পাতা:প্রবাসী (দ্বাবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৬৭৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

کو وك ూు^^ কীিয়া, উদারভাবে নানা পত্রিকা হইতে প্রবন্ধ উদ্ধৃত করিতেন । তিনি সাতিশয় পিতৃভক্ত ছিলেন এবং পিতার আদর্শ অনুসারে জীবনযাপন করিয়া গিয়াছেন। প্রাচীন হিন্দু আদর্শ যে মহিলাদের উচ্চশিক্ষার বিরোধী নহে, তাহার প্রমাণ তিনি নিজের জীবনে দিয়া গিয়াছেন। বাংলা সাহিত্যক্ষেত্রে স্বপরিচিত শ্ৰীমতী ইন্দিরা দেবী ও শ্রীমতী অমুরূপ দেবী তাহার কন্তু । তাহার যত্বে তাহারা উচ্চ শিক্ষা লাভ করেন। শান্তিনিকেতনে ব্রহ্মচৰ্য্য আশ্রম ও বিশ্বভারতী বিশ্বভারতীর সংস্থিতিপত্র ( constitution ) ছাপা হইয়া রেজিষ্টি হইয়া গিয়াছে। ইহার কাজ আগে হইতেই চলিতেছিল। এখন সংস্থিতি অনুসারে চলিতে থাকিবে । “জাতীয় শিক্ষা” কথা ফুটি নানা জনে নানা অর্থে ব্যবহার করেন। কিন্তু যিনি যে-অর্থেই করুন, সে শিক্ষা জাতীয় শিক্ষা নামের যোগ্য হইতে পারে না, যাহাতে অন্ততঃ নিম্নলিখিত কয়েকটি লক্ষণ না থাকিবে । আমাদের দেশের বাবু লোকেরা জাতির প্রধান অংশ নহে, কেবল তাহাদিগকে লইয়াই জাতি গঠিত উ-নছেই, যাহারা চাম * করিয়৷ কুলি-মজুরের কাজ করিয়া বা কোন প্রকার কারিগরী মিস্ত্রীগিরি করিয়া খায়, তাহারাই জাতির প্রধান অংশ । তাহাদিগকে বাদ দিয়া জাতি বলিয়া কিছু থাকিতে পারে না । এই যে অধিকাংশ শ্রমী ও অপেক্ষাকৃত দুঃখী ও গরীব লোক, তাহাদের জীবনের ও জীবিকার উপায়ের সহিত যে শিক্ষার সম্পর্ক নাই, তাহ জাতীয় শিক্ষা নহে। ব্রহ্মচৰ্য্যআশ্রম ও বিশ্বভারতীতে চতুষ্পার্থের গ্রাম্য জীবনের ও জীবিকার সহিত সম্পর্ক আছে। এখানে চাষ ও কয়েক প্রকার কারিগরীর কার্য্যগত শিক্ষা দেওয়া হইতেছে। আষাঢ়ের “শান্তিনিকেতন’ পত্রিকা হইতে তাহার কিছু দৃষ্টান্ত দিতেছি। স্বরুলে বিশ্বভারতীর কৃষি বিভাগে চৰ্ম্মশিল্প আধুনিক বৈজ্ঞানিক প্রণালীতে শিক্ষা দেওয় হইতেছে। , "ছাত্রদের মধ্যে সীমান কুণদাপ্রসাদ সেন এই বিষয়ে বিশেষজ্ঞৰে প্রবাসী-শ্রাবণ, ১৩২৯ AAMAMAeMAMeMeAeMAMAMAMAeMAMAMMMMMAMMMeMeeeeAMMMM MM MAMAAMMMM [ २२* ७ीर्ण, s* १७ পারদর্শিত লাভ করিয়াছেন। নিকটবৰ্ত্তী মোঁদপুর গ্রামের তিনজন মুচীও, বিশেষ আগ্রহের সহিত এক মাস শিক্ষালাভ করিয়৷ এই কাজে পাক হইয়াছে। বর্তমানে কৃষিবিভাগে বারোটি ছাত্র আছে । তাহাদের প্রত্যেককে নিজেদের স্বতন্ত্র জমি দেওয়া হইয়াছে। সেই জমি তাহার নিজেদের হাতে প্রস্তুত করিয়| তাহাতে চিনে বাদাম, বিলাতি বেগুন, বরবটি, ও মূলার বাঁচ লগাইয়াছে।..••••ছুতারের কাজেরও ক্রমোন্নতি হইতেছে। সম্প্রতি ছাত্রের নুতন বৃষ্টি পাইয়। কয়েক দিন চাষের কাজে ব্যস্ত আছে। তাছাদের জমির কাজ একটু কমিলেই তাহার। অঙ্কীস্ত কাজ আরম্ভ করিতে পরিবে ।” ছাত্রেরা পার্শ্ববৰ্ত্তী সাওতাল ও অন্যান্য সাধারণ লোকদিগকে লেখাপড় ও অন্যান্য শিক্ষা দিয়া থাকে, এবং তাঁহাদের স্বাস্থ্যের উন্নতির চেষ্টা করে । ভারতবর্ষের লোকদের সাধনায় শ্রমে ও প্রতিভায় যে যে বিদ্যা ও যেরূপ সভ্যতার জন্ম ও উন্নতি হইয়াছে, তাহার সহিত ঘনিষ্ঠ যোগ না থাকিলে কোন শিক্ষাপ্রণালী জাতীয় হইতে পারে ন| বিশ্ব ভারতীতে এরূপ যোগ আছে । আমাদিগকে সমুদয় মানবজাতির সহিত যোগ রাখিয়৷ তাহাদের নিকট হইতে শিখিতে হইবে ও তাহাদিগকে শিখাইতে হইবে । বিশ্বভারতীতে এই আদান-প্রদানেরও ব্যবস্থা আছে । ইহা এই প্রতিষ্ঠানের যেমন জাতীয় দিকৃ, তেমনি আন্তর্জাতিক দিকৃও বটে। ভারতবর্ষকে বাহির হইতে এখন বিশেষ করিয়া বিজ্ঞান এবং তাহার ব্যবহারিক প্রয়োগ শিখিতে হইবে । শেষোক্ত বিষয়েও যে দৃষ্টি আছে, তাহার একটি দৃষ্টান্ত উদ্ধৃত করিতেছি। গ্রীষ্মকালে এখানে বড় জলাভাব হয় বলিয়৷ আশ্রমে দেড় শ ফুট এবং স্বরলে প্রায় দু শী ফুট মাটী মৃত্তিকাভেদন যন্ত্রের সাহায্যে খনন করা হইয়াছে। বিস্তু নীচে পাথরের মত শক্ত মাটী বলিয়। কাজ ধীরে ধীরে অগ্রসর হইতেছে । খনন করিবার যন্ত্রটি দিবারাত্রি চালাইবার জস্ত বিশ্বভারতীর অধ্যাপক ও ছাত্র অনেকেই অক্লাস্তভাবে দিনরাত্রি কাজ করিয়াছিলেন। নানা দেশের ও নানা ভাষার পুস্তক সংগ্রহ বিশ্বভারতীতে যেমন হইতেছে, এমন ভারতের আর কোথাও হইতেছে কি না সন্দেহ। একটি দৃষ্টান্ত দিতেছি। টোকিও বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক শ্ৰীযুক্ত আনাসাকী কয়েকখানি বহুমূল্য দুলভ চীনা ও জাপানী পুস্তক গ্রন্থাগারে দান করিয়াছেন। সাংহাই হইতে আমরা সমগ্র চীন ত্রিপিটক ( প্রার চারশত গ্রন্থ ) ॐशंब्र *ोइंग्रांश् ि। कब्रांनौ cम* श्रङ विश्डांब्रउँौब्र वकूत्र१ वर्डभांन ফরাসী সাহিত্য সম্বন্ধীয় বহু পুস্তক পঠাইয়াছেৰ । জাৰ্ম্মানীতে গুরুদেবের জন্মদিনের উৎসবে যে-সব পুস্তক সংগৃহীত হইয়াছিল, সেগুলিও হায়ুর্গ, হইতে প্রেরিত হইয়ছে। $.