পাতা:প্রবাসী (দ্বাবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৩৯৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩#ঃসংখ্যা 3: কষ্টিপাথর-প্রাদেশিক দেবতত্ত্ব శ్రీశ్రీతి জুিগ্রামের পল্লীতে পল্লীতেই ইহঁর অধিষ্ঠান শাকোট বৃক্ষ ( শেওড়া গাছ) দেখিতে পাওয়া যায়। গাছের গোড়াতে পূজা অনুষ্ঠিত হয়, সুতরাং এই পূজায় নাম গাছের ওড়ির পূজা। মেয়ের দেবীকেণ্ড গাছের গুড়ি ঠাকুরাটন বলিয়৷ থাকে। কোন কোন স্থানে শেওড়া ভিন্ন উড়ম প্রভৃতি গাছেও পূজা হইতে দেখা যায়। অনেক স্থলে পূজ্য বৃক্ষের গোড়া বাধান হইয়া থাকে। বিৰাহ উপনয়ন চুড়াকরণ প্রভৃতি প্রত্যেক মঙ্গল ব্যাপারের পূর্বেই ৰনছুর্গার পূজা এবং ভাঙ্গ বলিদান হইয় থাকে। এই পূজার খৈ, চিড়াতাল, চাউলের গুড়া, ৰীচে কলা প্রভৃতি নৈবেদ্যরূপে প্রদত্ত হইয়া থাকে। হংসডিম্বে সিন্মুর মাথাইর এই পূজায় দেওয়া হয়। প্রত্যেক ছেলে হওয়ার পর অশৌচান্ত-দিনে বনকুর্গার পূৰ্ব্বোক্ত ভৌগরাগ দেওয়৷ হয়। ইহাতে আর বোড়শোপচারে পূজার ব্যবস্থা নাই। ইহাকে গাছের গুড়ির বাড়ান বলিয়া থাকে। কুমিল্লাপ্রদেশে এই পূজা কামিনীগাছের গোড়ার অনুষ্ঠিত হইয় থাকে। সুতরাং ইহাকে কামিনীপূজা বলা হয়। পুরোহিত ঠাকুৰগণ স্ব স্ব রূচি অনুসারে কেহ শাকোটবাসিন্যৈ দুর্গায়ৈ নম:, কেহ বা শাকোটবাসিন্যৈ নমঃ, ইত্যাদি মন্ত্রে পূজা করিয়া থাকেন। ধ্যানান্থসারে বনহুর্গ ত্ৰিবলীযুক্ত বনমাল্যবিভূষিতা, শাকোট বৃক্ষে :: पञबिछेॉन । শাকোট ং (দুর্গ) বলীপেতাং (ত) বনমালাবিভূষিতং (ত) - বাসিনীং (নী) দেবীং (দেৰী) স্বতরক্ষাং করুত্ব মে ॥ আমার পুত্র রক্ষা কর, দেবীর নিকট এইরূপ প্রার্থনা করা হয়। ধ্যানের পদ্যটি অশুদ্ধ আছে। “ওঁ জীং বনজুর্গায়ৈ নমঃ” এই মন্ত্রে দেবীর পূজা হইয়া থাকে । বনজুর্গাং (গ) মহাভাগাং (গ৷ ) শাকোটবৃক্ষবাসিনীম্‌ (নী)। পট্টবস্ত্রপরাধানাং ( না ) স্বতরক্ষাং সদা কুর । অস্যা: স্ততিঃ– e উগ্ৰদংষ্ট্ৰাং কয়লাস্যাং পীনোন্নতপয়োধরাম্ দিগ্‌বগ্রামভয়াং খামাং লোচন-ত্রিতরাম্বিতাম্ ॥ শাকোটবাসিনীং দুর্গাং সৰ্ব্বত্ৰশুভকারিণম্। cनौवर्णींभूख-भषाभीर जिनग्ननां२cनोनविनैौमब्रिउR চক্ৰং শখবরাভয়ানি দধতীমিলোঃ কলং বিভ্রতীম্। গৈবেয়াঙ্গদ-হার-কুণ্ডলধরামাখণ্ডলাদ্যৈমুতাং * ধ্যায়েজিানিবাসিনীং শশিমুখীং পাশ্বর্থ-পঞ্চাননম্। এই ধ্যানটি নেপালাধীশ্বর প্রতাপসাক্ষ সিংহের “পুরশ্চৰ্য্যাৰ্গৰ" নামক বিস্তুত আনিবন্ধেও অবিকল দেখিতে পাওয়া যায়। হতরাং বনজুর্গার প্রসার নেপাল পর্য্যপ্ত ব্যাপ্ত হইয়াছিল। বনজুর্গার পূজার শূকর বলি হইয় থাকে। মুসলমানদিগের জবাই করার রীতি অনুসারে নাপিত ক্ষুরের দ্বারা পূকরের গলা কাটিয়৷ দেয়। অধিকন্তু এই পূজার অঙ্গরূপে ২১ একুশটি মোরগ উৎসর্গ করা হয় । ইহাদের হত্য হয় না। একটি ধাঁচার ভিতরে মোরগগুলিকে রাশিয়৷ পূজ-স্থানের দূরে ঐ খাচা রাখা মোরগের গায় জল ছড়াইয় দেন । * লালসা-বিশ্বেশ্বর পূজা। ংহের এবং ত্রিপুরার অনেক স্থানে অনুষ্ঠিত হইয়৷ ঃ লোকে ইহাকে টাকরা-টাকরীর পূজা বলে। মৃতবৎসার সন্তানরক্ষার্থই এই পূজার অনুষ্ঠান হইয়া থাকে। লোকের বিশ্বাস এইরূপ ষে, স্টাকর-চাকরী দেবত কচি ছেলেকে অপহরণ করিয়া লইয়া, সেই ছেলের রূপ ধারণ করিয়া দেবতাই ছেলের স্থান অধিকাৰ করে। ভাল করির ক্ৰেতাই মল্লির বায়, পরে যুক্তদেহ মাটিতে প্রোধিত হইলে, *সেখান হইতে দেবতা উঠিয়া যায়। আমরা বাল্যজীবনে এই বিষয়ের অনেক চিকিৎসক দেখিয়াছি, এৰং-তাছাদের মুখে অনেক অদ্ভুত গল্প अव* कब्रिब्रॉकिं । दéभांन ममदग्न ठेिकि९मक बिब्रजsइङ्गैब्रांप्इ । " " লালসাবিশ্বেশ্বর অৰ্দ্ধনারীশ্বরের সঙ্গাতীয় দেবতা বলিয়া উল্লেখযোগ্য । কারণ ধ্যানানুসারে এ দেৰত৷ -घ्नन्नैौब्राज्रक, dब३ अकबरै পূজনীয়। 器 স্ত্রীপুরুষ মেধাঙ্গীং জীর্ণবসনাং পদ্মহতা ভুঞ্জৰয়াম্। বৃক্ষস্থিতং বলেক্ৰেীড়াং মুক্তকেশীং ভয়ানকাম। দওহস্তাং ধৃতকটাং বনমালাবিভূষিতাম্। জটাভারসমাযুক্তাং ওং) ভষ্মবর্ণাং (র্ণং ভুগন্ধয়াং (রঃ) দণ্ডপাশসমীযুক্তাং (ক্ত) কেশপিঙ্গললোচনাং (নং) কটাক্ষস্থানং সততং দস্থেtষ্ঠাং (জন্তোষ্ঠং) কল্পিতং সদা । বtলকদং ভক্তশাস্তুং দেী-দেবমহং ভঞ্জে। - এই পূজা কুক্তিকতথ্রোক্ত বলির পদ্ধতি লিপিত আছে। "ওঁ লালসবিশ্বেশ্বরীয় নমঃ" এই মস্ত্রে পুঞ্জ হইয় থাকে। সটের সোহং এই মস্ত্রে ভূতগুদ্ধি করিতে হয়। খলকুমারী পূজা এই পূজা ময়মনসিংহ ত্রিপুরা ও শ্রীহট্ট প্রভূতি প্রদেশে “ডরাই” পূজা বলির প্রসিদ্ধ। মনসাপূজার সহিত এই পূজা অনুষ্ঠিত হয় বলিয়৷ সাধারণতঃ মেয়ের ইহাকে “ডরাই বিবরী পূজা" বলে। দুরারোগ্য রোগ হইতে মুক্তি পাওয়ার অভিলাষে এই পূজা মানসিক করা হয়। উপনয়ন ও বিবাহ প্রভৃতি উপলক্ষে এই পূজার অনুষ্ঠান হইয়। থাকে। ইহার প্রধান পাণ্ড “গুরমা” নামে প্রসিদ্ধ। স্ত্রী-নপুংসক বা হিজড় গুরমা নামে প্রসিদ্ধ। নপুংসকের পরিবর্তে পুরুষেই মেয়েলি কাপড় পরিয়৷ কপালে সিদর ও হাতে শখ ধারণ করির সারাজীবন অবিবাহিত অবস্থায় যাপন করে। গুরমার গানই খলকুমারী পুজার প্রধান অঙ্গ বলিয়া বিবেচিত হইত ; কিন্তু বৰ্ত্তমান সময়ে গুরমার বিরলপ্রচার ও সমাজের রুচিপরিবর্তন, এই উভর কারণে অনেকস্থলে গুরম ব্যতীতই পূজা হইতে দেখা যায় । গুরমার গান যেরূপ অশ্লীলতাপূর্ণ, সেরূপ অশ্লীলতা অন্যত্র প্রায় দেখা যায় না । সাধারণতঃ এই ব্যাপার গুরমার “চৈতাল” নামে প্রসিদ্ধ । এই ব্যাপারের “চৈতাল” সংজ্ঞার কারণ অনুসন্ধান করিলে মনে হয়, চৈত্রমাসে অমৃষ্ঠের কামদেবের পূজাজ অশ্লীল গানের সহিত সাম্য নিবন্ধন ইহার এই চৈতাল সংজ্ঞা হইয়াছে ] গুরমা মাথার চুল এলোখেলো করিয়া জিহ বাহির করিয়া জকুটপূর্ণ মুখে অবিভ্রান্ত মাথা নাড়িতে থাকে, এবং তাহার নিকট উপস্থাপিত সাধারণের শুভাশুভসূচক প্রশ্নের উত্তর দিতে থাকে, ইহার নাম গুরমার “বান করা”। লোকের বিশ্বাস, গুরমার শরীরে দেবীর অধিষ্ঠান হয়। সুতরাং ভান করার অপভ্রংশ “বান করা" হইতে পারে। এই দেবীর পূজার অঙ্গরূপে প্রথম দিবস যথারীতি অধিবাস করিতে হয়। পরদিঘল পূজা করিতে হয় । বিশ্বপ্রকাশিনীং দেবীং গৌরবর্ণাং চতুভুঞ্জাম। বিশ্বেশ্বরীং ভয়ত্ৰীতাং বিশ্বমাতাং কৃপালয়াম্ ॥ সৰ্ব্বদেৱময়ীং দেবীং ঘোররূপাং ভয়ঙ্করীম। গভীরনদসংস্থানাং কুম্ভীরেীপরিসং | নানামশিবিভূষাঢ্যাং নানালঙ্কারভূষিতাম । নৰধেীৰন-সম্পন্নাং কুমারীং কামরূপিণীম্ ॥ চিত্ৰবন্ত্রপরিধানাং কুঙ্কুমাক্তং মনোহরাম্। গলৰূপেন সস্তৃতাং জিনেত্ৰাং বরদাং ভক্তে । এই দেবীর অঙ্গদেবতারূপে উগ্রকুমারী, ক্ষেমঙ্করী, জলবাসিনী, হরপুত্রিকা, উগ্রপ, গঙ্গাপূজিক ও নলিপুত্রঞ্চ এই অষ্টকুমারীর পূঞ্জী