পাতা:প্রবাসী (দ্বাবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৪১২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩য় সংখ্যা ] AAAAAAAS AAAAASAAAAeeAe eAMeSeeeeeAeAMAe AeAeMAeeAeAeS সহিত নিয়মিতভাবে সংধোগ করিয়া দিলে, মেয়েদের অশেষ কল্যাণের কারণ হইতে পারে। বিদেশী ক্রীড়ার মধ্যে, ব্যাডমিন্‌টন, কিছু কিছু লন্‌টেনিস ইত্যাদি অপেক্ষকৃত কম পরিশ্রমের ক্রীড়াগুলি স্থল-বিশেষে স্ত্রীশিক্ষার সহিত সংযুক্ত হইতে পারে, এবং বোধ হয় এরূপ সংযোগ আপত্তিকর হইবে না। . নীতি শিক্ষা ও ধৰ্ম্মাচরণ। নীতি শিক্ষা, ধৰ্ম্মোপদেশ, ধৰ্ম্মগ্রন্থ পাঠ, এবং ধৰ্ম্মাচরণ সবগুলিই ধৰ্ম্মশিক্ষার অন্তর্গত। স্ত্রীশিক্ষার বিষয়-নির্ঘণ্টে এইটিকে প্রধান স্থান প্রদান করিতে হইবে, এবং প্রথম হইতেই ব্যবহারিক শিক্ষার দিক দিয়া ধৰ্ম্মাচরণের উপুর ঝোক দিতে হইবে। শৈশব-শিক্ষায় রামায়ণ, মহাভারত, পুরাণ, কোরান প্রভৃতি গল্পচ্ছলে বালিকাদিগের নিকট উপস্থাপিত হইবে এবং সময় সময় সহজ ভাষায় লিখিত এইসকল বিষয়ের গদ্য ও পদ্য গ্রন্থ তাহাদিগকে পড়িয়া শুনাইতে হইবে । ধৰ্ম্মোৎসব, পাৰ্ব্বণ ইত্যাদিতে যাহাতে তাহাদিগের ভিতর আচরণের সাহায্যে অতর্কিতভাবে ধৰ্ম্মভাব জাগ্রত হয়, তাহার দিকে মনোযোগ দেওয়া কৰ্ত্তব্য, এবং সহজ সহজ নৈতিক উপদেশগুলি যাহাতে রীতিমত প্রতিপালিত হয়, তাহার দিকে দৃষ্টি রাখা উচিত। নিয়মিত পূজা, স্তোত্র পাঠ, ধৰ্ম্মসঙ্গীত, এবং বিভিন্ন বয়সোপযোগী ব্ৰত আচরণ—ধৰ্ম্মশিক্ষার বিশেষ সহায় । সেই নিমিত্ত এদিকেও বিদ্যালয়ের দৃষ্টি রাখা বাঞ্ছনীয়। মনে রাখা উচিত,যে, গৃহের সহিত বিদ্যালয়ের সহযোগিতা ব্যতিরেকে ধৰ্ম্মশিক্ষা সম্পূর্ণ সার্থক হইতে পারে না। যাহাতে এই সহযোগিতা লাভ হয়, পরীক্ষা দ্বারা তাহার উপায় উদ্ভাবন করা কর্তব্য। ধৰ্ম্ম ও নীতিশিক্ষা খুব সহজসাধ্য নয়। এবিষয়ে ভ্রান্তি ও ব্যর্থতার ভিতর দিয়া, ধারাবাহিক পরীক্ষার সাহায্যে সফলতা ও সিদ্ধির দিকে অগ্রসর হওয়া ভিন্ন উপায়ান্তর নাই । চিত্তবিনোদনের উপযোগী শিক্ষণ । সৌন্দর্ধ্য উপভোগ করিবার শক্তি মানসিক নৈতিক ও স্বাধ্যাত্মিক উন্নতির সহায় হয়, একথা বলাই বাহুল্য। কিন্তু চিত্তবিনোদনের ও অবসর সময়ের সদব্যবহারে এই মহিলা-মজলিস্—বাংলাদেশের স্ত্রীশিক্ষা-সংস্কার ՏԳ Ց শক্তির পরিপূর্ণ সার্থকভা। গৃহই আমাদের অবসরনিবাস —আমাদের সমাজ-সংস্থানে ইহা যেমন সত্য, বোধ হয় অন্ত কোন দেশে সেরূপ নয়। অবশ্য গৃহে আমাদের মজ্বলিস্ আছে, কিন্তু গৃহের বাহিরে আমাদের ক্লাৰু নাই। এই গৃহে লক্ষ্মীস্বরূপা ললনাকুলই একমাত্র অধিষ্ঠাত্রী দেবী। র্তাহারা যদি চিত্তবিনোদনের উপায়গুলির কোন-একটি স্বায়ত্ত করিতে পারেন, তাহ হইলে তাহীদের ব্যক্তিগত উৎকর্ষের সঙ্গে সঙ্গে, সংসারাশ্রম ভূস্বর্গে পরিণত হয়। সমাজ-সংস্থানে এবং জাতীয় জীবন গঠনে, এরূপ শাস্তি-বিধানের সার্থকতা কম নয়। এই কারণে সঙ্গীত ও চিত্রাঙ্কন স্ত্রীশিক্ষার অন্তর্গত একটি অতি প্রয়োজনীয় শিক্ষা । শিক্ষার অবলম্বন । o খুব দুঃখের বিষয় যে নানা রাষ্ট্রীয় ও সামাজিক কারণে বাংলা দেশের শিক্ষা-বিধানে ইংরেজি ভাষাকে কেন্দ্র করিয়া পাঠ্য-তালিকা গঠিত হয়। উক্ত ভাষা স্ত্রীশিক্ষাতেও একাধিপত্য বিস্তার করিয়াছে। এই অবস্থার সম্পূর্ণ পরিবর্তন প্রয়োজন। স্ত্রীশিক্ষার সকল স্তরে,—আদ্য, মধ্য, ও অস্ত্য শিক্ষায়, মাতৃভাষা ও সাহিত্যের কেন্দ্রস্থান অধিকার করা উচিত। এই মাতৃভাষাই সকল বিষয়েই এবং স্ত্রীশিক্ষার সকল স্তরেই শিক্ষার আলম্বন ( medium of instruction ) হইবে। যদি অপেক্ষাকৃত কম সময়ের মধ্যে, যথোপযুক্ত মানসিক উৎকর্ষ ও কৰ্ম্মকুশলতা লাভ করিতে হয়, তাহ হইলে বাংলার বালিকা ও কুমারীদিগকে বাংলা ভাষার ভিতর দিয়া, চিন্তা করিতে শিখাইয়া, যথার্থ উন্নতিলাভের অবসর দিতে হুইবে । শ্রদ্ধাস্পদ রবীন্দ্রনাথ তাহার “দি সেন্টার অব ইণ্ডিয়ান কালচার" (The Centre of Indian Culture ) aro পুস্তিকায় মাতৃভাষার মধ্য দিয়া শিক্ষালাভ সম্বন্ধে যে-সকল কথা বলিয়াছেন, তাহাই সংশিক্ষার চরম তত্ত্ব। সম্প্রতি ইংলণ্ডে মাতৃভাষা সম্বন্ধে একটি রাজকীয় কমিশনের যে বিবরণ প্রকাশিত হইয়াছে, তাহাতেও এই সারগর্ভ সত্য তত্ত্বটি বিস্তৃতভাবে আলোচিত হইয়াছে। মাতৃদুগ্ধেই যেমন শিশুর পুষ্টি, মাতৃভাষাতেও তেমনি জাতীয় অন্তরের পরিপূর্ণ বিকাশ। আমাদের স্ত্রীশিক্ষায় এই ভাষাকে খুব