পাতা:প্রবাসী (দ্বাবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৬৭০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৪র্থ সংখ্যা ] কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের নূতন সংস্থিতি শিক্ষামন্ত্রী আরো বলিয়াছেন, যে, দুটি আইনের পাণ্ডুলিপি প্রস্তুত হইয়া আছে ; তাহার একটিতে কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সংস্থিতি ( constitution ) পরিবর্তনের ব্যবস্থা আছে। শীতকালে এই আইন ব্যবস্থাপক সভায় উপস্থিত করা হইবে । আইন যাহাতে ভাল হয়, খসড়া প্রকাশের পর সে চেষ্টা সকলকেই করিতে হইবে । কিন্তু ভাল আইন হইলেই আপনা হইতেই সুফল ফলিবে ও অকল্যাণ নিবারিত হইবে, এরূপ আশ{ কেহু করিবেন না । শিক্ষাদান কাৰ্য্য র্যাহারা বুঝেন কিম্ব তৎসম্বন্ধে জ্ঞান উপার্জন করিবার জন্য পরিশ্রম করিতে প্রস্তুত আছেন, বুদ্ধিমান, কস্মিষ্ঠ, নিঃস্বার্থ, নিভীক ও স্বাধীন প্রকৃতির এরূপ লোক বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য থাটিতে রাজী হইলে স্বফল ফলিবে । বর্তমান সময়েও, কেবল চালাকী ও প্রসাদ-বিতরণ দ্বারা বিশ্ববিদ্যালয়ে কেহ ক্ষমতাশালী হয় নাই । চিন্তা করিতে, খাটিতে, সময় দিতে হইয়াছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন কলেজ শিক্ষামন্ত্রীর ১লা মার্চের বক্তৃতায় দেখিতে পাই, যে, ১৯২০র জুনে যে বৎসর শেষ হয়, তাহাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন কলেজের হাতে ৬৮৬২৩ টাকা উদ্ধৃত্ত ছিল এবং অন্যান্ত বৎসরেও থোক্ টাকা উদ্ধৃত্ত থাকে। অথচ এই কলেজ বৎসর বৎসর অনেক হাজার টাকা গবর্ণমেণ্টের নিকট হইতে লইয়া থাকে । কিন্তু বিজ্ঞান কলেজের প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের তেমন স্থদুটি নাই। সেই জন্য শিক্ষামন্ত্রী বলিতেছেন, যে, তিনি আইন কলেজের জন্য বরাদ বার্ষিক ৩০ ০০০ টাকা তাহাকে না দিয়া বিজ্ঞান কলেজকে দেওয়া উচিত কি না বিবেচনা করিবেন। আইন কলেজে অধ্যাপকের অভাব নাই। কিন্তু ইহাতে আইনজীবীদের কার্য্য-নিৰ্ব্বাহের পক্ষে আবশ্যক সব রকম শিক্ষা দেওয়া হয় না । তাহা দেওয়া উচিত । সলিসিটার এটর্নীদের, কাজ ইহাতে না শিখাইবার কোন কারণ নাই। এলাহাবাদের আইন কলেজের মত ইহাতে বিবিধ প্রসঙ্গ—বিদ্যাসাগরের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন AAAAASAAA AAAA AAAA AAAA AAAA AAAA AAAA AAAA AAAA AAAA AAAA AAAA AMA AMMMMAMMS MSMS MA MA AMMMMJJSMSMMS MSMSAASAASAASAA - - •ے_*ممب...یہr•بیبیه عیسیحیی پہ ৬২৫ অনন্তকৰ্ম্ম অধ্যাপক নিযুক্ত করা উচিত এবং ইগর অধ্যাপনার সময়ও অন্যান্ত কলেজের মত করা কর্তব্য । বিদ্যাসাগরের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন বাংলা দেশে পুণ্যশ্লোক ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর মহাশয় গ্রন্থকার বলিয়া, শিক্ষাদাত বলিয়, দয়ার সাগর বলিয়, মানুষের মত মানুষ ৰলিয়া এবং বিধবা-বিবাহের প্রবর্তক বলিয়া পরিচিত। ১৩ই শ্রাবণ তারিখে তাহার মৃত্যু হয়। ঐ দিন প্রতি বৎসর নানাস্থানে নানা সভায় তাহার গুণকীৰ্ত্তন করা হয়। কিন্তু অনেক বক্তা বিধবাবিবাহের কথা একেবারে বাদ দেন, কোথাও বা সামান্তভাবে উহার উল্লেখ হয়। বিধবাবিবাহের প্রচলন - বাংলাদেশে সৰ্ব্বাপেক্ষা কম হইয়াছে। অথচ মঙ্গুষ্যোচিত দয়াধর্শ্বের ও স্ত্রীপুরুষ-নিৰ্ব্বিশেষে সমান ন্যায্য সামাজিক ব্যবস্থার অন্তরোধে উহার প্রচলন আবশ্যক, সহস্ৰ সহস্ৰ নারীর ঐহিক পারত্রিক শারীরিক আধ্যাত্মিক কল্যাণের জন্য উহার প্রচলন আবশ্যক, সামাজিক পবিত্রত রক্ষার নিমিত্ত উহার প্রচলন আবশ্বক, এবং বঙ্গে হিন্দুজাতির সংখ্যা হ্রাস নিবারণের জন্য উহার প্রচলন আবগুক । বিদ্যাসাগর মহাশয় বিধবা-বিবাহ প্রচলন দ্বারা, বহুবিবাহ নিবারণ দ্বার, স্ত্রীশিক্ষ-বিস্তার দ্বারা এবং আরো কোন কোন উপায়ে নারীজাতির হিতসাধন করিতে চাহিয়াছিলেন । ইঙ্গ অত্যন্ত ক্ষোভ ও লজ্জার বিষয় যে বাঙালীর বিধবা বিবাহের ন্যায্যতা ও একান্ত আবশ্বকতা বুঝিলেন না। কিন্তু যদি বাঙালী জাতি অন্ত নানা উপায়ে নারী জাতির হিতসাধনে যত্নবান হন, তাহা হইলেও কিছু মঙ্গল হয়, এবং বিদ্যাসাগর মহাশয়ের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শিত হয় । বিদ্যাসাগর বাণীভবন বিধবা ও অন্য দুরবস্থাপস্থা মহিলাদের শিক্ষা দ্বারা হিতসাধনের জন্য,স্থাপিত হটয়াছে। ১৩ই শ্রাবণ বিদ্যাসাগর মহাশয়ের স্মৃতিসভা যত জায়গায় যতগুলি হইবে, তথায় বিদ্যাসাগর বাণীভবনের জন্য অর্থসাহায্য সংগৃহীত এবং ১০৫ নং আপার সাকুলার রোড ঠিকানায় সম্পাদিকা শ্ৰীযুক্ত অবলা বন্ধ মহাশয়ার নামে