পাতা:প্রবাসী (দ্বাবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৩৩২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২য় সংখ্যা ] ভারতবর্ষের সম্পূর্ণ স্বাধীনতা লাভকে তিনি যে কেন জাতিগত (racial ) স্বাধীমতা আখ্যা দিলেন, তাহ জানিতে ইচ্ছা হয়। এই প্রশ্নের মীমাংসার ভিতর জাতিগত ভাবকে টানিয়া আনিবার প্রয়োজন কি ছিল ? ভারতবর্ষ যদি কখনও স্বাধীনতা লাভ করে, তাহা হইলে সে স্বাধীনতাকে জাতিগত বলা চলিবে না, এমন নয়, তাহা জাতিগতই হইবে, কিন্তু কেবলমাত্র উহা জাতিগত বলিয়াই বা একমাত্র সেই কারণেই ভারতবাসী স্বাধীনতা চায় না। স্বাধীনতা আকাঙ্ক্ষা করা মানুষের স্বভাব— শাসকসম্প্রদায় ও প্রজা যদি একজাতীয় হন শহা হইলেও, ७द२ शनि डिग्नखांउँौग्न श्न उांश श्ड्रेरण७ ; शउब्रांश যে-ক্ষেত্রে শাসকগণ ভিন্নজাতীয়, সেখানে তাহাদের ভিন্নজাতীয়তার উপর অতটা জোর দেওয়া উচিত নয় ; কেন-না তাহাতে ইহা মনে হইতে পারে, যে, কেবলমাত্র ঐ বিভিন্নতার জন্যই যেন শাসিত মানুষরা স্বাধীনতা প্রার্থনা করিতেছে। যে-সকল আমেরিকান ঔপনি বেশিক ইংলণ্ডের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করিয়া স্বাধীনতা অর্জন করিয়াছিলেন, তাহারা আপনাদের স্বজাতীয় শাসকসম্প্রদায়ের বিরুদ্ধেই যুদ্ধ করিয়াছিলেন । র্তাহাদের শাসনকৰ্ত্তাদের দল যদি ভিন্নজাতীয় হইতেন, তাহা হইলে সম্ভবতঃ তাহারা আরো পূৰ্ব্বেই স্বাধীন হইবার চেষ্টা করিতেন। ভারতবর্ষ ও অন্যান্ত অধীন দেশের পক্ষে সম্পূর্ণ স্বাধীনতা সীমাবদ্ধ ও আংশিক স্বাধীনতা অপেক্ষ অধিক প্রয়োজনীয় ও কল্যাণকর কি না, ইহাই আসলে বিবেচনা করিবার বিষয়। ইতিহাসে আমরা ইহাই দেখিতে পাই, যে, বিজেতা ও বিজিত যেখানে ভিন্নজাতীয়, সেখানে সম্পূর্ণ স্বাধীনতা পাইবার ইচ্ছা অধিক প্রবল। কিন্তু ইতিহাস ইহাও বলে, যে, যেখানে বিজেতা ও,শাসিত একই জাতীয়, সেখানেও স্বাধীনতা লাভ করিবার ইচ্ছা বৰ্ত্তমান থাকে স্বতরাং ভারতবাসীরা অথবা একদল ভারতবাসী যদি স্বাধীনতা লাভ করিতে চান, তাহা হইলে সে ইচ্ছাকে কিছুমাত্র অস্বাভাবিক বলা চলে না। র্তাহাদের শাসনकéब्राgष ख्द्रिजाउँौश, श्शूरड उंशराब पाशैनडा লাভেৰ আকাঙ্ক্ষা বুদ্ধি পাইবারই কথা, ছাস পাষ্টলীর বিবিধ প্রসঙ্গ—স্বাধীনতার বিরুদ্ধে বৃহৎ ব্রিটিশ লাঠির যুক্তি MMMMMAMMMAMAMMMAMMJJAMJMAJJAJAMAMAMAAA AAASS ২৯৫ AMAMA AMAMAMMAMMAAA AAAA SAAMAAASAAAS কথা নয়; ইতিহাস ও জীববিজ্ঞান, ইহাই বলে। স্বতরাং তাহারা স্বাধীনতা লাভ করিতে চাহিলে সেটা জাতিগত (racial ) স্বাধীনতাও হয় বলিয়া তাহাদের স্বাধীন হইবার আকাঙ্ক্ষাটাই মারাত্মক দোষ, এমন কথা বলা চলে না। বরং একটি ভিন্নজাতীয় শাসক দ্বারা শাসিত ও অন্তটি সমজাতীয় বিজেতা প্রভুর অধীন, এইরূপ দুইটি অধীন জাতির বিষয় বিবেচনা করিলে, ঐতিহাসিক ও জীববিজ্ঞানবিং নিসংশয়িত রূপে এই মতই প্রকাশ করিবেন, যে, প্রথমোক্ত জাতিটির স্বাধীনতা লাভের আকাঙ্ক্ষা শেষোক্তটির তদ্রুপ আকাঙ্ক্ষা অপেক্ষা অধিকতর স্বাভাবিক ও স্থায়সঙ্গত। গ্রীক বনাম তুর্ক, বুলগেরিয়ান বনাম তুর্ক, সার্ডিয়ান্‌ . বনাম তুর্ক, আর্মেনিয়ান বনাম তুর্ক, এই চারিস্থলেই দেখা যাইতেছে যে বিজেতা ও বিজিত ভিন্নজাতীয়। কিন্তু গ্রীক, বুলগার, সার্ডিয়ান বা আৰ্ম্মেনিয়ানকে তাহাদের জাতিগত স্বাধীনতা লাভের প্রচেষ্টায় সাহায্য করিতে ইংরেজের ত কোথাও বাধে নাই ? আমরা জানি, যে, তুর্কদিগকে অত্যাচারী ঘোষণা করিয়াই ইংরেজ ঐ-সকল অধীন জাতির পক্ষ অবলম্বন করিয়াছিলেন । কিন্তু, ইংরেজদের মতে, ইংরেজ ত মিশরের উপর অত্যাচার করেন নাই, তবে তাহারা মিশরকে স্বাধীনতা দিয়াছেন বলিয়া ঘোষণা করিলেন কেন ? উহা শুধু স্বাধীনতা নয়, আবার জাতিগত স্বাধীনতাও বটে। আবার এ দিকে দেখা যায়, ইংরেজ রুশীয়ের বিরুদ্ধে পোলদের সাহায্য করিতেছেন, যদিও উভয়েই এক সুভেজাতীয়। আমেরিকানরা ত ভিন্নজাতীয় ফিলিপিনোদের উপর অত্যাচার করে নাই, বরং স্বশাসনের জন্য ফিলিপিনোর তাহাদের নিকট কৃতজ্ঞ ; তবে ফিলিপিনোর স্বাধীন হইতে চায় কেন ? ইহাতে স্পষ্ট বোঝা যায়, বিজেতা এবং বিজিত সমজাতীয় হউক বা না হউক, শাসকগণ শাসিতদের প্রতি অত্যাচার করুক বা না করুক, স্বাধীনতালাভের আকাঙ্ক্ষা মানুষের মনে জাগিয়া উঠিবেই। স্বাধীনতা যদি দেশবিশেষে জাতিগত স্বাধীনতাই হয়, সেইজন্য তাহ নিদাৰ্থ হইবে কেন ? পূৰ্ব্বে যাহা বলিৰাছি, কাছার পুনরুল্লেখ কবিয়া ধনি