পাতা:প্রবাসী (দ্বাবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/২২৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ع - عی » به تهیه -- সেদিন সমস্ত দুপুর ও বিকেল আমার সেই শীর্ণদেহ আনাকিষ্ট বন্ধুর সঙ্গে অশ্ৰান্ত তর্ক করে শ্রান্ত হয়ে পড়েছিলুম। টুর্গনিভ, তার এক নভেলে রুদযুবক সম্বন্ধে লিখেছেন–রাসিয়ানরা অফুরন্ত তর্ক চালাতে ওস্তাদ । কিন্তু তিনি যদি বঙ্গযুবকদের সঙ্গে পরিচিত থাকতেন তবে তাকে স্বীকার করতে হত অপরিসীম তর্ক করবার অপরিমেয় শক্তিতে বঙ্গযুবকদিগের নিকট রুসযুবকগণও হার মানে ; রুডিনের অপেক্ষ বক্‌বীর এদেশে অনেক প্রবাসী—জ্যৈষ্ঠ, ১৩২৯ SAAAAAA SSAAAASS SAA AA S ASAA AA ASAA AA ASASASA AAA AAAA AAAA AAAAMSAAAAAA AAAASASASS -- - সব পেয়েছির দেশে { ২২শ ভাগ, ১ম খণ্ড Ar মত বাতালে নৃত্য করছে ; শহুল একটা কুছ ডেকে উঠল । অবাক হয়ে চম্কে দেখি, রাস্তার মোড়ে যে বৃদ্ধ ভিখারিণী করুণ আৰ্ত্তনাদে ভিক্ষা চাইত, আর যে ছোট মেয়েটা ভয়ঙ্কর ময়লা ছেড়া নেক্ড পরে আঁস্তাকুড়ে জাস্তাকুড়ে ছেড়া কাগজ আর নেকৃড়া কুড়িয়ে বেড়াত, তারা জ্যোৎস্বার মত শুভ্ৰ নিৰ্ম্মল বসন পরে হাস্ছে আর খেলা করছে। রোজ যখন এই পথ দিয়ে গেছি—ওই ভিখারিণীর কঙ্কালসার দেহ ভীতিপ্রদ করুণ মুখ দেখে চোখ বুজতেই খুঁজে পেতেন। সোসিয়ালিজম, অ্যানারকিজম, নিহিলিজম ইচ্ছে করেছে ; দেখেছি—মানব-শক্তি ও সভ্যতার কমিউনিজম্—অনেক ইজম-এর ঘাতপ্রতিঘাতে ম্যার্কস, টলষ্টয়, ক্রেপিট্‌কিন, লেলিন, গান্ধী, অনেক বিদ্যুন্ময় নামের —ম্প্রঘন শব্দ-উৎসবে তর্কের ঝড় উদ্ধাম হয়ে উঠুছিল । তর্ক হয়ত সারারাত থামৃতো না, ভাগ্যক্রমে আমার বন্ধুর মনে পড়ে গেল কোন আড়ায় কি বিষয় নিয়ে তার অদ্ভূত বাক্‌চাতুরী দেখাবার নিমন্ত্রণ আছে। আমাকে রেহাই দিয়ে তিনি যখন গেলেন তখন সন্ধ্যার স্নিগ্ধতাহীন অন্ধকার । চেয়ারটা টেনে বারান্দায় এসে বস্লুম, বিষনিশ্বাসের মত ধূমে আতঙ্কিত নগর দুঃস্বপ্নের মত পড়ে' রয়েছে, ধোওয়ার কুঙ্কটিকা পার হতে ন পেরে চাদের আলো করুণনয়নে চাইল । রজনীগন্ধার ঝাড়টা ড্রেনের দুর্গন্ধের কাছে হার মেনে নতমুখে পড়ে রয়েছে ; দূরে গ্যাসের আলোটা যেন কোন চিরজালাময় তৃষ্ণা-লোকের প্রহরীর মত দাড়িয়ে । কিছুক্ষণ বসে দম আটকে আসতে লাগল। বাড়ী ছেড়ে রাস্তায় বেরিয়ে পড়লুম। পথে কোথাও একটু ধোওয়ার কালিমা নেই ; অকলঙ্ক নীলাকাশে তারালোক জুইফুলের ঝাড়ের মত মাথার ওপর ছেয়ে রয়েছে ; স্থধাসৌরভময় বসন্তের বাতাস বইছে। আশ্চৰ্য্য হয়ে গেলুম। মনে হলো কোন রূপকথার স্বপ্নময় সৌন্দৰ্য্যলোকে এসে পৌঁছেচি। মোড়ের কাছে যে ভাষ্ট্রবিনটা ছিল, সেটা কোথায় অদৃশু হয়ে গেছে, তার জায়গায় একটা সোনালী ডালিয়া ফুলের মাছ ; তার পাশে যে পত্রহীন শীর্ণ কৃষ্ণচূড়াগাছ দিন দিন দীর্ণ হচ্ছিল, সেটা ফুলে ফলে ভরে নটবর অগ্নিশিখার মঙ্গদম্ভের মত মোটরকার তার পাশ দিয়ে জয়ধ্বনি করে? চলে গেছে, কিন্তু সে আইনিশি করুণ ক্ৰন্দনে সবাইকে এই কথাই স্মরণ করিয়েছে-মানব-সভ্যতা একদিকে মোটরকার আর একদিকে এই রোগ-দারিদ্র্যের মূৰ্ত্তি হষ্টি করে চলেছে । আজ তার মুখের হাসি দেহের দিব্য শ্ৰী দেখে বহুক্ষণ চেয়ে রইলুম। মন-ভোলানে বঁাশীর ভান কানে এলে । ওই কোণে যে বিড়ির দোকানটা ছিলো, সিগারেটের ও দেশলাইয়ের বাক্স দিয়ে তৈরী ঘরে বসে যত পক্ক ও অকালপক্ক লোকগুলো ছোট ছেলেদের নিয়ে সারাদিন বিড়ি পাকাতে আর অশ্লীল গল্প কবুত, তাদের হীনবাস কালিভরা-মুগ্ধ ও বিড়ির গদ্ধে স্থানটায় যেতে ঘৃণা হত—দেখি, সে বিড়ির দোকান নেই, সেখানে এক কদমফুলের গাছ উঠেছে, আর তার তলায় মুসলমান ছেলেরা লাল নীল নানা রংএর সাজ পরে' বঁাশী বাজাচ্ছে। আর ওইখানে যে মহাপঙ্কিলতাময় ভয়ঙ্কর বস্তি ছিল, যেখানে নর্দমায় নর্দমায় বাধা জল পচে, রুদ্ধ মাটির কূপে কূপে দাসত্বপীড়িত প্রাণ পচে, সভ্যতার বন্ধস্রোত পচে বিবিয়ে ওঠে, স্বর্ঘ্যের আলো কি জ্ঞানের আলো যেখানে পৌছাতে পারে না, দখিন বাতাস কি প্রেমের হাওয়া প্রবেশ করতে পথ খুঁজে খুঁজে ফেরে, পাপবিভীষিকাময় রো।াতঙ্কিত ছুঃখদারিদ্র্যের চিরঅন্ধকাৰময় রাত্রিলোকে ভূতের মত মানুষের ঘোরে— অবাক হয়ে দেখলুম , আদিমযুগের অসভ্যমানুষের গুঙ্গগহবরের চেয়েও ভয়ঙ্কর সেই শ্রমিক জন্তুদের খোলা