পাতা:প্রবাসী (দ্বাবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৭০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১ম সংখ্য ] ماهیها هم ۹عی میما میتوان به سه - ۹ مارسی মেয়েটির মুখ রাঙা হইয়া উঠিল। রজত বইখানি তুলিয়া তাহার হাতে দিতে সে লিছুর-মাখানে মুখে তাহাঁর দিকে চাহিল। রজত ধীরে বলিল,—এটা কি যোগেশ-বাবুর বাড়ী ? প্রশ্নটি অবখ্য নিম্প্রয়োজন, কেননা এটা ধে যোগেশ-বাবুর বাড়ী সে সম্বন্ধে কুলীর তাহাকে বার বার আশ্বাস দিয়াছে । কিন্তু ক্যঙ্গার ও সঙ্গি ত, বিশেষ তঃ কোন মেয়ের সঙ্গে কথা আরম্ভ করিতে হইলে, এই নিরর্থক নিম্প্রয়োজন কথাগুলিই সবচেয়ে কাজে লাগে । নতদৃষ্টিতে স্নিগ্ধকণ্ঠে মেয়েট বলিল,--ই । আপনি ? —আমাকে তিনি আসতে লিখেছিলেন, একজন আর্টিষ্টের দরকার ছিল না ? দীপ্তচক্ষে রঙ্গতের দেহ ও বেশভূষার দিকে চাহিয়৷ পরিচিতজনের মত বলিল,---ও, আপনি, আসুন । তারপর লজ্জাজড়িত চরণে ভেলভেটের চটিজুতোট। পরিয়া, কাকরে-লুটানো শাড়ীর আঁচলটা গেরুয়া-রংএর ব্লাউজের উপর টানিয় সে ধীরে অগ্রসর হইল। রজত চলিল, ঠিক তাহার পাশেও নয়, ঠিক তাহার পেছনে ও ={१ ।। স্নিগ্ধকণ্ঠে মেয়েট বলিল,—পুস্পুসে এলেন বুঝি ? –šį | রঞ্জতের দিকে ক্ষণিকের জন্য মুখ ফিরাইয়া মেয়েটি বলিল,—আমরা আপনাকে কাল expect করেছিলুম । তাহার দেহের গতিচ্ছন্দের দিকে চাহিয়া রজত হালিমাখানো স্বরে বলিল,—ও ! আবার রজতেরমুখ নিমেষের জন্য দেপিয়া লইয়া তরুণী বলিল,—বাবা ভাবলেন বুঝি এলেন না। তারপর রমলা বললে—বলিয়াই থামিষ গেল। একটু দ্রুতপদে চলিতে লাগিল । রজত তাখার পাশে আসিয়া পড়িল। নীরবে পথের আর-একটা বাক উঠিতে রজত পথের ধারের ক্রোটনের পাতাগুলিতে ইাত দিয়া বলিল,—ন্ডারি স্বন্দর ক্রোটনগুলে৷ ত, ক্লি সুন্দর গোলাপগুলোও —বলিয়া মেয়েটির মুখের দিকে চাহিল। মেয়েট আর-একবার রজুতের দিকে চাহিয়া বলিল, রমল৷ സാം . . -- - -- -- -- -- - -- -- 嘎 ৪৭° AA AMAeS MA AMAeeSeAe MAAA —ই, কাজীর ভারি ফুলের সপ, এই গাছগুলো ওর 2이 1 彎 ● চোখে চোখ রাপিয়া রজত বলিল,—ফুল - 一 ভালোবাসে । ' g নতদৃষ্টিতে মেয়েটি বলিল,—ই । বাকী পথটুকু আবার নীরবে কাটিল। বাড়ীর সিড়ির সম্মুখে আসিতেই স্মিতহাস্যে মেয়েটি রজতের দিকে চাঙ্গিয় বলিল,—ঙ্গাস্বন । তারপর দুষ্টজনে তিন ধাপ সিড়ি উঠিয় ফুলের টবগুলির পাশ দিয় বারান্দ পার হইয়। এক বড় হলপরে গিয়। প্রবেশ করিল । সেটি ড্রয়ি রুম। মেঝেতে সজ কার্পেট পাতা, দেওয়ালগুলে৷ নীল আর ছাদট। সোনালী-র'-কর, ছবি সোফ কোচ ইত্যাদি দিয়া ঘরট সাহেবী ফ্যাসানে সাজানে। বটে...কিন্তু চেয়ার টেবিল সব ভারতীয় শিল্পকলার নিদর্শন। ঘরের মাঝখানে এক সোফায় ছাই-রংএর স্কুট পরিয়| এক বলিষ্ঠ দীর্ঘাকৃতি বৃদ্ধ ভদ্রলোক হেলান দিয়া বসিয়া আছেন, আর. তাঙ্গার পাশে এক সিংহাসনের মত চেয়ুরে গেরুয়া রংএর আলখাল্লা পরিয়৷ এক প্রৌঢ় মুসলমান এক ফার্সী বই পড়িয়া শুনাইতেছেন। বৈরাগীর মত কোকড়া চুল তাহার ঘাড়ে ঝুলিয়া পড়িয়ছে ; কাচাপাকা দাড়ি খুব লম্বা নয়, খুব ঘন ও নয় ; চোখ দুইটি বাউলদের মত ভাসাভাস বেন কোন স্বপ্নলোকে স্থিত ; দেহ দীর্ঘ সুঠাম । মাঝে মাঝে দাড়িতে আঙ্গুল চালাইয়। মুসলমানটি ফাসী পড়িতেছেন আর তর্জমা করিয়া বুঝাইতেছেন। তাহারই ছিন্নটুকর কয়েকটি কানে আসিল— কাজীসাহেব ওমার খায়াম পড়িতেছিলেন— গোয়েন্দ, বেহেশখ-ই-ইদন বা-হুত্ব খুশস্ত, ; মন্‌ মী-গোয়েম্ কে আব-ই-আঙ্গুর খুশস্ত,। ই নকৃদ ব-গীর, ও দস্ং আজ, আঁ নসিয়াহ, ব-দার, ক-আওয়াজ-ই-ঢোল বরাদর আজ দূৰ্ব খুশস্ত, ॥ লোকে বলে—ইদন-স্বৰ্গ পরীর পন্থর খুশী-করা ; আমি বলি—আঙুরের রসই খুশী-করা। এই যা নগদ তাই চেপে ধরে, অfর হাত গুটিয়ে নাও ধারের কারবার থেকে ; ঢোলের আওয়াজ ভাই দূর থেকেই...: কাজী-সাহেব পড়িতে পড়িতে সহসা থামিয়া গেলেন