পাতা:প্রবাসী (দ্বাবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/১৯৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

. പ് പു-പ്പതു സ്-സ്TarunnoBot (আলাপ)്-ു ഫ്-- ২য় সংখ্যা ] অব্যক্ত ও ব্যক্ত SOම් অব্যক্ত ও ব্যক্ত চতুর্দিক ব্যাপিয়া যে মৌন জীবন প্রসারিত, তাহার অব্যক্ত ক্ৰন্দন আচাৰ্য্য জগদীশচন্দ্র জগৎ-সম্মুখে সৰ্ব্বপ্রথম প্রকাশ করিলেন [ অব্যক্ত—আচার্ষ্য শ্রীজগদীশচন্দ্র বস্ব, এফ-আর-এস প্রণীত- গুরুদাস চট্টোপাধ্যায় এগু সন্স প্রকাশিত—মূল্য ২০ ] । বিজ্ঞান তো সাৰ্ব্বভৌমিক। তবে বিজ্ঞানের মহাক্ষেত্রে এমন কি কোন স্থান আছে, যাহা ভারতীয় সাধকের সাধনা ব্যতীত অসম্পূর্ণ থাকিবে ? পাশ্চাত্য দেশে বিজ্ঞানকে খণ্ড খণ্ড করিয়া ভাঙ্গিয়া ছোট ছোট গণ্ডীর মধ্যে পূরা হইতেছে, বিভিন্ন শাখার মধ্যে অভেদ্য প্রাচীর তোলা হইতেছে। দৃপ্ত জগং ৱিচ্চিত্র এবং বহুরূপী । এই সতত। চঞ্চল প্রাণী আর এই চির-মৌনী অবিচলিত উদ্ভিদ, ইহাদের মধ্যে তো কোন সাদৃশ্ব দেখা যায় না । কিন্তু বিংশ শতাব্দীর প্রারম্ভে এই ভারতবর্ষে উঠিলেন এক সাধক, যিনি র্তাহার চিন্তাকে কল্পনার উন্মুক্ত রাজ্যে অবাধে প্রেরণ করিয়া আবার পর মুহূৰ্ত্তে তাহাকে শাসনের অধীনে আনিয়া প্রকৃতির এই বৈষম্যের মধ্যে একতার সন্ধানে ছুটিলেন, এবং জড়, উদ্ভিদ ও জীবের মধ্যে এক সেতু বাধিয়া দিলেন । এই বৈচিত্র্যময় বিশ্বে যে মহান্‌ স্বমধুর ছন্দের সন্ধান আছে, ভারতের কবি জগদীশচন্দ্র সেই ঐক্য প্রতিষ্ঠিত করিলেন ; তবে কবি হইয়াও তিনি বৈজ্ঞানিক। তাই কবি যেখানে শুধু যেন বলিয়৷ ক্ষান্ত থাকিতেন, সেখানে কবি ও বৈজ্ঞানিক জগদীশচন্দ্র দৃঢ়স্বরে বলিলেন—এস, দেখ, এই সেই । ভারতীয় সাধক নানা পথ দিয়া পদার্থবিদ্যা, উদ্ভিদবিদ্যা, প্রাণী-বিদ্যা ও মনস্তব-বিস্তাকে এক কেন্দ্রে মিলিত করিয়া বিজ্ঞানের এই চতুৰ্বেশীসঙ্গমরূপ মঙ্গাতীর্থ স্থাপিত করিলেন। জার্মান অধ্যাপক হার্টস সর্বপ্রথমে বৈদ্যুতিক উপায়ে আকাশে ঢেউ উৎপাদন করেন। আকাশের স্পদনেই যখন আলোর উৎপত্তি, তখন হার্ট উৎপাদিত এই অদৃপ্ত আলোক ও দৃশু আলোকের প্রকৃতি একই হওয়া উচিত। কিন্তু হার্টসের ঢেউগুলি অতি বৃহদাকার বলিয়া সেই ঢেউ ও দৃশু আলোকের প্রকৃতির সামঞ্জস্য প্রতিষ্ঠিত করা স্বকঠিন হইল। আচাৰ্য্য জগদীশচন্দ্র এক কল নিৰ্মাণ করিলেন, যাহা হইতে অদৃশ্ব আকাশেৰ্ম্মির দৈর্ঘ্য দৃশু আলোকের দৈর্ঘ্যের কাছাকাছি গিয়া পৌছিল । এই কলে একটি ক্ষুদ্ৰ লণ্ঠনের ভিতরে তাড়িতোশ্মি উৎপন্ন হয় ; একদিকে একটি খোলা নল ; তাহার মধ্য দিয়া অদৃশ্ব আলোক বাহির হয় এবং অপর দিকে সেই অদৃপ্ত আলোক দেখিবার জন্য একটি কৃত্রিম চক্ষু | এই যন্ত্র দ্বারা তিনি বিশদ ভাবে প্রতিষ্ঠিত করিলেন, যে, দৃশ্ব ও অদৃশু আলোকের প্রকৃতি একই, যদিও আমাদের দৃষ্টিশক্তির অসম্পূর্ণতা হেতু উহাদিগকে বিভিন্ন বলিয়া মনে করি। অদৃশ্ব আলোক ইটপাটকেল ঘরবাড়ী ভেদ করিয়া অনায়াসেই চলিয়া যায়, স্বতরাং ইহার সাহায্যে বিনা তারে সংবাদ প্রেরণ করা যাইতে পারে। ১৮৯৪ সালের শেষভাগে প্রেসিডেন্সী কলেজে এইরূপে বিনা তারে সংবাদ প্রেরিত হইল । ১৮৯৫ সালে কলিকাতা টাউনহলে এ সম্বন্ধে তিনি বিবিধ পরীক্ষা প্রদর্শন করিলেন । বাঙ্গালার লেফটেনাণ্ট গবর্ণর স্যার উইলিয়াম মেকেঞ্চি সেখানে উপস্থিত ছিলেন । বিদ্যুৎ-উৰ্ম্মি তাহার বিশাল দেহ এবং আরও দুইটি রুদ্ধ কক্ষ ভেদ করিয়া তৃতীয় কক্ষে একটি লোহার গোলা নিক্ষেপ করিল, পিস্তল আওয়াজ করিল এবং বারুদস্তুপ উড়াইয় দিল। ইহার কয়েক বৎসর পরে মার্কনী তারহীন সংবাদ প্রেরণ করিবার পেটেণ্ট গ্রহণ করিলেন । পূৰ্ব্বে দূরদেশে কেবল টেলিগ্রাফের তার দিয়া সংবাদ প্রেরিত হইত, আজ মহুষ্যের কণ্ঠস্বরও বিনাতারে আকাশতরঙ্গের সাহায্যে স্বরে শ্রত হইতেছে। "ষ্ঠের পরিমাণ কতই ক্ষুদ্র, কিন্তু অদৃষ্ঠ যে সীমাহীন। তবে ত আমরা সেই অসীমের মধ্যে একেবারে দিশহারা ! কতটুকুই ব৷ দেখিতে পাই ? একান্তই অকিঞ্চিৎকর। অসীম জ্যোতির মধ্যে অন্ধবৎ ঘুরিতেছি এবং ভগ্ন দিকুশলাকা লইয়া পাখার লম্বন করিতে প্রয়াস পাইয়াছি। হে অনন্তপথের যাত্রী, কি সম্বল তোমার ? সম্বল কিছুই নাই, আছে কেবল অন্ধ বিশ্বাস, যে বিশ্বাস-বলে প্রবাল সমুদ্রগর্তে দেহাস্থি দিয়া মহাৰীপ রচনা করিতেছে। জ্ঞানসাম্রাজ্য এরূপ অপিাতে তিলতিল করিয়া বাড়ির উঠতেছে। আঁধার লইয়া আরম্ভ,