পাতা:প্রবাসী (দ্বাবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৩৫৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

‘সত্যৰ শিবম্ব স্বন্দরম।” “নায়মাত্মা বলহীনেন লভ্যঃ * ২২শ ভাগ । ১ম খণ্ড | আষাঢ়, ১৩২৯ s l ৩য় সংখ্যা বৈজ্ঞানিক জগতে ভারতবাসীর স্থান নির্ণয় অনেক সময় অজ্ঞতাজনিত গরিমাবশতঃ আমাদের প্রকৃত অবস্থা আমরা উপলব্ধি করিতে সমর্থ হই না ; মামুষের ইহা একপ্রকার দুৰ্ব্বলতা যে সে নিজের দোষ বা ক্রটি নিজে সহজে দেখিতে পায় না বা দেখিবার চেষ্টা করে না ; এমন কি দেখিতে পাইলেও তাহা কৃত্রিম আবরণে ঢাকিয়া রাখিতে সচেষ্ট হয় । অনেক স্থলে দেখা যায় যে এই স্বাভাবিক দুৰ্ব্বলতাই তাহার অবনতির একমাত্র কারণ হইয়া দাড়ায় । যে নিজেকে বড় মনে করিয়া অহঙ্কারে স্ফীত হয়, সে কখনও বড় হইতে পারে না। পাশ্চাত্য জগতের অবস্থার সহিত আমাদের বর্তমান অবস্থার তুলনা করিলে এই বিষয়টি সহজে হৃদয়ঙ্গম হয়। রবীন্দ্রনাথু নোবেল পুরস্কার পাইয়াছেন বলিয়া, আমরা মনে করি, বাঙ্গালা সাহিত্য পাশ্চাত্য জগতের যে-কোন প্রাদেশিক সাহিত্যের সমকক্ষ। বিষয়টি তলাইয় দেখিলে, ইহা যে কত বড় ভ্রান্তি, তাহ আমরা সহজেই বুঝিতে পারি। অবশু রবীন্দ্রনাথ যে জগতের মধ্যে একজন প্রতিভুাশালী লেখক সে বিষয়ে কোনও প্রশ্ন উত্থাপিত হইতে পারে না। তাই বলিয়া বাঙ্গালার সাহিত্য-ভাণ্ডার যে ইংরেজী কিম্বা ফরাসী সাহিত্য-ভাণ্ডারের ন্যায় বিপুল রত্বরাজিতে পরিপূর্ণ ইহা কি কখনও নিঃসন্দেহে বলা যাইতে পারে ? বাংলাদেশে প্রতিবৎসর যে-সব স্বপাঠ্য কাব্য ও পদ্যগ্রন্থাদি প্রকাশিত হয় তাহা ইংলণ্ড কিম্বা ফরাসী দেশের শতাংশেরও একাংশ কি না সন্দেহ, বিশেষতঃ বাংলাদেশের সাধারণ পাঠকের সংখ্যাও ঐ-সমস্ত দেশের তুলনায় অত্যন্ত কম । সেইরূপ পদার্থবিজ্ঞানের বা রসায়ন-শাস্ত্রের চর্চায় ও গবেষণায় আমাদের দেশে মাত্র দুই-চারিজন একনিষ্ঠ সাধকের নাম করা যাইতে পারে, র্যাহার প্রাচ্য ও পাশ্চাত্য জগতে বিশেষ সম্মান লাভ করিয়াছেন । তাই বলিয়া এই কথা বলা যায় না যে, বৈজ্ঞানিক জগতে ভারতবর্য পাশ্চাত্য প্রদেশ-সমূহের সহিত সমান স্থান অধিকার করিয়াছে। ক্ষুদ্র একটি ইংলণ্ডে স্কৃত লোক বিজ্ঞানের অনুসরণ করিতেছে, এই প্রকাও ভারতবর্ষে তাহার সহস্রাংশের একাংশ লোকও বিজ্ঞান-চর্চায় নিযুক্ত আছে কি না সন্দেহ । এমন কি ক্ষুদ্র জাপানের সমকক্ষ হইতেও আমাদের