পাতা:প্রবাসী (দ্বাবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৫৭৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

&లీg [ ২২ণ ভাগ, ১ম খণ্ড S LS S TSAASAASAAAS কোরিয়ার প্রাচীন মানমন্দিরের অবশেষ । ভাষার প্রচলন বন্ধ করিয়াছে। জাপানী ভাষা সেখানে “জাতীয় ভাষা" বলিয়া প্রচলিত হইয়াছে এবং ছাত্রদিগকে জাপানী ভাষা শিক্ষা দেওয়া হইতেছে । আর বিদ্যালয়ের ধার্য ( text ) বই জাপান হইতে প্রকাশিত এবং জাপানী গভর্ণমেণ্ট কর্তৃক অনুমোদিত না হইলে আচল । সেখানে ইউরোপ ও আমেরিকার ইতিহাসের স্থান নাই। এমন কি কোরিয়ার ইতিহাসও পড়ানো হয় না। তার বদলে জাপানী ইতিহাস পড়ানো হয়। আর জাপানী ইতিহাস এমন ভাবে রচিত হয় যে তাহাতে কোরিয়াবালীদের মনে এই ভাব অনুপ্রবিষ্ট করাইয়া দেওয়৷ হয় যে, তারা জাপানীদের অপেক্ষা হীন এবং নীচ জাতি । সেখানে জাপানের রাজনীতির মুখ্য • উদ্দেশ্য কোরিয়াবাসীদের দেশাত্মবোধ বিলুপ্ত করা এবং তাদের সাৰ্ব্বজনিক নৈতিক উন্নতি খৰ্ব্ব করা। এ সম্বন্ধে কোরিয়ার অবস্থাভিজ্ঞ লোকের কথা এই— “কোরিয়াকে নিজরাজ্যভুক্ত করার কিছুদিন পরেই জাপানী গভৰ্ণমেন্ট কোরিয়াতে লোক পাঠাইয়া আফিঙের প্রচলন করে এবং কোরিয়াবাসীদের মধ্যে ইহা খাওয়ার অভ্যাস প্রবর্তিত করে । তারপরেই বারবনিতার প্রচলন আরম্ভ হয় । বৰ্ত্তমানে জাপান হইতে হাজার হাজার বারাঙ্গনা কোরিয়াতে আনা হইয়াছে । আর তারা কোরিয়ার জন-সমাজকে ঘৃণ্য মারাত্মক পাপে ও রোগে কলুষিত করিতেছে। এখানে স্থানে স্থানে সাধারণ স্নানাগার স্থাপিত হইয়াছে। সেখানে মেয়ে পুরুষে এক সঙ্গে স্নানের নিয়ম। এই প্রথায়ও কোরিয়াবাসীদের প্রভূত নৈতিক অবনতি ঘটিতেছে, এবং পরিণামে পরবর্তী বংশীয়দের জীবনে ইহা ভীষণ কুফল ফলাইবে, সন্দেহ নাই । বারাঙ্গন, সাধারণ স্নানাগার এবং জুয়াখেলার প্রভাবে কোরিয়ার নৈতিক আদর্শ আজ ধ্বংসোন্মুখ ।” জাপানীরা বলে তারা কোরিয়ার অনেক হিত করিয়াছে। অবশ্য কয়েক বিষয়ে তারা যে কোরিয়ার উন্নতি সাধন করিয়াছে তা অস্বীকার করা যায় না । জাপানী গভর্ণমেণ্টের স্বদীর্ঘ রিপোর্ট হইতে জানা যায় যে, তার কোরিয়াতে ডাক-বিভাগের প্রবর্জন করিয়াছে, টেলিগ্রামু ও টেলিফোন বসাইয়াছে, বড় বড় রাস্তা তৈরী করিয়াছে