পাতা:প্রবাসী (দ্বাবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৫২৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8b-8. ها محیه اعضای تیمی بین ۹ به ও-বিষ্ঠাতে পারদর্শী হইয়া আছে। সাধ্য কি যে নির্ধনসমাজ ভয় দেখাইয়া কিছু করে। তৰে সজ্ঞাবদ্ধ হইলে বিপ্লব আনিতে পারে, তাহাতে দশ ও নব্বই সমান ধ্বংস হইবে। এ অবস্থায় দশের কৰ্ত্তব্য নব্বইয়ের দিকে দেখা, যাহাতে তাহারা খাইতে পায় তাহার ব্যবস্থা করা, অর্থাৎ বিদেশী ভোগের অনাচার ত্যাগ কর । ভারত সরকার কর্তৃক প্রকাশিত ১৯২০ সালের ভারতবর্ষ নামক পুস্তকে খাদ্যদ্রব্যের দুর্মুল্যতা সম্বন্ধে যাহা লিখিত আছে তাহ প্রণিধানযোগ্য । “On the whole it may be said a rise in prices tends to emphasize the economic differences throughout the rural population of India, those who are well to do becoming more well to do, those who are poor becoming poorer."—India in 1920. Page 134. “জিনিষের মূল্য চড়িলে গ্রাম্য লোকের আর্থিক অবস্থার অসমতা বাড়াইয়া দেয়। যাহাদের অবস্থা ভাল তাঙ্গর অারও ধনী হয়, আর যাঙ্গর দরিদ্র তাহার। আরও দরিদ্র হয় ।” অথচ দর চড়ার জন্য সেটেলমেণ্টের বেলায় খাজনা বাড়ান হয় যাহাতে দরিদ্র আরও পীড়িত হয়। এইসকল কারণে ভারতবাসী শতকরা নব্বই জন গ্রাম্যলোক অপেক্ষাকৃত অবস্থাপন্ন শতকরা দশজনের নিকট পরোক্ষভাবে গবাদি পশুর মতই হইয়া পড়িয়াছে। সৰ্ব্বত্র ত পরোক্ষভাবে এই সম্পর্ক আছে, কোথাও কোথাও আবার সাক্ষাৎ ভাবেও এই সম্পর্ক দেখা যায় । শ্ৰীযুক্ত যতীন্দ্রমোহন সিংহের উড়িষ্যা-চিত্রে কয়েক জায়গায় এই কথাটি কৃষক মহাজনকে বলিতেছে যে “আমি গরু চরাই, আপনি মনুষ্য চরান ।” কথাটা কতদূর কল্পিত তাহা গ্রন্থকার বলিতে পারেন, কিন্তু সরকারী বিবরণে এই অবস্থাটির অস্তিত্ব নিৰ্ম্মম ভাবে সমর্থিত হইয়াছে। “সারা ভারতবর্ষেরই চাষার অবস্থা সম্বন্ধে এই কথা বলা যাইতে পারে যে তাহারা এত দরিদ্র, এত অসহায় যে ইউরোপে তাহার তুলনা মিলে না। তাহার অজ্ঞ ও অসমর্থ বলিয়া তাহাদের অপেক্ষ একটু সঙ্গতিগৰু লোকের পীড়ন সহ করিয়া থাকে। গত বৎসরের ছোটনাগপুরের সেটেলমেণ্টের বিবরণে জানা যায় যে প্রবাসী—শ্রোবণ, ১৩২৯ [ २२* डांभं, sग थQ ওখানকার কৃষক মজুরের কষ্টে পড়িয়া সময় সময় নিজের স্বাধীনতা বন্ধক রাখিয়া দাসখৎ লিখিয়া দিতে বাধ্য হয়। সামান্ত মাত্র সাময়িক অর্থের আবশ্বক মিটাইতে না পারিয়া তাহারা এই সর্ভে ধার করিতে বাধ্য হয় যে গায় খাটিয়া ঐ টাকা শোধ দিবে। নিয়ম এমন, যে ব্যক্তি চাকর খাটিবে সে বাৎসরিক দুই হইত্বে চারি টাকা পাইবে এবং বৎসরে দুইখান কাপড় পাইবে । তাহার মহাজনই তাহার শ্রমফলের স্বত্বাধিকারী। এই রকম ঋণ সস্তানাদিতে বৰ্ত্তে এবং তাহারাও ঋণ শোধ না হওয়া পৰ্য্যন্ত পূৰ্ব্ব সর্তে বাধা থাকে। যদিও দাসপ্রথা অনেক দিন হইডেই আইন-বিরুদ্ধ, তথাপি এই প্রকারে ছোটনাগপুর প্রদেশে এক শ্রেণীর লোক আছে যাহারা পুরুষানুক্রমে উত্তরাধিকার-স্থত্রে দাসত্ব প্রাপ্ত হইয়াছে এবং স্বীয় বংশপরম্পরাকে সেই দাসত্ব দিয়া যাইতেছে।"

  • * * The general condition of the peasantry up and down the country can only be described by saying that the average cultivator is poor and to a degree to which Europe can afford little parallel. Ignorant and without resources he is always liable to be oppressed by those richer and more insluential than himself. Mention was made in last year's report of certain settlement operations in Chotanagpur which have disclosed the fact that agricultural labourers in that region are not infrequently compelled in time of stress to mortgage their personal liberty. In return for a . small some of money which they happen to need at the moment, they agree to serve the individual from whom they borrowed. The rule is that a man who has so bound himself gets from two to four rupees a year as pocket money and two pieces of cloths. His labour belongs to his creditor. The debt extends to the children, who remain bound till it has been discharged. There are therefore in Chota Nagpur people who have inherited servitude and who in turn have passed it on to their children although slavery has long been illegal in India."-India in 1920. Page 159. “The Indian Peasant.

এই হইল সাক্ষাৎ কৃষকের দাসৰ ইহা ছোটনাগপুরেই বদ্ধ নহে। বাংলা বিহার ও জঙ্কান্ত প্রদেশের