পাতা:প্রবাসী (দ্বাবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৬৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১ম সংখ্যা ] খৰ্ব্বাকৃতি কিন্তু তাঁহার দৃঢ়মাংসপেশীবহুল দেহ দেখিলেই মনে হয়.এ যেন একটা শক্তির ডাইন্তামো, গৈাগগাল ভরা মুখ, জলজলে চোখ দুইটি সর্বদ সজাগ, চারিদিকে ঘুরিতেছে। রজতের দীর্ঘদেহ দেখিলেই মনে হয় এ যেন প্রাণরসের ফোয়ার, বিছাংশিখার মত কঁাপিতেছে। তাহার লীলায়িত দেহখানি যতীন লোহার মত দৃঢ় হন্তে ধরিয়া ঝাকুনি দিয়া বলিল,—স্বপ্ন সব ছেড়ে দাও ভাই, dreansএ দেশের এই দশ, কাজ চাই, वैशंख রজত মুচকি হাসিয়া বলিল,—তুমি কি কাজ করছ ভাই ? —আমি ? ওই ত বল্লুম টাকা পাচ্ছি মা, না হলে দেখতে এখানে লোহা তৈরী করবার কারখানা কর্তুম— লোহা—বুঝলে, লোহা হচ্ছে এ যুগের দেবতা, এদেশে তার জন্ম দিতে হবে—প্রতিষ্ঠা করতে হবে যেদিন জাৰ্ম্মানীর মত হবে— যতীনের উদ্দীপ্ত বাক্যধারায় বাধা দিয়া একটু ব্যঙ্গের স্বরে রঞ্জত বলিল,—তবেই ভারতের মুক্তি ? —নিশ্চয়! দেখবে সেদিন সে পরাধীন নেই! যদি শক্তি পাই, আমি এখানে ইঞ্জিন তৈরী করব, মোটর-এই ফোর্ডকারের মত Dutt-car, তোমরা চছ্‌বে, এসে লেগে যাও আমার কাজে—বলিয়া নিজের মোটরটা ধরিয়া ঝাকুনি দিল । —কেন ভাই ? এই সামনে শান্ত গ্রাম ঘুমোচ্ছে দেখুচ, তোমার কাজের চোটে এদের চোখে দিনরাতে নিদ্রা থাকবে না, বুকে থাকবে অতৃপ্ত জাল,—এ গ্রামের জায়গায় আসবে কুলীদের 'বস্তির কদৰ্য্যতা আর বীভৎসতা, মদের দোকান আর বারবনিতা—তোমার কলে একঘণ্টায় একশো মাইল যাবে, হাজার হাজার মাইল দূর থেকে বজ্ঞা শুনবে, এক মিনিটে একখান কাপড় হবে, এক সপ্তাহে একখানা বাড়ী হবে, আকার এক নিমিষে মাহুষ মেরে ফেলবে, নগর • পুড়িয়ে দেবে—পাহাড় ডিড্রোবে, সাগর পেরোবে, আকাশে উড়বে—সব মানলুম -কুিন্তু সত্যিমুখ দিতে পারবে কি ? -श् रिडै পারব না ? এই কলের জন্য কত রমল 8& material comforts corg (stē, sē Gīstrệ, মোটর, ইয়েকটিকের আলে, কত বল্ব-sily— তোমাদের মতু ভাবুকদের বোঝাতে পারব না-ওসব থিওরী বুঝি না, আমি বুঝি কাজ, কাজ,— • —আচ্ছ অনেকক্ষণ ত মোটরের গান শুনলে এখন আমার বাণীটা একটু শুনবে, স্কুলে বাশী শোনবার জন্য আমায় কতই না ক্ষেপাতে— রিষ্ট-ওয়াচটার দিকে আবার দেখিয়া যতীন বলিল,— না ভাই ; আজ সময় নেই, হাজারিবাগে শীগগির আসছি, তখন শোনা যাবে, কোথায় উঠছে ? —যোগেশচন্দ্র ঘোষের বাড়ী। —যোগেশচন্দ্ৰ—আচ্ছ মনে থাকবে, আর দেরী করলে মেল পাব না । 變 রঞ্জতের কোমল হাত ভাস্কার শক্ত হাতে ধরিয়া মোটরের দরজার কাছে টানিয়া আনিয়া দীপ্ত স্বরে যতীন বলিল,—কাজ—কাজ-কাজ চাই - ভাই, সব স্বপ্ন ছেড়ে দাও-ভাবতে হবে কি করুছ তুমি। এই মানবশক্তির জন্য, মানবসভ্যতার উন্নতির জন্য কি *ąg- science, civilisation, happiness– মোটরের দরজাটায় এক থাপ্পড় দিয়া যতীন বলিতে লাগিল,—এই যে মোটরটা—এ কি একটা শুধু জড় কল ভাবে ? অামার মোটেই তা মনে হয় না, এ আমার জীবন্ত বন্ধু, আমার চলার শক্তি, আমার পায়ের সবচেয়ে বড় muscle, তেজী ঘোড়া ইাকিয়ে য। আরাম তার চেয়ে আরাম একে চালিয়ে—আচ্ছ ভাই আজ আসি—বলিয়া সে দরজা না খুলিয়াই মোটরে লাফাইয়া উঠিল । মোটর গর্জন করিয়া উঠিল, তাহার শব্দে তাহার au revort ডুবিয়া গেল্প, কালে পথে হুঙ্কার করিতে করিতে মোটর নিমেষে কোথায় মিলাইয় গেল । আবার সব স্তন্ধ, শুধু হাঞ্চয়ার সন্দন শব্দ । ধীরে এক গেলাস জল গড়াইয়৷ থাইল্লা বুজত অতি আস্তে গাড়ীতে উঠিল । তরু-ছায়ায় ঘুমন্ত গ্রামের দিকে চাহিল, তারা ভরা উদার আকাশের দিকে চাচ্ছ্বিল, দিগন্তে কালোপাঙ্গড়ের সারির দিকে চালি, ” শিখরে শিখরে নানাভাবের রেখাগুলি ষ্ট্রে তরঙ্গায়িত ইষ্টয়া