পাতা:প্রবাসী (দ্বাবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৬৩৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৫৯২ কয়েকজন মহাশয় ব্যক্তির প্রতিও সত্যেন্দ্র অপ্রসন্ন হয়ে উঠেছিলেন । সত্যেন্দ্র যেমন দেশ-বিদেশের প্রমাণিত মহত্ত্বকে সম্মান ও বন্দনা করে গেছেন, তেমনি মহত্ব-সম্ভাবনাকেও তিনি অভিনন্দন করেছেন— হল্লা করে ছুটির পরে ওই যে যারা যাচ্ছে পথে,-- হাস্কা হাসি হাসছে কেবল, ভাস্ছে যেন আলগা স্রোতে,— কেউ বা শিষ্ট, কেউ বা চপল, কেউ বা উগ্র, কেউ বা মিঠে ; ওই আমাদের ছেলের সব, ভাবনা যা সে ওদের পিঠে। ওই আমাদের চোখের মণি, ওই আমাদের বুকের বল,— ওই আমাদের অমর প্রদীপ, ওই আমাদের আশার স্থল,— ওই আমাদের নিখাদ সোনা, ওই আমাদের পুণ্যফল,— আদশে যে সর্ত্য মানে—সে ওই মোদের ছেলের দল । সত্যেন্দ্রনাথ এই-সব কবিত্ত্বমণ্ডিত উচ্চ ভাব প্রকাশ করেছেন ছন্দের বিচিত্রতায় সুন্দরতর করে । তিনি বিদেশী বহু ছন্দ বাংলা কবিতায় আমদানী করেছিলেন ; বহু সংস্কৃত ছন্দে বাংলা কবিতা লিখেছিলেন ; বহু ছন্দ নিজে হৃষ্টি করেছিলেন ; এবং বাদ্যের বা যন্ত্রের সুর পৰ্য্যন্ত কথার ছন্দে ধরে তিনি বন্দী করে গেছেন। পান্ধীবেহারার পান্ধী-বহনের কলরবের যে ছন্দ, তা সত্যেন্দ্র প্রকাশ করেছিলেন "পান্ধীর গান' কবিতায় –পান্ধী চলেছে— পান্ধী চলে, পান্ধী চলে— দুলকি চালে নৃত্য-তালে ! পান্ধী বইতে বইতে বেহারার ক্লান্ত হয়ে পড়েছে, পথও ফুরিয়ে এসেছে, তখনকার সে ভাব ছন্দে প্রকাশ পেয়েছে— * ! পান্ধী চলে রে! : অঙ্গ ঢলে রে ! আর দেরী কত ? আরো কত দূর ? আর দূর কি গো ? t i বুড়ো শিবপুর প্রবাসী—শ্রাবণ, ১৩২৯ AeSAeAMAA AeA SAeAMAM [ २२* ७ां*, ** थ७ ওই আমাদের ; g ওই হাটতলা, ওরি পেছুখানে ঘোষেদের গোলা । কঁধি বদল করে বেহারারা আবার ছুটুল— পাস্ত্রী চলে রে, অঙ্গ টলে রে ; সূৰ্য্য ঢলে, পান্ধী চলে । ‘পিয়াrনার গান’ কাটা কাটা পিয়ানোর স্বরকে কথায় ধরেছে— তুল তুল টুক টুক টুক টুক তুল তুল, কোন ফুল তার তুল, তার তুল কোন ফুল ? টুক টুক রঙ্গন, কিংশুক ফুল্ল, নয় নয় নিশ্চয় নয় তার তুল্য। ইত্যাদি। ছাড়া ছাড়া ছন্দে যখন চারিদিকে চরকা চালাবার চেষ্টা চলেছে, তখন একদিন সত্যেন্দ্রকে বল্লাম—একটা চবৃকার গান লেখ । সত্যেন্দ্র বললেন—‘কেউ যদি আমাকে চরকা-কাটার স্বর শোনাতে পারে ত চেষ্টা করতে পারি। আমাদের বন্ধু স্বরেশ বন্দ্যোপাধ্যায় নিজের বাড়ীতে সত্যেন্দ্রকে নিয়ে গিয়ে চরকার স্বর ও ছন্দ শোনালেন এবং সত্যেন্দ্র সেই স্থর কানে বয়ে বাড়ী গিয়ে কথায় প্রকাশ করলেন— ভোম্রায় গান গায় চরকায়, শোন ভাই ! থেই নাও, পাজ দাও, আমরাও গান গাই ! ঘর-বার করবার দরকার নেই আর, মন দাও চরকায় আপনার আপনার । চবুকার ঘর্ঘর পড়শীর ঘর ঘর! ঘর ঘর ক্ষীর-সর,—আপনায় নির্ভর । পড়াশীর কণ্ঠে জাগৃল সাড়া,— দাড়া আপনার পায়ে গড়া!