পাতা:প্রবাসী (দ্বাবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৬৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

鑿 8や উঠিয়াছে, এই পাহাড়গুলো যেন অচল বস্তুপুঞ্জ নয়, ওই সচল রেখাগুলি নীলাকাশের পটে তাgাদের প্রাণের গতিকে টানিয়া উচ্ছসিত করিয়া দিয়াছে। তেমনি তাহারু প্রাণ কোন রংএর রেখাপথ দিয়া যাইবে ? জান্‌লার ফাক দিয়া একটু চাদের আলো তাহার মুখে আসিয়া পড়িল । সেই জ্যোৎস্নাময় নীলিমার দিকে চাহিয়া রজত ভাবিতে লাগিল, সত্যই সে মানবসভ্যতার উন্নতির মুন্য কি করিতেছে ? বিজ্ঞান, সভ্যতা, মানবের মুখ,--যতীনের কথাগুলি ব্যঙ্গের স্বরে কি বেদনার স্বরে তাহার কানে বাজিতে লাগিল তাহা সে ঠিক বুঝিতে পারিল না। বালিশ ছাড়িয়া উঠিয়া বসিল । বিপুলরহস্যময় দিগন্থের দিকে চাহিয়া রহিল। সত্যই কি চাই ? অজন্তার চিত্রশাল, না কয়লার খনি ? রবীন্দ্রনাথের গানগুলি, না লোহার কারখানা ? এইসব সরলনগ্ন গ্রাম্য-জীবন, না নগরের রুত্রিম মুখোস-পরা সভ্যতা ? দুই-ই চাই ? বঁাশীর স্বরের সঙ্গে মোটরকারকে কে বাধিতে পরিবে ? আবার সে ধীরে শুইয়া পড়িল । তারাগুলি যেন মাথার গোড়ায় প্রদীপের শিখার মত দুপ দপ, করিতেছে, বি বি পোকার আওয়াজে সমস্ত আকাশ ঝিম্ ঝিম্‌ করিতেছে। এ-সমস্ত ভাবিতে তাহার ভালে| লাগিল না। তারাগুলির দিকে চাঙ্গিয় সে ভাবিতে লাগিল, এখন হয়ত সেই তরুণী বাড়ী পৌছিয়া গিয়াছে ; সেও হয়ত তাহারি মত এদেশে নূতন আসিয়াছে, এ অজানা দেশ এই জ্যোংস্ক-রাত্রির মায়ায় আরও অপূৰ্ব্ব লাগিতেছে ; সেও হয়ত এয়ি বিছানায় শুইয়া মাথার গোড়ার জান্‌ল খুলিয়া ছিন্নমালার ফুলদলের মত তারাগুলি দেখিতে দেপিতে সারাদিনের যাত্রার কথা, তাহার কথাও একটু ড্রাবিতেছে, তাহার ক্লেশে মুখে নীলাকাশে এমি জ্যোংস্ক ঝরিয়া, ঝরিয়া পড়িতেছে, অপূৰ্ব্ব দ্যুতিময় তাহার চোখ দুটি ওই তারাটির দিকে চাহিয়৷ আছে । g ভাবিতে ভাবিতে রঙ্গতের চোপ নিদ্রায় ভরিয়া আসিল । .প্রবাসী—বৈশাখ, ১৩২৯ । AAA AASAAA AAAA AAAA AAAA AAAA AAAA AAAAMAAA AAAA AAAA AAAA SAAAAAS SSMSJAJJJAAJJJMAMAAA AAAA AAAA AAAA AAAA AAAA AAAA AAAA AAAASJSAASASASS [ ২২শ ভাগ,"১ম খণ্ড SAAAAAA AAAA AAAA AAAA SAAAA S AAAAA AAAA AAAA AAMAAA SAAAAA SAAA AS AAAAA AAAAA ર পরদিন রজত যখন হাজারিবাগে পৌছাইল, তখন সুন্দর প্রভাত। পাহাড়ের গ৷ হইতে স্বচ্ছ কুঙ্কটিকা উড়িয়া যাইতেছে, ঘাসে ঘাসে পাতায় পাতায় শিশিরের বিন্দ্রগুলি ধীরে ধীরে শুকাইতেছে। সহর হইতে মাইল তিন দূরে এক খোলা প্রান্তরের মধ্যে বড় লালবাড়ীর সামনে কুলীর গাড়ী থামাইল । বাড়ীটি পথ হইতে কিছু দূরে, উচ্চভূমিতে প্রতিষ্ঠিত। লতামণ্ডিত গেটের সম্মুখে নামিয় লাল কঁাকরের রাস্ত দিয়া রজত বাড়ীর দিকে উঠিয়া চলিল। পথের দুই পাশে ইউক্যালিপূটাস ও পাম-গাছের সারি, তাহার মাঝে মাঝে ক্রোটনের সার, লতাকুঞ্জ, পুষ্পবীথি । প্রায় অৰ্দ্ধেক পথ উঠিয় পথের এক বাকে রজত দেখিল, এক ঝাউ-গাছের ছায়ায় এক সাদা বের্তের চেয়ারে বসিয়া একটি মেয়ে নিবিষ্টমনে বই পড়িতেছে, বাসন্তী রংএর শাড়ীর উপর লাল রংএর বইখানি, সাদাপাতাগুলির উপর সোনার বালাগুলি ঝিকিমিকি করিতেছে । পাঠনিরত তরুণী-মুৰ্ত্তির পাঠভঙ্গীর অপূৰ্ব্ব স্বযমাময় চিত্রের দিকে চাহিয়া রজত চপ করিয়া দাড়াইল । লুটাইয়া-পড়৷ শাড়ীর পাড় হইতে ঝুলিয়া-পড়া চুলগুলি পৰ্য্যন্ত দেহের সব রেগ নেন বইখানির উপর পরম প্রতিতে প্রতু श्झेब्र পড়িয়াছে; মুক্ত কালে কেশে অৰ্দ্ধেক মুখ ঢাকা | রজতের কেমন ধারণা হইয়াছিল কালকের পথে-দেগা মেয়েটিকে সে এ বাড়ীতে আসিয়া দেখিতে পাইবে, অবশ্য এ বিশ্বাসের কোন যুক্তিযুক্ত কারণ সে খুজিয়া পায়'নাই। তাহাকে না দেখিয়া সে যতখানি ক্ষুণ্ণ হুইবে ভাবিয়াছিল তাহা হইল না। মেয়েটি তাহার দিকে লক্ষ্যই করিতেছে না দেখিয়৷ মনে মনে হাসিয়া রজত একটু মেকী কাশিয়া নাগর। জুতাট কাকরে ঘসিল। শব্দে চমকিত হইয় হাত দিয়া চুলের গুচ্ছগুলি মুখ হইতে সরাইয়া চাহিতেই এক অপরিচিত যুবককে সম্মুখে দাড়াইতে দেখিয়া মেয়েটি অতি অপ্রতিভ ভাবে দাড়াইয়া উঠিল। রজত দেপিল দেন মূর্তুিমতী পূর্ণিমা। সে একটি ছোট নমস্কার করিল। প্রতিষঙ্গার, করিতে গিয়া হাত হইতে বইখানি সপন্ধে পড়িয়া ধাইতে