পাতা:প্রবাসী (দ্বাবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৫৯৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ধিৰে পরিণত করিয়া দেয়। পারসীকর কুকুর বিড়াল হত্যা করে না, কারণ অনেক সময় তাহাদের মধ্যে জিন এবং আঞ্চঠিসর বাস করে। তাহারা দেহ-ছাড়া श्रेष्ण श्डाकाब्रोब्र चयक्ण क्षे। कोब्रपान गश्रब লোকের বিশ্বাস যে, সোমবার সাপ মারিলে পাশের বাড়ীর কেহ না কেহ মরিয়া যাইবে । চড়ুই পাখীরা গৃহস্থের মঙ্গল কামনা করে। পেচা বড় খারাপ। নারীরা স্বপ্নেও খুব বিশ্বাস করে। নারীদের এই রকমের অনেক কু-সংস্কার আছে। বুধবার বড় অশুভ দিন । এই দিন নাকি পৃথিবীর শেষ বিচার হইবে। এই দিনে সবাই গৃহের বাহিরে কাটায়। বুধবারে তাহার কাহারে সঙ্গে কলহ করে না। পারস্তের শাহের যাহাকে ইচ্ছা ঘোমটা খুলিয়া দেখিবার অধিকার আছে। যে নারীকে তিনি দেখেন, তাহার ভাগ্য নাকি বড়ই ভাল । দূরে যাত্রা করিবার পূৰ্ব্বে নারীরা দান করে, তাহাতে পথের বিপদ নাকি কাটিয়া যায়। ভূত্য প্রভুপত্নীকে আয়না দেখায়, জলে ভাসা ফুল দেখায়, বা এক-রকমের লতা পোড়ায়। এই-সব করিলে নাকি • পথে কোন বিপদ ঘটে না। যাত্রার পূৰ্ব্বে হাচি হইলে, অনেক ক্ষেত্রেই সেই দিনের মত যাত্রা বন্ধ করা হয় । কিন্তু হাচির ভাল গুণও আছে। কেহ কোন কিছু মনে মনে কামনা করিতেছে, এমন সময় যদি কেহ ইাচে, তবে তাহার সে কামনা পূর্ণ হয় । পারস্য দেশে রোগকে দুইভাগে ভাগ করা হয় । “গরম ব্যাধি” এবং “ঠাগু ব্যাধি” । গরম রোগের ( যেমন জর ) ঔষধ—রোগীকে বরফের মত ঠাও জলে চোবান। নানা প্রকার মন্ত্রাদির দ্বারাও রোগ দুর করিবার ব্যবস্থা আছে । মেয়েদের একটু বয়স হইলেই তাহারা স্বৰ্গ-লাভের মহিলা-মজলিস্—লাগরিক 6&S $नॉञ्च क्लेिख कहब । गभरु श्रृंबनॉनि दिखङ्गम्र कब्रिध्न किडू चर्थ cजॉश्रांज़ कब्रिञ्च चांभैौब्र चक्रूभङि,लदेब्र, भक दां কারবালা তীর্থে যাত্রা করে। বাহদের অতদুর বাইবার সামর্থ্য নাই, তাহার মেসেদের ইমাম রেজা মন্দিরে তীর্থ করিয়া আসে। এই তীর্থ হইতে প্রত্যাগমন করিলে তাহার নাম হয় মাহস্তাদি । যাহারা মক্কা বা কারবালা ঘুরিয়া আসে তাহদের লোকে হাজি এবং কারবাল বলে । তীর্থ-যাত্রীকে পথে অনেক কষ্ট ভোগ করিতে হয়। খচ্চরের পিঠে এক-রকমের ঝুড়ির মত বসিবার বঙ্গোৰস্ত থাকে। ইহাকে কাজাভেহ বলে। যাত্রীকে আপাদমস্তক কালো চাদরে ঢাকিয়া যাইতে হয়। চোখের কাছে একটু খোলা থাকে। পথে যেসমস্ত সরাই আছে, সেখানে থাকার কষ্ট অসীম। ঘরের বন্দোবস্ত এক-প্রকার নাই বলিলেই হয়। পথের নানা-রকম কষ্ট পার হইয়। যখন যাত্রী তীর্থে উপস্থিত হয়, তখন সে সেখানে বছর-খানেকের মত থাকিবার বন্দোবস্ত করিয়া লয়। এই এক বছর সে রোজ মসজিদে যায়, দান-ধ্যান করে, কোরাণ-পাঠ শোনে। দিনের জন্ত সময় নিজের দেশের আগত বন্ধু-বান্ধবের সঙ্গে গল্পগুজব করিয়া কাটায়। তীর্থে মরণ হইলে তাহার স্বৰ্গ লাভ হইবেই। তাহাকে ঘরের ভাবনা ভাবিতে হয় না, কারণ স্বামীই সেখানের সব কাজের কর্তা । ছেলেমেয়েরাও দাসদাসীদের কাছে বেশ স্বর্থেই থাকে। গৃহিণী মারা গেলেও পরিবার যেমন তেমনিই থাকে। তীর্থস্থানে মরণ হইলে একটা যার-তার পুরানো কবরে তাহাকে গোর দেওয়া হয় । দেশে ফিরিয়া মরণ হইলে বেশীর ভাগ লোকেরই কুমের মসজিদের নিকটেই গোরস্থানে কবর দেওয়া হয়। পারস্ত দেশের অনেক স্থান হইতেই এখানে মৃতদেহ সমাধি বাস করিতে আগম। করে । , • হেমন্ত চট্টোপাধ্যায়