পাতা:প্রবাসী (দ্বাবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৬৮৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৫ম সংখ্যা | ফারসী ( বা উর্দু) ব্যবহার করিতেন,-যেমন, উড়িষ্যায় দীর্ঘকালবাসী মুসলমানের ঘরে ওড়িয়া বলে। ] এইরূপে বাজলাদেশে সামাজিক জীবন হিন্দু-মুসলমানদের মধ্যে প্রায় একমত ছিল, এবং ইহা পশ্চিমাঞ্চল হইতে বিভিজ্ঞ । সেই যুগে বাঙ্গলায় ধৰ্ম্ম হিন্দু হইতে মুসলমানকে পৃথক্ করিতে পারে নাই, কিন্তু ভাষা ও সামাজিক রীতি বাঙ্গালী হিন্দু-মুসলমানকে পশ্চিম-ভারতীয় হিন্দুমুসলমান হইতে পৃথক রাখে। (আমি এখানে আমলাবর্গের কথা বলিতেছি না ; মুঘলযুগে আমলার প্রায় সব প্রদেশেই ‘জাতভাই ছিল । ) ২। বাঙ্গলার জমিদারদের গৌরব তাহার পর, বাঙ্গালার জমিদারগণ অন্য প্রদেশের জমিদার হইতে অনেক অধিক ধন জন-ক্ষমতাশালী,— প্রায় সামন্ত রাজাদের মত স্বাধীন ছিলেন । পাঠানযুগে স্বলতানদের এবং মুঘলযুগে বাদশাহী স্ববাদারদের এত লোক-বল ছিল না যে জমিদারদের সম্পূর্ণ বশ ও শক্তিহীন করেন। এই অসংখ্য নদীর ভাঙ্গন-গড়নের দেশে জমির জরীপ ও সীমাচিহ্ন রক্ষা করা অসম্ভব ছিল। উত্তর-ভারতীয় মুসলমান বিজেতাদের প্রধান বল ছিল শিক্ষিত সবল অশ্বারোহী ; তাহ। এই বন্যা বিল খালের দেশে কাজ করিতে পারিত না, ঘোড়া শীঘ্ৰ মরিয়া যাইত। এইজন্য বাঙ্গলার পদাতিকश्र¢भद्र (*ाहेक) ब्रूक ७ऊ शृला छिन । ७ठे खेलििब्र দেশে ভূস্বামীর টাকার অভাব হয় না ; জমিদারগণ সহজেই পাইক সংগ্ৰহ করিয়া নৌকা লইয়া, স্থলগামী মুঘল অশ্বারোহীকে বাধা দিতে পারিতেন। আর, পশ্চিম ভারতে যেমন সম্রাটের বন্ধু ও স্বজাতী মুসলমান জমিদার অনেক ছিলেন, স্থানীয় বিদ্রোহী-জমিদারের দমনে সাহায্য করিতেন, বঙ্গদেশে সেরূপ লোক অত্যন্ত কম। দিল্লীশ্বরের পূৰ্ব্বেকার বঙ্গীয় মুসলমান শাসকগণ অন্তদেশ হইতে বলিষ্ঠ সৈন্য খুব কম মানিতে পারিতেন, বাঙ্গালীর বা বাঙ্গালীৰপ্ৰাপ্ত আস্থানের সাহায্যে লড়িতে হইত। সুতরাং বিদ্রোহী-জমিদারের সৈন্ত অপেক্ষ স্বলতানের সৈন্যগণ জাতি বল ও শিক্ষায় বাঙ্গলার স্বাধীন জমিদারদের পতন ASAAAAS SSAAAASA SAASAASAASAASAASAASAASAASAAASeeSeSMSSASAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SS SAAAAAA AAAA AAAA S ులిగి SS S SSAAAAS S AAAAA AAAA AAAA AAAS S ASAAAAAAS SAAAAYS S SAAAA শ্ৰেষ্ঠ ছিল না, বঙ্গৰিদ্ৰোহ-দমন কঠিন সমস্যা ছিল । আর, বাঙ্গলা দেশ দিল্লী-সাম্রাজ্যের অধীন হইবার পরেও যখনই কোন বাদশাহ মরিতেন এবং উহার পুত্ৰগণের মধ্যে সিংহাসন লইয়া যুদ্ধ বাধিত, অমনি বাঙ্গালার জমিদারগণ খাজনা বন্ধ করিতেন ও আশপাশে লুঠ আরম্ভ করিয়া স্বাধীনতা ঘোষণা করিতেন ; কারণ বঙ্গদেশ দিল্পী-সাম্রাজ্যের এক স্বদুর কোণে । এরূপ দূরবর্তী সীমান্ত-প্রদেশে কেন্দ্রস্থ রাজশক্তির প্রভাব স্বভাবতই ক্ষীণ থাকে। বাঙ্গলার জমিদারগণের প্রতিপত্তি ও স্বাধীনতার ইহাই, স্থায়ী কারণ ; তাহার উপর, খৃষ্টীয় ষোড়শ শতাব্দীব্যাপী পাঠান রাজশক্তির অবনতি ও পতন এবং মুঘল সাম্রাজ্যের নানা বাধা-বিদ্রোহ ঠেলিয়া প্রথম প্রতিষ্ঠার সময়ে বঙ্গে জমিদারগণ একেবারে প্রভুহীন স্ব স্ব কর্তা হইয়া উঠিয়া যথাসাধ্য রাজ্যৰিস্তার করিবার মহা সুযোগ পান। এই স্বযোগে প্রতাপাদিত্য ও বারভূইয়াদের উখান। আকবর বাঙ্গলা জয় করিলেন বটে; কিন্তু ইহা যশ করিতে র্তাঙ্গকে বিশ বৎসর ধবিয়া শ্রম করিতে হয় । তাহার বঙ্গীয় স্থবাদার ও সেনাপতি রাজা মানসিংহ বাঙ্গলার জলবায়ুকে ভয় করিতেম, রাজমহলে বাস করিতে. ভালবাসিতেন। তিনি বাঙ্গলায় প্রথম বিদ্রোহ দমন করিয়া জমিদারের নিকট হইতে নামেমাত্র বগুত। স্বীকার ও খাজনা লইয়া তাহাঁদের ছাড়িয়া দিলেন, একেবারে নষ্ট করিলেন না। র্তাহীদের শক্তিহীন দাসের মত করিতে হইলে অনেক বৎসর ধরিয়া যুদ্ধ করা আবণ্ঠক হইত। স্বতরাং বাজলার জমিদারগণ বাদশাহের বিপদের কারণ থাকিয়া গেল i তাহাদের সম্পূর্ণ পরাস্ত পদানত ও ধোড়া সাপের মত নিস্তেজ করেন পরবর্তী স্ববাদার ইসলাম খা (১৬০৮ —১৬১৩ খৃ ) । ইহার বয়স অল্প, কিন্তু একদিকে যেমন অহঙ্কার অপর দিকে তেমনি তেজ, সাহস, দূরদর্শিতা এবং কৰ্ম্মে আগ্রহ ও শ্রমশীলতা। র্তাহার বঙ্গশাসন এবং জমিদার-ধ্বংসের স্বদীর্ঘ ও সমসাময়িক বিবরণ তদীয় কৰ্ম্মচারী শিতাব খার (মির্জা গহন ) রচিত ফ্লারসী