পাতা:প্রবাসী (দ্বাবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/১১৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

#s ~ ~ "് "&് സ സാസ് സ്പെസ് প্রবাসী--বৈশাখ, ১৩২৯, സ് ി.സ്കൂ..സ്\ച്ച്...സ്വാ [ ২২শ ভাগ,.১ম খণ্ড - - * . পুস্তকস্থা তু যা বিদ্যা, পরহস্তগতং ধনম | . গোকুল একটা ব্যাঙ্ক কাজ করত, তার কাজ ছিল টাকা আদায় কর । দশ বছর সে এক্ট ব্যাঙ্কে কাজ - কবৃছে, কোনোদিন হিসাবে তার এক পয়সাও গোলমাল হয়নি । কৰ্ত্তার বলতেন যে তার মত বিশ্বাসী লোক দেশে ত নেইষ্ট, বিদেশেও আছে কি ন সন্দেহ ? কোনোদিন তার কামাষ্ট হতে না । কাজে সামান্য ক্রটিও তার কেউ কোনোদিন ধরতে পারেনি। এমনই কৰ্ত্তব্যপরায়ণ তৃতা সে ! সামান্য যা বেতন পেত, তাতেই তার দিন বেশ চলে, যেত। তার সামান্ত অবস্থার জন্য বিধাতার কাছে অভিযোগ করতে তাকে কেউ কখনো দেখেনি। মাঝে মাঝে তার দু-একজন বন্ধু তাকে জিজ্ঞেস কর্ত— “ওহে, তুমি গাদা গাদ টাকা নাড়াচাড়া কর, তোমার হাত কি একটুও স্বভূস্বত্ব করে না ?" সে তার উত্তরে বলতেী—“আরে তোমরাও ধেমন—যে টাকা আমার নয়, তা ত টাকাই নয়, তাকে পথের বালি বললেও হয়।" প্রতিবেশীর তাকে বড় শ্রদ্ধা ভক্তি করত। বিপদে আপদে তার পরামর্শ নেওয়াট। তার বড় প্রয়োজন মনে করত। ”来 来源 来源 臀 একদিন সে সক্কাল বেলার এক পেয়াল চ খেয়ে আর একটা সিগারেট ধরিয়ে বেরিয়ে পড়ল টাকা আদায় করতে। মাসের শেষ দিন, কাজেই অনেক টাকা সেদিন - তাকে আদায় করতে হবে। রোজ যে সময় সে বাড়ী ফিরে আস্ত, সেদিন তার অনেক পরে ও সে বাড়ী এলো না। আপন বলতে কেউ তার ছিল না; তবুও পাড়ার লোকে তার জন্তে বড় ব্যস্ত হয়ে পড়ল। সবাইকার মনে সন্দেহ হল, পথে হয়ত সে ডাকাতের হাতে পড়ে"মারা গেছে। অনেক টাকা । তার কাছে আছে। পুলিসে খবর দেওয়া হলো। খোজ করতে করতে জান গেল, সন্ধ্যা সাতটার সময় সে একটা দূরের বস্তি থেকে টাকা আদায় করে বাড়ির দিকে ফেরে। তার কাছে তখন মোট আড়াই লাখ টাকার নোট ছিল। তারপর যে তার কি হলো, সে কোথায় গল, তার কোন খবর জানা গেল না । চারিদিকের মাঠ ঘাট বন বাদাড় সব তন্নভন্ন করে খোজ করা হলো চারিদিকে তার করে দেওয়া হলে, সব বে-কাজের হলে । সে নেই, তার কোনো খবরং পাওয়া গেল না। তখন যভ-সব পাক পাক পুলিসের লোক আর ব্যাঙ্কের মোড়লর এই মনে করলেন, যে সে বিশ্বাসী লোক, টাকা নিয়ে সে কোথাও পালাতে পারে ন ; পথে নিশ্চয়ই ডাকাতের হাতে পড়ে সে মারা গেছে । তারা এটাও বুঝতে পারলেন, যে ডাকাতের দলের লোকের ডাকাতি করবার পূৰ্ব্বেই এই মতলবটা স্থির করেছিল । তার অদৃশু হবার খবর চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ল । খবরের কাগজেও খুব বড় বড় অক্ষরে ছাপা হয়ে গেল । পাড়ার লোকে বলল, “হায় হায় ! এমন একজন লোক যাওয়াতে আমাদের পাড়ার জোর অনেকপানি কমে’ গেল।” ব্যাঙ্কের কৰ্ত্তারা বললেন, “আমরা এমন লোক আর পাব না। দশ বছরে সে আমাদের যা কাজ দিয়েছে, অন্য কেউ চল্লিশ বছরেও তা দিতে পারবে না।” এই রকম নানা লোকে নানা কথা বলতে লাগল । এদিকে যখন এত-সব কাও হচ্ছে, তখন কিছু দূরের একটা সহরে বসে একজন সাধু লোক সব দেখে-শুনে মনে মনে হাস্চে । পুলিস যখন তার জন্যে আকাশ-পাতাল হাতড়ে মর্ছিল তখন সে একটা নদীর ধারে তার কাপড়চোপড় বদল করে পুরান কাপড়গুলো একটা পোটুলা করে একটা পাথরের সঙ্গে বেঁধে নদীর জলে ফেলে দেয়। তার পর নোটের থলিটাকে বেশ করে বুকের কাছে রেণে সে এখানে পালিয়ে আসে। তার মনে কোনো ভয় বা ভারন ছিল না। একটা হোটেলে সে বেশ করে থেয়ে. রাত কাটায়। পরদিন সকালে যখন সে ঘুম থেকে উঠল, তখন সে কি করবে না-কবৃবে সব স্থির করে ফেলেছে। " ধরা তাকে পড়তেই হবে, এটা তার জানা ছিল।