পাতা:প্রবাসী (দ্বাবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/২৩৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

>సెbు SAAAAAA AAAAeeAAA SAAAAA SAAAA SAS A SAS SSAS সেই শিল্প-সৌন্দর্ঘ্যের সামনে মাথা নত হয়ে এলো। একটু জনবহুল পথে গিয়ে পড়লুম। বন্ধু বল্পে—এই দেখ আমাদের "দেশের গাড়ী । জন্তুদের মত দেখতে বটে ওরা, সত্যি জন্তু নয় । একটি লাল ঘোড়ায় চড়িয়ে মা তার ছেলেকে টেনে নিয়ে গান গাইতে গাইতে চলেছে, এক বুড়োকে এক ভেড়ার ওপর বসিয়ে তার নাৎনী টানছে আর হাসছে, এক ময়ূরের গাড়ীতে বসিয়ে প্রেমিক তার প্রিয়াকে ফুট বাজাতে বাজাতে টেনে নিয়ে চলেছে। সব শব্দ একটা গানের স্বরের মত বাজছে। বল্লুম-এ যে সব মানুষ-টানা গাড়ী ! —না, গাড়ীগুলো নিজেরাই যেতে পারে, ওরা ইচ্ছে করে টানছে। কি আনন্দে হাস্ছে দেখুছ! - - রাজহংসের মত একটি মখমলে-মোড়া গাড়ী পথের পাশে পড়ে ছিল, বহুম—তুমি একটু বসে না, আমি একটু টানি । গৰ্ব্বোংফুল্ল মুখে হেসে বন্ধু বল্লে—ন, পায়ে চলতেই আমার বেশ লাগৃছে। এ পথ পেরিয়ে এক পদ্মৰনের ধারে এক বড় বাড়ীর সাম্নে এসে পৌছলুম। —এত বড় বাড়ী ত আগে কোথাও দেখিনি ? —এটা সবাইয়ের খাবার বাড়ী কি না, তাই একটু বড়। বড় বাড়ী আমরা তৈরী করিনি, বিংশ-শতাব্দীর কয়েকখানা বড় বাড়ী ভাঙা হয়নি। ওই যে দূরে বাড়ীখান দেখৃছ ওটা নাকি ছেলে-মেয়েদের কলেজ ছিল, এখন আমরা ময়দার গুদাম ছাড়া কোন কাজে লাগাতে পারিনি। —বাড়ীর কিন্তু গুণ আছে, এর সাম্নে এসেই আমার গিদে পাচ্ছে । —এসে না কিছু খেয়ে নেওয়া যাকৃ—কি রকম ভাবে খাবে বল তো ! —কি রকম মানে ? —কারুর বাড়ীতে উঠে তার অতিথি হয়ে খেতে পারে, অথবা দোকান বা ভাণ্ডার থেকে জিনিষ এনে গাছের তলায় আলাদা রান্না করে খেতে পারে, অথবা সাধারণ ভোজনাগারে গিয়ে । ** প্রবাসী—জ্যৈষ্ঠ, ১৩২৯ AAAAAA AAAA AAAAMAMJJA AJAAMAMAAA AAAA AAAA AAAA AAAJM AMMMeMeMMMMAMAMMMAMMMMMMSSMMSMMMMMMA MMMJAAASAAAA [ ২২শ ভাগ, ১ম খণ্ড —তোমাকে তো একবার রাধালুম, আর কষ্ট দেবে। ' না—চলে এই খাবারের বাড়ীতেই ঢোকা যাক্ । মাৰ্ব্বেলের প্রাসাদে ঢুকে পড়লুম। সামনেই শ্বেতপাথরে গড় শম্বধবল লক্ষ্মীর মূৰ্ত্তি, তারপর সাদা মাৰ্ব্বেলের প্রকাও ঘর। লাল নীল কত রংএর আলো জলছে, চারিদিকে ছোট ছোট নানা রংএর পাথরের কারুকার্য্যময় টেবিল, তাদের ঘিরে চন্দনকাঠের চেয়ার মখমল-মোড় । হংসমিথুন-জাক এক রাজহংসের মত সাদা পাথরের টেবিলে এক কোণে আমরা দুজন বসূলুম। —কে আমাদের খাবার এনে দেবে ? —তুমি ভাৰ্ছ ধান্‌সামাকে ডাক্বে?—এখানে হয় কোন বন্ধু আননের সঙ্গে খাওয়ায়, না হলে নিজের রোধে খাবার জিনিষ বয়ে নিয়ে আসতে হয়। আমাদের টেবিলের একপাশে কয়েকজন পাকা আমের মত বৃদ্ধ গল্প করছে দেখে আমি একটু সঙ্কুচিত হয়ে উঠলুম, তারপর দেখলুম, দিদিমা-ঠাকুমাদের মত অনেক প্রৌঢ়া নারী তসর-গরদের কাপড় পরে প্রতি টেবিলের ধারে ধারে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। বন্ধু আমার দিকে একটু মুচকে হেসে বল্পে - কোন ভয় নেই, এদেশের বৃদ্ধের বিভীষিকার বস্তু নন, বুঝলে ?— এখানে যারা রোধে আনন্দ পায় তারা রাধতে আসে, আর যারা খাইয়ে আনন্দ পায় তারা খাওয়ায়। ওই বর্ষীয়সীরা প্রতি টেবিলে খাওয়ানো তদারক করে বেড়াচ্ছেন । আমরা বসবার একটু পরেই মোগল-বেগমের মত সাজ পরে’, কেশে কেতকীর মালা জড়িয়ে এক বালা আমাদের কাছে হেসে দাড়িয়ে বল্লে—বন্ধু, ডোমরা কি খাবে বলে, আমি আজ এক বাদশাহী পোলাও আর কাবাব রেখেছি, তোমাদের খাওয়াতে পারলে ভারি আনন্দ পাব । v’ আমি হেসে বল্লুম—তোমার যা-খুসি নিয়ে এসো। তার পেছনে তার বন্ধু মোগল-বাদশার বেশ পরে’ দাড়িয়ে ছিল, সে বল্লে-কিসের থালায় আনুব ? রূপোর, না কাচের, না মাটির ? \ -কাচের থালাতেই নিয়ে এসে । অবাক হয়ে চারিদিকে চাইলুম-কত রকমেম সাজ ।