পাতা:প্রবাসী (দ্বাবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৫২৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৪র্থ সংখ্যা ] ছিলাম, ধে, কেন চাষার এত খাটিয়াও অল্পবন্ত্রের অভাব মিটাইতে পারে না এইখানেই তাহার জবাব । বিলাতী পণ্যের আমদানী ও দেশী মালের রপ্তানীর হিসাব দেখিলেও একই উত্তর পাওয়া যাইতেছে । আমরা বিদেশ হইতে তৈরী মাল আনি, আর র্কাচা মাল পাঠাই। জার্মানী যেসকল ত্রব্য করি তাহার মূল্য রপ্তানী দ্বারাই দিয়া থাকি। ১৯১৮১৯ সালে ভারতবর্ষ হইতে আড়াইশত কোটী টাকার মাল রপ্তানী করিয়াছি । এবং তাহ দ্বারা ভারতবর্ষের নিকট প্রাপ্য ইংলণ্ডের ঋণের স্বদ ও পেন্সন আদি শোধ দিয়াও একশত শত্তর কোটা টাকার মাল আমদানী করিয়াছি। যাহা আমদানী করিয়াছি তাহার অর্ধেকই হইতেছে বিলাতী স্থত, বিলাতী কাপড় ও বিলাতী চিনি। বাকী কতক প্রয়োজনীয় দ্রব্য, আর কতক অপ্রয়োজনীয় দ্রব্য, খেলনা, আয়েসের বস্তু । আমরা তুলা রপ্তানি করিয়া কাপড় আমদানী করিয়াছি, খাদ্য দ্রব্যের বিনিময়ে বিলাতী সখের জিনিস কিনিয়াছি ; যাহারা কৃষি-ক্ষেত্রে ও বনে জঙ্গলে শ্রম করিয়া এই রপ্তানীর মাল জন্মাইতেছে আমদানীর মালের সামান্য অংশই তাহদের নিকট পহুছিতেছে। এক দিক হইতে দেখিতে গেলে এই রকম দেখা যাইবে যে ভারতবর্ষের ধনী-সমাজ. চাষীর শ্রমলব্ধ ফল গ্রহণ করিতেছে এবং বিনিময়ে নিজের ভোগপূহ বিলাতী পণ্যে মিটাইতেছে। যদি এই ভোগের উপকরণ দেশেই সংগৃহীত হইত, তবুও মন্দের ভাল হইত ; টাকাটা দেশের মধ্যেই চলাকেরা করিত ; কিন্তু বিলাতে যাইতেছে বলিয়া ইহাতে দেশের দৈন্ত ক্রমশঃই বাড়িতেছে । বৎসরের পর বৎসর দৈন্ত বাড়িয়াই চলিতেছে। স্বব্যবস্থা না হইলে বিপৰ্য্যয় “অবশ্যম্ভাবী। যে পরিমাণে লোকের মজুরী বাড়িতেছে তাহার তুলনায় খাদ্যদ্রব্য অধিক দ্বমূল্য হইতেছে। সাধারণতঃ মনে হয় খাদ্য দ্রব্য দ্বমূল্য হইলে যাহারা উৎপন্ন করে তাহাদের অবস্থা ভাল হইবে । কিন্তু কাজের বেলায় তাহার বিপরীত হইতেছে। সমাজে ভোগের স্পৃহাই এই অঘটন ঘটাইয়াছে। বিশেষতঃ বিলাতী প্রব্যে ভোগপূহ মিটাইয়া ব্যবস্থাতেই এই সৰ্ব্বনাশ হইয়াছে। ভোগের অনাচার AMAMMAMeMAMMAMAMAAA AAAA AAAA AAAA AAAAMMMA AMAMM MMMMMMMMAAA AAAA AAAA AMAMA AMMMAMA AMAMMMMMMMMMAAAA 8b"> একটি চাষার যদি কতকগুলি গরু থাকে তবে তাহাদিগকে খাটাইয়া চাষ স্থখ স্বাচ্ছন্দ্ব্য ভোগ ৰুরিতে পারে, ইচ্ছা করিলে গরুগুলিকে অল্পাহারে কদর্ঘ্য অবস্থায় ইথিয়াও চালাইতে পারে, যতদিন না তাহার ফসল কমিতে কমিতে ভাতের উপর টান পড়ে । দেশের শতকরা দশজন লোক অপর নব্বই জনকে এই ভাবেই ব্যবহার করিতেছে । এই দশজন লোক যেন চাযl, আর নব্বই জন গরু । তাহার খাটিতেছে কিন্তু অনাহারে কদাহারে কেবল কোন-মতে প্রাণ রাখিয়াছে। আর নাম মাত্র গোলমালেই মরিতেছে। দেশের আবশ্যকীয় দ্রব্য রপ্তানী করিয়া, অনাবশ্যকীয় বিদেশী মাল আমদানী করিয়া, শেয়ারের জুয়া থেলিয়া, পাট তুলা বস্ত্ৰ শস্যাদি পণ্য একচেটিয়া (কর্ণার ) করিয়া পীড়াদায়ক সৰ্ত্তে ও স্বদে টাকা খাটাইয়া অস্বাভাৰিক ও অধৰ্ম্মোচিত উপায়ে আমরা অর্থ একদিকে পুঞ্জীভূত করিয়া ফেলিতেছি । ইহা শিক্ষিত ও সভ্য সমাজের অন্যায় মনে হইতেছে না। আর সেই পুস্ত্রীভূত অর্থ এমন সকল ভোগোপকরণে ব্যয় করিতেছি যে তাহ। দেশের বাহির হইয়া যাইতেছে । সহরের অনেক লোকের হাতে হাতে একটা রিষ্ট, ওয়াচ, দেখা যাইবে, এই অনাবশ্বক আভরণ দুই মণ চাউলের মূল্যে পাওয়া যায়। চাউল কত আক্রা হইয়াছে যে তাহার দুইমণের বিনিময়ে এমন স্বল্পকারুকার্য্যকরী দ্রব্য পাওয়া যাইতেছে ! বিলাতী সৌধীন ও অনাবশ্যক পণ্য যত দিন আমাদের উৰ্দ্ধতন नभांरख बादशंब्र श्हेरद उङ भिनहें श्रङकब्र नक्तदे खन দেশবাসী, যাহার কৃষি ও শ্রমজীবী, তাহীদের অবস্থা হীন হইতে হীনতর হইবে । কোন কঠিন শ্রমেই তাহাদিগকে জীবিত রাখিবার পথ করিয়া দিবে না। যদি কৃষকের গরুগুলি বলে যে আমরা না থাইতে পাইলে কাজ করিব না, গুতাইব, তাহা হইলে হয়ত তাহাদের বাচিবার পথ হয়। কিন্তু কৃষকের সঙ্গে লড়াই করা দুইটি মাত্র শিং সম্বল লইয়া গরুর পক্ষে যেমন অসম্ভব, আমাদের শতকরা নব্বই জনেরও ধনী-সম্প্রদায়ের সহিত লড়াই করা তেমনি অসম্ভব । ধনীর হাতে নিজের গড়া আইন আছে। আর ধনীরা পরস্পর লড়াই করিয়া