পাতা:প্রবাসী (দ্বাবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৩৪২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২য় সংখ্যা ] AAAAAA AAAA AAAA AAAASAAAA AAAA SAAAAA AAAA AAAA AAAA S S S S उॉअँडीौघ्नहनद्र ब्रॉईीग्न चांम* এই মত প্রকাশ করা, এবং "ণ স্বাধীনতা লাভ করিবার আকাজক্ষা প্রকাশ করা, আইনবিরুদ্ধ ও রাজদ্রোহসুচক। আমরা কিন্তু এরূপ কোন আইনের অস্তিত্ব অনুগত নহি । কাহারও জানা থাকিলে তিনি জানাইলে উপুকৃত হইব । স্থলবিশেষে যুদ্ধের ঔচিত্যানুচিত্য আলোচনা ভারতবর্ষের আইনসকল সম্বন্ধে যাহারা বিশেষজ্ঞ, র্তাহীদের নিকট আর-একটি জিজ্ঞাস্য আছে। ইংরেজ গবর্ণমেণ্ট বা বিশেষ কোন গবর্ণমেণ্টের নাম না করিয়া কিম্বা বিশেষ কোন গবর্ণমেণ্টের উদ্দেশে কিছু না লিপিধা, কেহ যদি সাধারণ ভাবে আলোচনা করেন, গে, যেকোনও দেশের শাসকসম্প্রদায় বা শাসনতন্ত্র অতি অপক্লষ্ট কুশাসন বা ভীষণ অত্যাচার করিলেও প্রজাদের সশস্ত্র বিদ্রোহ করিবার ন্যাঘ্য ও নীতিসঙ্গত অধিকার আছে কি না, এবং থাকিলে কিরূপ কুশাসন ও অত্যাচারের পর কি অবস্থায় তাহণ করা অন্যচিত নহে, তাহা হইলে এরূপ আলোচনা ব্রিটিশ ভারতের আইনসঙ্গত কি না । অবস্থাবিশেষে যুদ্ধের পক্ষপাতী লোক হয়ত ভারতবর্যে আছে ; কিন্তু আমাদের রাজনৈতিক দলগুলির মধ্যে এখন এরূপ মতাবলম্বী কোন দল আছে কি না জানি না। এক দল, খুব বেশী অত্যাচরিত হইলেও অহিংসা অবলম্বন করিয়া মৃত্যু পৰ্য্যন্ত সহ করা উচিত, এই মত পোষণ ও প্রচার করেন ; অন্য দল কোন অবস্থাতেই নিরস্ত্র প্রতিরোধ ( passive করিতেও রাজী নহেন । সুতরাং পূৰ্ব্বে উল্লিখিত রকমের আলোচনার কার্য্যতঃ কোন আবখ্যক নাই । কিন্তু, ,যাহা প্রায় ঘটে না বা কচিৎ ঘটে, এরূপ অবস্থা ও বিষয়ের আলোচনাও আইনজ্ঞেরা করিয়া থাকেন। এইজন্য প্রশ্নটা নিতান্ত বাজে না হইতেও পারে । resistance ) • বঙ্গে কারখানার সংখ্যা দৈনিক অনেক কাগজে একটি তালিকা বাহির বিবিধ প্রসঙ্গ—বঙ্গে কারখানার সংখ্যা স্বাধীনতা হওয়া - উচিত, Oe(t হইয়াছে, তদনুসারে দেখা যায়, যে ভী.তৰর্ষের সকল প্রদেশের মধ্যে বাংলাদেশে কারখানার সংখ্যা সকলের চেয়ে বেশী। পাটের কল ; কাপড়ের কল ; লোহা ও ইস্পাত ঢালাইয়ের কারখানা ; সাবান, কাচ, চীনাবামন, লেখাব ও ছাপার কালী, এবং নানা রকম রাসায়নিক জিনিষের ও ঔষধের কারখানা ; বড় বড় ছাপাখানা ; সকলকেই কারখানা বলা যায়। বাংলাদেশে কারখানার সংখ্যা সৰ্ব্বাপেক্ষা অধিক হইলেও তাহাতে বাঙালীর আহলাদিত হইবার কারণ নাই, বরং দুঃখিত হইবারই কারণ আছে। কেননা অধিকাংশ কারখানাই ইউরোপীয় কিম্বা ভারতবর্ষের অন্যান্য প্রদেশের লোকদের সম্পত্তি । সকলের চেয়ে বেশী টাকা ও লোক খাটে পাটের কলগুলিতে। কিন্তু সেগুলি ইউরোপীয়দিগের ; অধিকাংশস্থলে স্বচ,) সম্পত্তি । দেশী অংশীদার কোন কোনটির আছে বটে ; কিন্তু তাঙ্গরাও অধিকাশস্থলে মাড়োয়ারী। কারখানাগুলির অধিকাংশ মজুর ও কারিগর অ-বাঙালী । বাংলাদেশের মুটে মজুর মুদী ময়র মিল্পী মুম্বুদি মহাজন মাঝি মাল্লা প্রভৃতি য কিরূপ অধিক পরিমাণে অ-বাঙালী তাহা আমরা অনেকবার বলিয়াছি। পাহারাওয়ালা, দারোয়ান, সইস, কোচ ম্যান, গাড়োয়ান, মোটর গাড়ীর ড্রাইভারদের মধ্যেও অ-বাঙালী খুব বেশী । অন্য দেশ ও প্রদেশের লোকদের দ্বারা শোষিত প্রদেশ যেমন বাংলা, ভারলের আর কোন প্রদেশ তেমন নয় । অথচ অমৃ সব প্রদেশের লোকের বলে, বাঙালী উত্তর ও মধ্যভারত লুটিয়া খাইতেছে । ইহাতে হাসি কায় উভয়েরই কারণ অাছে । বঙ্গের ধন পরইস্তে যাওয়াটাই আমাদের একমাত্র দুঃখের কারণ নহে। ভিন্ন প্রদেশ হইতে আগত মুটো মজুর প্রভৃতি অজ্ঞ নিরক্ষর লোকের বঙ্গে অনেকটা সামাজিক ও পারিবারিক প্রভাবের বাহিরে বাস করে বলিয়া তাহাদের চরিত্রের অবনতি হয়, এবং তজ্জন্য বঙ্গের নৈতিক অবনতি ঘটে। একটা দৃষ্টান্ত দি। কলিকাতার রাস্তা-ঘাটে যত অশ্রাব্য অশ্লীল গালাগালি ও ঠাট্রাতামাস শোনা যায়, তাহার খুব বেশী অংশ অ-বাঙালীর - - ----۔ -. ----۔--. ۔