পাতা:প্রবাসী (দ্বাবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৭০১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

θ48 هة عتميحكيهيهيهيهية কুটিরশিল্প অধিকতর ফলপ্রদ হইলে তাহার অনেক স্বাভাবিক হুবিধাহেতু কারখানার সহিত প্রতিযোগিতায় সে সক্ষম হইবে । অপরদিকে জাৰ্ম্মানী বেলজিয়াম স্বইজারলণ্ডের মত ছোট ছোট কলকজি চালাইলে এখানে সমাজব্যবস্থার সমূহ-অাদর্শের প্রাবল্যহেতু কারখানার কার্য্যপ্রণালীতে শ্রমজীবীগণের দায়িত্ব ও শাসন এবং কারখানার মূলধনে ও লাভে অবশেষে তাহাদের স্বামিত্ব স্থাপনও খুব অসম্ভব নহে। তখন ব্যবসায়ের লাভ লোক্সান বণিক ও মালিক শ্রেণীতে কেন্দ্রীভূত না হইয়া প্রসার লাভ করিবে এবং সঙ্গে সঙ্গে ব্যবসায়ের বিভিন্ন শ্রেণীর সংঘর্ষ ও দ্বন্দ্ব বহুল পরিমাণে হ্রাস পাইবে । বর্তমান সময়ে দেশে মজুর ও মালিক, মালিক ও ব্যবসায়ীর মধ্যে স্বার্থবিনিময়ের ও সম্ভাব স্থাপনের নূতন প্রকার ভাবুকত চাই । কলচালনে সমূহের দায়িত্ব সে ভাবুকত আসিলে দেশের গ্রামে গ্রামে তাড়িত অথবা তেল ও বাষ্প-চালিত এঞ্জিনের সাহায্যে কলকারখানা প্রতিষ্ঠিত হইবে, সেখানে মালিকের অপেক্ষ সমূহেরই কৰ্ম্মকুশলতার মহিমা প্রকটিত হইবে। দেশের নানাস্থানে—নদীর ধারে, চাউলের হাটের কাছে, আকের ক্ষেতে—এখন এইরূপ শিল্পব্যবস্থার পরীক্ষার অভিনব প্রণালী চাই। এইরূপ আয়োজন হইলে ক্রমে পল্লীগ্রাম হইতে স্ববাতাস বহিয়া নগরের কারখানার আবহাওয়া বঙ্গলাইবে । এখন যেমন সেখানে মালিকের দুৰ্দ্দমনীয় লোভ ও মজুরের দায়িত্ববোধহীন বিদ্রোহ দেখা গিয়াছে, তাহার পরিবর্তে উভয়ের দায়িত্বজ্ঞান, আদান প্রদান রীতি ও ভবিষ্যৎ বিচার দেখা যাইবে । ক্রমে আসিবে মালিক ও মজুর শ্রেণীর ব্যক্তিগত অথবা সংঘবদ্ধ স্বার্থপরতাকে দমন করিবার জন্ত লাভ-লোক্সানের দায়িত্বে ও কারখানা পরিচালনে সকলের পাকা অধিকার,— কারখানায় স্বায়ত্ত শাসন। সকল শ্রেণী যাহাতে পরস্পরের ব্যথার ব্যর্থী হয় তাহার জন্য বর্তমান শ্রমিক ও মালিকের সম্বন্ধ এইরূপে নূতন করিয়া গড় চাই। শুধু শিল্পপ্রণালীতে নছে, উপযুক্ত বাসস্থান, উপযুক্ত খাদ্য, উপযুক্ত আমোদ প্রবাসী—ণ্ডাক্ট, ১৩২৯ [ २२° खांनं, >* थथ AAA AASAAASAAA MSMSMAMMAMeAMAAAS প্রমোদ ও শিক্ষারও ব্যবস্থা করিতে হইবে। কল মজুর ও মালিকের মধ্যে ব্যবধান দূর করিবে । শিল্প-স্বরাজ ইহাই ধনবিজ্ঞানের সহজ পথ এবং ইহাই সিদ্ধির পথ। মানুষ আজ কলের সাহায্যে মানুষকে অত্যাচার করিতেছে বলিয়া, মানুষ ও শিল্পর্বাবস্থার দোষ না দিয়া এবং বলের দোষ মনে করিয়া আমরা যদি শুধু হাতুড়ী রেত নেহাই লইয়া সন্তুষ্ট থাকি তাহা হইলে ইহা নিতান্ত হাস্যকর, দেশকালকে অগ্রাহ করার কাজ হইবে । তাহা আধ্যাত্মিকেরও বিপরীত হইবে । কারণ যে অধিকতর বিশ্রামের অবসর কলের ব্যবহার সাপেক্ষ তাহা না পাইলে জীবনটা শুধু জীৱনযাত্রার গণ্ডীর মধ্যেই আবদ্ধ থাকিবে, উচ্চতর জীবনের কোন স্বযোগই ঘটিব না। ভারতবর্ষের একান্নবৰ্ত্তী পরিবারভুক্ত ভূমি-ব্যবস্থায়, তাহার জাতি পঞ্চায়েতে ও ব্যবসায়ে, তাহার গ্রাম্য: শাসনে, তাহার সমাজ দল ও শ্রেণীর সমবায়ে, তাহার ধৰ্ম্ম ও সমাজবন্ধনে একটা স্বাবলম্বী সমূহভাব আছে বলিয়া আমার বিশ্বাস। এদেশে আমরা কলকারখানা এমন ভাবে আমাদের উপযোগী করিয়া গড়িয়া তুলিতে পারি যাহা আমাদের সমাজ-গ্রন্থি ছিড়া দূরে থাক তাহাকে নূতন করিয়া বুনিয়া ধনবিজ্ঞানের অব্যৰ্থ নিয়মচুসারে একটা সরল আত্মনির্ভর সমবায়-জীবনের স্বত্রপাত করিবে । আমাদের গ্রাম্য সমাজে ভূমির ব্যক্তিগত স্বত্বভোগ সমূহের কল্যাণে নিয়ন্ত্রিত। আমাদের পুষ্করিণী বাধ সাধারণের, আমাদের জলসেচন-নালী ও গোচারণভূমির উপর সাধারণের অধিকার । বিদ্যালয় ও মন্দিরের কাৰ্য্যকলাপে, গ্রাম্য জামোদ-প্রমোদের ব্যবস্থায়, বৃত্তি ব্রহ্মোত্তর ও দেবোত্তর দান প্রতিষ্ঠায়, আমরা সেই একই সমূহভাবের কার্য্যকারিত দেখি। তাহাকে কি আমরা বৰ্ত্তমান শিল্পপ্রণালীর ব্যবস্থায় নিয়োজিত করিতে পারিব না, যাহাতে শিল্প অত্যাচারী না হইয়া সমাজের সেবক ङ्ग्न ? তবে শিল্পপ্রণালীতে মজুর ও মালিকের সম্বন্ধ সমগ্র সমাজের কল্যাণকল্পে নূতন করিয়া গড়িয়া তুলাই