পাতা:প্রবাসী (দ্বাবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৩৭৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩য় সংখ্যা ] AAA AAAS SMS MSAS A SAS SSAS SSAS SSAS SSAS MS MS _ স্বেচ্ছায় ও অনিচ্ছায় উচ্চারিত জয়ধ্বনির মধ্যে মাঝে মাঝে শুনা গেল= বজ্ৰঘোব-বাণী রুদ্র, শূল-পাণি মৃত্যুসিন্ধু-সন্তর শঙ্কর শঙ্কর ! ক্রমে সন্ধ্য হইয়া আসিল, স্বৰ্য্য অস্ত গিয়াছে, আকাশ অন্ধকার, কিন্তু রৌদ্রের মদ খাইয়া যন্ত্রের চূড়াটা তখনও লাল হইয়া জলিতেছে, আর অস্তসূর্য্যের আলো স্পর্শ করিয়া রহিয়াছে ভৈরব-মন্দিরের ত্রিশূল। এমন সময় বন্দীশালায় আগুন লাগিল। এই স্বযোগে খুড়ামহারাজ ৱিশ্বজিং যুবরাজকে বন্দীশাল হইতে বাহির করিয়া আনিয়া বলিলেন—“তোমাকে বন্দী করতে এলেছি। মোহনগড়ে যেতে হবে।” অভিজিং জানেন যে এবার সময় হইয়াছে, আর অপেক্ষা করা চলিবে না। তিনি বলিলেন—“আমাকে আজ কিছুতেই বন্দী করতে পারবে না, না ক্ৰোধে, না স্নেহে। তোমরা ভাবচ তোমরাই আগুন লাগিয়েচ ? না, এ আগুন যেমন ক’রেই হোক লাগত। আজ আমার বন্দী থাকবার অবকাশ নেই।" অভিজিং .বলিলেন,—“জন্মকালের ঋণ শোধ করতে হবে। স্রোতের পথ আমার ধাত্রী, তার বন্ধন মোচন করব।” এই বলিয়া অন্ধকারের মধ্যে অভিজিং চলিয়া গেলেন— “কানে নিয়ে নিখিলের হাহাকার শিরে নিয়ে উন্মত্ত দুৰ্দ্দিন, চিত্তে নিয়ে আশ অন্তহীন, হে নিৰ্ভীক, দুঃখ-অভিহত !" বাউল গাহিল— “৪ ত আর ফিরূবে না রে, ফিবৃবে মা আর, ফিরবে না রে!” অমাবস্যার রাত্রি অন্ধকার হইয়া আসিল। যন্ত্রের চূড়াটা অন্ধকারে ভূতের মতন কালে দেখাইতেছে, কিন্তু ভৈরব-ত্রিশূল আর স্পষ্ট দেখা যায় না। যুবরাজ বন্দীশালায় নাই শুনিয়া উত্তরকৃটের অধিবাসীরা ক্ষেপিয়া উঠিয়াছে ; ক তাহার রাত্রির অন্ধকার পথে পথে খুজিয়া বেড়াইতে লাগিল। "নন্দিসঙ্কটের ভাঙা গড় পথ-মোচন SS S SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS S S S S S S S S S AAAA S AAAAAM AAAAA ৩৩৭ নূতন করিয়া গাথিয়া তুলিবার ষড়যন্ত্ৰ চলিতেছে, যন্ত্ররাজ বিভূতির দলবল রাত্রির অন্ধকারে গোপনে শিৰতরাইএ যাত্রা করিয়াছে, পথে যাহাকে পায় জোর করিয়া ধরিয়া লইয়া চলিল। শিবভরাইয়ের প্রজারাও পথে বাহির হইয়াছে যুবরাজকে খুজিবার জন্ত । মশাল নিবিয়া গিয়াছে, বাতি জলিতেছে না, রাত্রির অন্ধকারে দলে দলে লোক পথে ঘুরিয়া বেড়াইতেছে, কেহ কাহাকেও চিনিতে পারে না, কে কোন দিকে চলিয়াছে ঠাহর পায় না, শুধু যন্ত্রের চূড়াট। তখনও যেন ইসার করিতেছে। অন্ধকারে বৃদ্ধ বটুক ডাকিতেছে—“জাগো, ভৈরব জাগে৷ ” অম্বা পথে পথে কাদিয়া ফিরিতেছে —“সুমন ! বাবা স্বমন ! অন্ধকার হয়ে এল, সব অন্ধকার হয়ে এল!” বৈরাগী গান ধরিলেন— প্রহর জাগে প্রহরী জাগে, তারায় তারায় কঁপিন লাগে । অন্ধকারে আবার শোনা গেল অম্বার ক্রমনে-"ম ডাকে ! ম৷ ডাকে ! ফিরে আয়, সুমন, ফিরে আয় !" এমন সময় ভৈরবের ডমরু বাজিয়া উঠিল। হঠাৎ শোনা গেল মুক্ত-ধারার বাধন-ভাঙা জলোচ্ছ্বাস । বৈরাগী গাহিলেন-~~ বাজে রে বাজে ডমরু বাজে झुलग्न भl८९ হৃদয় মাঝে । কুমার সঞ্জয় আসিয়া খবর দিলেন যে যুবরাজ অভিজিং মুক্তধাবার বাঁধ ভাঙিয়াছেন, কিন্তু যন্ত্রাস্করও র্তাহাকে আঘাত ফিরাইয় দিল, মুক্তধারা অভিজিতের আহত দেহকে কোলে তুলিয়া চলিয়া গিয়াছে। অন্ধকারে জলস্রোতের শক শোনা যাইতে লাগিল আর বাজিতে লাগিল ভৈরব-মন্ত্ৰ— জয় ভৈরব, জয় শঙ্কর छम्न छग्न छम्न (2ञग्नु । জয় সংশয়-ভেদন, জয় বন্ধন-ছেদন, জয় সংকট-সংহর শঙ্কর শঙ্কর !