পাতা:প্রবাসী (দ্বাবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৫৯৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

് ]. আপন ৰোমকে ফেলে ত আর পালাতে পারে না ; তারা ভাই-বোনে গলাগলি করে দাড়িয়ে রইল। বাঘ এসে বোনের বুক থেকে ভাইকে কেড়ে নিয়ে মেরে ফেল্পে, কিন্তু বোনকে ছুল না। বোন সেই মরা ভায়ের গলা জড়িয়ে ধরে কাতে কাদতে সেইখানেই মরে গেল । বোনের সেই হৃদয়ভেদী কাল্প গুনে ভগবান তাকে পাখী বানিয়ে দিলেন আর সে আজ পর্য্যন্ত সেই মর ভায়ের শোকে পাগল হয়ে গেয়ে বেড়ায়— “কাটাল পার্থী নাইওর যাইতে ভাইকে থাইল বনের বাঘে—” আমাদের এ অঞ্চলে এখনো এমন অনেক মেয়ে আছেন, যারা ‘কাটাল পাখী’র ডাক শুনলেই সেই মর ভায়ের কথা মনে করে চোখের জল রাখতে পারেন ন । - ঐ জগদীশচন্দ্র ভট্টাচাৰ্য্য জিনিষ নষ্ট হয়ে যায় কোথা ? আমরা বলি জিনিষ নষ্ট হয়। কিন্তু নষ্ট হওয়ার মানে কি তা আমরা অনেক সময় বুঝি না । আমরা চোখে দেখি একটা গাছের পাতা, কাগজের টুকরা বা ছেড়া ন্যাকৃড়া পচে নষ্ট হয়ে যায়। কিন্তু নষ্ট হয়ে তারা কি একবারে লোপ পায় ? না, তারা অন্য আকারে পৃথিবীর মধ্যেই থাকে। কি রকম করে থাকে তা বলছি। বর্ষাকালে নদী, খাল, পুকুর সমস্তই বৃষ্টির জলে পূর্ণ হয়ে যায় কিন্তু আবার গ্রীষ্মকালে সেই-সব জল ধায় কোথা ? সেই জল স্বর্ষ্যের তাপে বাষ্প হয়ে আকাশে মেঘের স্বষ্টি করে। বর্ষাকালে আবার সেই মেঘ জল হয়ে যায়। বরফ গলে জল হয়ে গেল আবার জলই বাষ্প হয়ে গেল । কিছুই নষ্ট হল না । ধান থেকে চাল করে আমরা খেলাম। দেখতে গেলে ধানগুলি নষ্ট হল বটে, কিন্তু সেগুলি আবার প্রকারীস্তরে আমাদের শরীরের পুষ্টি সাধন করলে। গাছের পাতা মাটির উপর ঝরে পড়ল, দু’দিন পরে পচে গেল —জার দেখা গেলNনা। কোথায় গেল ? সেই পাতা প্রকারান্তরে আবার গাছেই গেল — ছেলেদের পাত্তাড়ি-ছেলেদের বেড়াবার রেলগাড়ী تا انتهای خیالیسته یخی (ከ(፫(: AeAMA AJJJAMeM MeMeee eMAAA AAAA AAAAS AAASASASS পাতা যখন পচল তখন তা থেকে তিনটে জিনিষ হল –(১) বাষ্পীয়, (২) জলীয় এবং (৩) কঠিন । বাষ্পীয় পদার্থটি গেল হাওয়ায় মিশে। হাওয়া থেকে গাছ তাকে পুনরায় পাতার সাহায্যে আহরণ করলে ; জলীয় পদার্থটি মাটিকে ভিজিয়ে দিলে, কতকটা তার হগওয়ায় শুকিয়ে গেল আর কতকটা গাছের শিকড় শুষে নিলে ; এবং শেষের ঐ কঠিন অংশটুকু মাটির উপর রইল পড়ে ; ত! আবার সময়-ক্রমে জলে গলে গিয়ে অবশেষে সেই গাছেই শিকড় দিয়ে চলে গেল। এরা সবাই মিলে আবার পাছের পাতা তৈরী করতে সাহায্য করলে । এই রকম ভাবে দেখতে পাই যে প্রকৃতির ভিতর একই জিনিষ অবস্থা-বিভেদে ভিন্ন ভিন্ন আকার ধারণ করছে। একই লোক যেমন থিয়েটারে, যাত্রায়, বিভিন্ন সাজে সেজে এসে নানা রকমের অভিনয় করে, প্রকৃতির নান জিনিষও তেমনি নানা আকারে নান কাজ করে’ চলেছে। কেউই ব্যর্থ হচ্ছে না, নষ্ট হচ্ছে না। শ্ৰী ইন্দ্রনারায়ণ মুখোপাধ্যায় ছেলেদের বেড়াবার রেলগাড়ী ছেলেদের 'খেলার রেলগাড়ী অনেকদিন হইতেই চলিয়া আদিতেছে। চাবি ঘুরাইয়া দম দিয়া ছাড়িয়া দিলে সে গাড়ীর ইঞ্জিন গানিকটা খুব ছুটিত । আজকাল ছেলেদের বেড়াবার রেলগাড়ী আমেরিকায় বড়-লোকর অনেক বাগানে সরু রেল পাতিয়া ছেলেদের জন্য গাড়ীর প্রচল করিয়াছেন।