়া গিয়াছে, তাহাতে জি কে নারিমান নামক একজন বিদ্বান পারসী উপস্থিত ছিলেন। তিনি বলেন, যে, পারসীদের ধর্শ্ব অর্থাৎ জরথুস্ত্রের প্রচারিত ধৰ্ম্ম ভারতবর্ষে উদ্ভূত না হইলেও উহ এক্ষণে ভারতবর্ষেই স্বপ্রতিষ্ঠিত ও বিদ্যমান আছে ; অতএব, তাহার মতে পার্সীদেরও হিন্দু মহা সুভাষ যোগ দেওয়া উচিত, এবং হিন্দুমহাসভারও