পাতা:প্রবাসী (দ্বাবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৩২৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২৯২ প্রবাসী—জ্যৈষ্ঠ, ১৩২৯ { ২২শ ভাগ, ১ম খণ্ড এমন সময় একদিন ভোরের স্বপ্নে রাজপুত্রের কানে একটি বাশির স্বর এল। জেগে উঠেই রাজপুত্র বললে, “জাজ পাব দেখা ।” 3 তখনি ঘোড়ায় চড়ে কামাক সরোবরের তীর বেয়ে চলুল, পৌঁছল কামাক সরোবরের ধারে । দেখে, সেখানে পাহাড়েদের এক মেয়ে श्रृंष्ट्रातरनग्न १८ब्र तृटन अांrछ् । श्रएट्रीब्र उठां★ अण ७ब्रl, किड़ शांüद्र থেকে সে ওঠে না। কালে মেয়ের কানের উপর কালে চুলে একটি শিরীষ ফুল পরেছে, গোধূলিতে যেন প্রথম তারা । রাজপুত্র যোড় থেকে নেমে তাঁকে বলে, “তোমার ঐ কানের শিরীষ ফুলটি আমাকে দেবে ?” যে হরিণী ভয় জানে ন৷ এ বুঝি পেই হরিণী ? ঘাড় বেঁকিয়ে একবার সে রাজপুত্রের মুখের দিকে চেয়ে দেখলে। তখন তার কালে৷ চোপের উপর একটা কিসের ছায়। আরো ঘন কালে হয়ে নেমে এল—ঘুমের উপর যেন স্বপ্ন, দিগন্তে যেন প্রথম শ্রাবণের সঞ্চার । মেয়েটি কান থেকে ফুল খসিয়ে রাজপুত্রের হাতে দিয়ে বলে, “এই নাও।” রাজপুত্র তাকে জিজ্ঞাসা করলে, “তুমি কোন পরী, আমাকে সত্য করে বল ।” শুনে একবার মুখে দেখা দিল বিস্ময়, তার পরেই আশ্বিন মেঘের আচমূক বৃষ্টির মত তার হাসির উপর হাসি, সে হাসি আর থামৃতে চায় না । রাজপুত্ৰ মনে ভাল, “স্বপ্ন বুঝি ফলে—এই হাসির স্বর যেন সেই বঁশির স্বরের সঙ্গে মেলে ।” রাজপুত্র ঘোড়ায় চড়ে দুই হাত বাড়িয়ে দিলে, বললে, “এস ।" সে তার হাত ধরে ঘোড়ায় উঠে পড়ল, একটুও ভাবল না। তার জলভরা ঘড়া যাটে রইল পড়ে । শিরীষের ডাল থেকে কোকিল ডেকে উঠল, কুছ কুছ কুছ কুহ। রাজপুত্র মেয়েটিকে কানে কানে জিজ্ঞাসা করলে, “তোমার নাম কি ?” সে বললে, “আমার নাম কাজরী।” উদাস কোরার ধারে দুজনে গেল সেই পোড়ো মন্দিরে। রাজপুত্র বললে, “এবার তোমার ছদ্মবেশ ফেলে দাও।” সে ৱল্‌লে, “আমরা বনের মেয়ে, আমরা ত ছদ্মবেশ জানি নে।” রাজপুত্র বললে, “আমি যে তোমার পরীর মূৰ্ত্তি দেখতে চাই ।” . পরীর মূৰ্ত্তি। আবার সেই হাসি, হাসির উপর হাসি। রাজপুত্র ভাৰলে, “এর হাসির স্বর এই ঝরণার সঙ্গে মেলে, এ আমার এই ঝরণার পর l” রাজার কানে খবর গেল, রাজপুত্রের সঙ্গে পরীর বিয়ে হয়েচে । রাজবাড়ি খেকে ঘোড় এল, হাতি এল, চতুর্গোল এল। কােজর জিজ্ঞাল করলে, “এ-সব কেন ?" রাজপুত্র বললে, “তোমাকে রাজবাড়িতে যেতে হবে।” তখন তার চোখ ছলছলিয়ে এল । মনে পড়ে গেল, তার ঘরের আঙিনায় শুকোবার জন্তে ঘাসের বীজ মেলে দিয়ে এসেছে ; মনে পড়ল তার বাপ আর ভাই শিকারে চলে গিয়েছিল, তাদের ফেরবার नमग्न शाक ; जांब्र बन गङ्मण उांब विरजङ अकनि cशौडूक cशत्र বলে তার মা গাছতলায় ঠাত পেতে কাপড় বুনচে, আর গুন গুন করে গান গাইচে । সে বললে, “ন, জামি বাব ਕਿ” কিন্তু ঢাক ঢোল বেজে উর্দুল, বাজুল বাঁশি, কাসি, দামাম-ওর কণ শোনা গেল না । कङ्कर्मीज cषक कांछन्नैौ शश्वन ब्रांछदांप्लोरङ नाम्ल, ब्रांजभश्शैि কপাল চাপৃড়ে বললে, “এ কেমনতর পরী?” রাজার মেয়ে বলে, “ছি, ছি, কি লজ্জা ।” মহিনীর দাসী বললে, “পরীর বেণটাই বা কি রকম ?” রাজপুত্র বললে, "চুপ কর, তোমাদের ঘরে পরী ছদ্মবেশে এসেচে।" 粤 দিনের পর দিন যায় । রাজপুত্র জ্যোৎস্নারাত্রে বিছানার জেগে উঠে চেয়ে দেখে কাজরীর ছদ্মবেশ একটু কোথাও খসে পড়েছে কি না । দেখে যে কালে মেয়ের কালে চুল এলিয়ে গেচে, আর তার দেহখানি যেন কালে পাথরে নিখুৎ করে খোদা একটি প্রতিমা । রাজপুত্র চুপ করে যসে ভাবে, “পরী কোথায় লুকিয়ে রইল, শেখ রাতে অন্ধকারের অীড়ালে উষার মত ।” রাজপুত্র ঘরের লোকের কাছে লজ্জা পেলে । একদিন মনে একটু রাগও কল। কাজরী সকল বেলায় বিছান। ছেড়ে যখন উঠতে যায় রাজপুত্র শক্ত করে তার হাত চেপে ধরে বললে, “আজ তোমাকে ছাড়ব ন,—নিজরূপ প্রকাশ কর, আমি দেখি ।” এমনি কথাই শুনে বনে যে হাসি হেসেছিল সে হাসি আর বেরল না। দেখতে দেখতে দুই চোখ জলে ভরে এলে । রাজপুত্র বললে, “তুমি কি আমার চিরদিন ফাকি দেবে?” সে বললে “ন, আর নয়।” রাজপুত্র বললে, “তবে এইবার কাৰ্ত্তিকী পূর্ণিমায় পরীকে যেন সবাই দেখে ।” o পুর্ণিমার চাদ এখন মাঝ গগনে। রাজবাড়ীর নহবতে মাঝরাতের সুরে ঝিমিঋিমি তান লাগে। রাজপুত্র বরসজ্জা পরে হাতে বরণমালা নিয়ে মহলে কল, পরীবৌয়ের সঙ্গে আজ হবে তার শুভদৃষ্টি । - শয়নঘরে বিছানায় শাদা আস্তরণ, তার উপর শাদ কুন্দ ফুল রাশকরা ; আর উপরে জানলা বেয়ে জ্যোৎস্ন পড়েচে । আর কাজরী ? সে কোথাও নেই । তিন প্রহরের বাঁশি বাজল । চাঁদ পশ্চিমে হেলেচে। একে একে কুটুম্বে ঘর ভরে গেল । পরী কই ? * ** श्रृं* রাজপুত্র বললে, “চলে গিয়ে পরী আপুন পরিচয় দিয়ে যায়, আর তখন তাকে পাওয়া যায় না।” (বঙ্গবাণী, বৈশাখ ) €ীরবীন্দ্রনাথ ঠাকুর