পাতা:প্রবাসী (দ্বাবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৬৯৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৫ম সংখ্যা ] স্বদেশীর দ্বিতীয় যুগ ASS AAAA AAAA AAAA AAAA AAAA AAAA MMMA MAA AMA AAMA MA AMM MMeMMASAMMMAeeMMMMMMMM \96kჯ স্বদেশীর দ্বিতীয় যুগ © পুরাতন সমস্যা স্বদেশী আন্দোলনের যুগে জাতীয় জীবনকে সবল স্বাবলম্বী করিবার চেষ্টা দেশে প্রথম দেখা গিয়াছিল। তাহার পর আর-এক যুগ ও আন্দোলন আসিয়াছে। মধ্যে ইউরোপীয় মহাযুদ্ধের ব্যবধান । এই যুদ্ধ আমাদের বৈষয়িক জীবনের দোষ ও দুৰ্গতি আরও প্রকট করিয়াছে। তাই আবার আমরা পূৰ্ব্বেকার মত পল্লীসেবা শিল্পপ্রতিষ্ঠা বাণিজ্যপ্রসারের দিকে মন দিয়াছি । কিন্তু এই যুগে আমাদের পরনির্ভরতা আরও অধিক হইয়াছে। অনেক স্বদেশী কারবার ফেল হওয়াতে একটা ভয় ও সন্দেহ আসিয়াছে। কুটিরশিল্প আরও অবনতির দিকে গিয়াছে। যুদ্ধের পর বর্তমান দুৰ্ম্ম ল্যতা আরও কষ্টকর ও অনিষ্টজনক হইয়াছে। পাট ও তুলার রপ্তানি বন্ধ হওয়াতে কিছুকাল কৃষকের দুৰ্গতির অবধি ছিল না । বণিকের আধিপত্য কৃত্রিম মূল্যবৃদ্ধির কারণ হইয়া দেশবাসীকে অকারণ কষ্ট দিয়াছে। যুদ্ধের সময় মালিক ও ব্যবসায়ীদিগের অন্যায্য লাভের আয়োজন আমাদের বৈষয়িক জীবনের অসহায় ও বিমূঢ় অবস্থার সাক্ষী । পল্লী-স্বরাজ উপায় কি ? উপায় এক। উপায় সহজও,—কারণ তাহা দেশের যুগপরম্পরার্জিত সমাজ-শাসন-শক্তিকে আশ্রয় ও অাধাররূপে পাইবে । তাহাই নূতন শিল্পের রাষ্ট্রের ও সমাজ-ব্যবস্থার একমাত্র স্বদৃঢ় পুরাতন কায়েমী ভিত্তি। জীবনোপায়ের পরনির্ভরত ও বণিকের কূটনীতি হইতে আত্মরক্ষা করিবার একমাত্র উপায়—সমবায় । গ্রামের জীবনোপায়ের ব্যবস্থ—কৃষি শিল্প ব্যবসা-সমবেত প্রণালীতে কর, জলসেচন, নদনদী সংস্কার, বনজঙ্গল পরিষ্কার ংঘবদ্ধ হইয়া কর । দুর্ভিক্ষের অনাহার নিবারণের জন্য যৌথ শস্তগোল স্থাপন কর ; গোজাতির উৎকর্ষ ও বীমার ব্যবস্থা কর ; শিক্ষা, ধৰ্ম্ম, আমোদ-প্রমোদ, বিবাদ নিম্পত্তি সবই পূৰ্ব্বেকার মত, গ্রাম পঞ্চায়েতের শাসনে ব্যবস্থ কর ;.বিলাসের দ্রব্য বর্জন কর ; আর যদি কলকারখানা 皺 tro-o দরকার হয়,স্বইজারলণ্ড ডেনমার্ক জার্মানীর মত ছোট ছোট তেল ও বাম্পের কল অথবা তাড়িত শক্তির সাহায্যে কুটিরে তাত চালাও, লোহা পিটে, কাঠ চেরো । এই উপায়ে এমন এক কৰ্ম্মঠ ফলপ্রদ সমবায়-সমাজ গড়িয়া উঠিবে যেখানে আমরা একটা নীরব নিৰ্ব্বিবাদ আত্মনির্ভর জীবনের নূতন সম্পদে ধনী হইব সৰ্ব্বগ্রাসী সভ্যতার ভিতরে থাকিয়াও আমরা তাহার শোষণ হইতে আত্মরক্ষা করিতে পাবিব, এবং নবীন ও প্রাচীন সভ্যতার সম্মিলনে জড়বিজ্ঞান ও ধর্মের একটা চূড়ান্ত মীমাংসার দিকে অগ্রসর হুইব । ইঙ্গতে যাই। আমাদের পল্লীসমাজের বিশেষত্ব,—সমূহের উন্নতিসাধনের জন্য এবতা ও সমবেত কাৰ্য্যাঙ্গুষ্ঠান—তাহ সঙ্কীর্ণ গ্রাম ও জাতি পঞ্চায়েতে ও ব্যবসায়ে আবদ্ধ না থাকিয়া জাতীয়তার বলবৃদ্ধি করিবে, এবং পল্লীর ক্লষক একটা প্রকৃত বৈজ্ঞানিক সামাজিক ও কার্যকরী প্রণালীর সঙ্গে সহজ ও সামাজিক ও ব্যক্তিগত পরিচয় লাভ করিয়া মানুষ হইয় উঠবে।" নূতন সমস্ত। কিন্তু এই যুগের নূতন সমস্যা আসিয়াছে মজুরের জীবনযাত্রা লইয়া। কলের কারখানায়, নীল ও চাবাগানে, কয়লার পনিতে মালিকরা অপ্রত্যাশিত লাভ করিয়াছে, কিন্তু মজুরের দুঃখের সীমা নাই। এদিকে যুদ্ধের ফলে আহাৰ্য্যাদির মূল্য প্রায় দ্বিগুণ হইয়াছে, কিন্তু মজুরী স অনুপাতে কিছুই বাড়ে নাই। একদিকে লোভের হঠকারিতা, অপরদিকে প্রতিঘাতের বিমুঢ়তা। তারম্ভ হইয়াছে এমন এক তুমুল সংঘর্ষ যাহার ফলে আমাদের যুগপরম্পরালব্ধ সামাজিক শান্তি একবারে স্বদূরপরাহত । তাই নূতন কথা উঠিয়াছে কাজ নাই কারখানায় ব্যবসা বাণিজ্যে, যে কলকারখানা ব্যবসা বাণিজ্য মানুষকে ক্রমাগত দ্বন্দ্ব ও কৃত্রিমতার দিকে লইয়া যায়,—সভ্যতার সে-সব ত বিকার। এই বিকারের কথাই আজ যেন সব অপেক্ষা বড় কথা বলিয়া প্রতীয়মান . . 爵