পাতা:প্রবাসী (দ্বাবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/১২৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

颂州] പ്പസാസസ്സ് মেন্সেরাঃ ঠিকছুএইরূপ করিয়া থাকে। খোপুতে নানা, প্রকার গয়না ব্যবহার করার প্রথা আছে—রং-বেরঙের নকল , চুলের টু ইত্যাদিশনেক কিছুই খোপায় গোজ হয়। চীনা স্ট্রেয়দের খোপার বাহার আছে নানা রকমের । 鞅 - অনেক প্ৰভুঞ্জরের মেয়ের হাতের নখ কাটে না, তাহা ঢাকুন দিয়ালুক্ষ করে । , চীন-নীর স্থান, পরিবারে যতই খারাপ বা পরাধীন হউক না কেন---এমন নারীও ঐ দেশে দেপা যায় যাহার গলার জোরে শ্বশুর শাশুড়ী এবং স্বামীকে বেশ সুৰ করিয়া থে। এইসমস্ত বৰুৱাই অনেক সময় ঘরের কত্রী হয়। স্বামী বেচারাকে সব ব্যাপারে তাহার কথা মানিয়া চলিতে হয় । চীনদেশে স্ত্রৈণ স্বামীর সম্বন্ধে নানা প্রকার গল্প প্রচলিত আছে। নারীরা অনেক সময় বেশী বুদ্ধিমান হয় এবং তাঁহাদের মনের জোরও পুরুষ অপেক্ষা বেশী হয় । এষ্ট কারণেও ত্বাহারা অনেক সময় পুরুষদের শাসন করে। চীন দেশে একখানি বিশ্বকোষ আছে—তাহাতে মোট ৬২৮ খানি পুস্তক আছে। তাছার মধ্যে ৩৭৬ খানি নারী সম্বন্ধে । পিতামাতার প্রতি ভক্তি এবং শ্রদ্ধা সস্তানদের প্রধান কৰ্ত্তব্য। পিতামাতার জীবিত অবস্থায় সব বিষয়ে তাহাদের মত লইয়া সস্তানদের চলিতে হয় । মাতার মৃত্যুতে তিন বছর শোক করিতে হয়। সেই সময় বাহিরের প্রায় সব কাৰ্যই ত্যাগ করিতে হয়। বিধবাদের স্থান চীন সমাজে খুব খারাপ নয়। তাহারা ইচ্ছা করিলে রবাহ করিতে পারে। বিধবার বিবাহে খরচ খুবই কম; এইজন্য অনেকে ৰিঙ্গ বিবাহ খুব আনদেৱ সজেই করে। সুনাই বিধবাদের எக். হীন নৌকা” বলে - সকলেই বিধবাদের একটু কৃপার চোখে দেখিয় থাকে। O কিন্তু বৰ্ত্তমানে চীনা সমাজে নারীদের মধ্যে হঠাৎ কেমন একটা জাগরণের সাড়া আসিয়াছে। এতদিনকার সালস্ত আর পুরুষ-প্রাধান্য এতদিন পরে হঠাৎ তাহারা ছিড়িবার জন্য উঠা-পড়িয়া লাগিয়াছে। মহিলা-মজলিসূ–চীনদেশের নারী

輩 চীনাকুন্দরীর খোপার গহন । ঐখন নারীর আমেরিকার নারীদেরও পাল্লা দিতে চলিয়াছে। প্লিকিংএর কলেজে নারী এবং পুরুষ একসঙ্গে ক্লিদ্যালাউ করিতেছে । शैन ऑडिशन এ ব্যাপার এই প্রথম । কেহ ইহার কল্পনাও করিতে পারেনাই । বালিকার নানা রকমের খেলা দশজনের সামনেই স্বরু করিয়া দিয়াছে। চীনদেশের সবচেয়ে শিক্ষিত প্রদেশে হনানে নারীরা ভোটের অধিকার পাইয়াছে। অনেক চীনা সরকারী কৰ্ম্মচারী মেয়েদের কাছে, গালে চড় খাইয়াছেন। মেয়ের দলবদ্ধ হইংixভাট দিবার এবং অন্যান্ত ন্যায়-সঙ্গত অধিকার দাবী করিয়েছেন। চারিদিকে নারী-শিক্ষার ধুম পড়িয়া গিয়াছে। পুরুষরাও এই নারী-জাগরণ কোন প্রকার মন্দ চোখে দেখিতেছে না। তাহারাও অনেক কার্য্যে মেয়েদের সাহায্য করিতেছে । এইসমস্ত দেখিয়া মনে হইতেছে—চীন ফরী-সমাজ আর খুব বেশীদিন অন্যান্ত সভ্যদেশের নারী-সমাজের পশ্চাতে পড়িয়া থাকিবে না। গোড়া চীনা-পুরুষসমাজ নারী জাগরণকে খুব ক্ষেঙ্গের চোপে দেখে না, কিন্তু তাগণের গলার স্বর বড় ক্ষীণ, কারণ সে দলে লোক বড় কম ।