পাতা:প্রবাসী (দ্বাবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৭১০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৫ম সংখ্যা ] অারোগ্য-দিগদৰ্শন ৬৬৩ প্রচার করিয়াছেন, তাহ। সমাজের বানান অবস্থায় সৰ্ব্বসাধারণের প্রথা নাই। টীকা লইয়। ত আমরা অন্য জীবের রক্ত পান করিয়া গ্ৰাহ্য হইতে পারে ন থাকি, তাহীও অাধা পচা বস্তু যাহার। বাস্তবিক ঈশ্বর-ভক্ত সংযম সম্বন্ধে তিনি অতি যুক্তিপূৰ্ণ সারগভ উপদেশ প্ৰদান তাহারা যদি সহস্ৰ বার বসন্ত ৰোগে অাঁকা হয় এবং যদি মৃত্যু করিয়াছেন । আহার, বিহার, নি। প্ৰভৃতি আমাদের প্রাত্যহিক মুখেও পতিত হয়, তথাপি এই পচ রক্ত পান করিতে স্বীকৃত হইবে প্ৰত্যেক কাৰ্য্যই সংবম পালনের বিশেস অবশ্যকতা ও সুফল প্ৰদৰ্শন ন । টীকা লণ্ডয়ায় ধৰ্ম্মশ্ৰষ্টও হইতে হয় রিয়াছেন। বীর সহিত ব্যবহার সম্বন্ধে মহাত্মা গান্ধী নিজ অভিজ্ঞত । বসন্ত রোগ নিবারণের একমাত্ৰ উপায় ইংরেজী টীকা লওয়া । হইতে যে-সকল উপদেশ প্ৰদান কবিয়াছেন, তাহা প্ৰাচীন আৰ্য্য দেশের সাধারণ লোকে অজ্ঞানতা ও কুসংস্কার হেতু টীকা লইতে চাহে না ঋষিগণের প্রচারিত এবং তাহার পালন প্ৰাচীন হিন্দু সমাজে অবশ্য- বলিয়া ভারতবর্ষে বসন্তের এত প্ৰাদুৰ্ভাব এবং এত অধিক সংখ্যক লোক কৰ্ত্তব্য বলিয়া বিবেচিত হইত । অঙ্গ সংযমের অভাবে আমাদের এই রোগে আক্ৰান্ত হইয়৷ মৃত্যুমুখে পতিত হইয়া থাকে অথবা তাহাঁদের সমাজ বিবিধ ব্যাধি, শোক ও দরিদ্রতার প্রবল চাপে নিপীড়িত । চক্ষু নষ্ট হইয়া যায় । মহাত্মা গান্ধীৰ মুখ হইতে টীকা বিরুদ্ধে এই মহাত্মা গান্ধী যথাৰ্থই বলিয়াছেন যে স্বাস্থ্যরক্ষার বহু উপায় থাকিলেও ভ্ৰান্ত মত প্ৰচারিত হইলে মহা অনিষ্ট সংwটিত হইবার কথা । ব্ৰহ্মচৰ্য্যই তন্মধ্যে সৰ্ব্বপ্ৰধান । শ্ৰীই হউন, আর পুরুই হউন, “প্ৰসব সম্বন্ধে তিনি যে-সকল হিতোপদেশ দিয়াছেন, তাহ ব্ৰহ্মচৰ্য্য ব্যতীত কাহারো সুস্থ থাকিবা কোন সম্ভাবনা নাই। প্ৰত্যেক সমাজহিতৈী ব্যক্তি প্ৰণিধানযোগ্য । সহরের স্ত্ৰীলোকগণ তিনি বলিয়াছেন —“বালক পিতা ও বালিকা মাতার সন্তান জন্মিলে অস্বাভাবিক ও অলস জীবন বহন করে বলিয়া তাহারা প্ৰসব-কালে আমরা কত মঙ্গলগীত গান করি, কত উৎসবের অনুষ্ঠান ও ভগ- অনেক সময়ে অত্যন্ত কষ্ট পাইয়া থকে এবং সময়ে সময়ে তাহাদের বানের জয়গান করিয়া থাকি । কি ভীষণ মুৰ্থতা ! চিন্তা করিলে জীবন-সংশয় হয় । মহাত্মা গান্ধী বলেন যে অস্বাভাবিক ভাবে জীবন বিস্ময়াপন্ন হইতে হয়। পাপ দুর করিবার উপায় কি ? বাত্ৰ নিৰ্ব্বাহ ব্যতীত প্ৰসব-কষ্টের স্কার একটি প্ৰবল কারণ বিদ্যমান আমরা সৰ্ব্বাস্তঃকরণে মহাকার এই মহাবাকের সমৰ্থন করিতেছি । রহিয়াছে প্ৰকরে ইন্দ্ৰিয়-সংযম প্ৰত্যেক নরনারীর অবশ্যপালনীয় । বয়সেই গৰ্ভধারণ এবং প্রসবাস্তে পুনরায় গভধারণ ব্যাপার প্ৰাচীন ভারতীয় সভ্যতার মুলে এই সনাতন সত্য অবস্থিত । ইহাই যে পয্যন্ত দেণ হইতে বিদূরিত না হইবে, সে পৰ্য্যন্ত সুখ-প্ৰসবে অাশ যে কোন জাতির শারীরিক, মানসিক এবং অধ্যাক্সিক উন্নতিলাভের দুপরী ত একমাত্ৰ উপায় আমরা বলি যে কেবল সুখ-প্ৰসব নহে, যতদিন পৰ্য্যন্ত এই সকলেই জানেন যে মহাত্মা গান্ধী যে-কোন প্ৰকা মাদক অনাচারের নিবাৰণ না হয়, ততদিন পান্ত এই পতিত জাতির মধ্যে দ্রব্য ব্যবহারের সম্পূৰ্ণ বিরোধী । তিনি মাদক-সেবনের বিরুদ্ধে বলীয়াশালী দীৰ্ঘজীবী সন্তানদন্ততি জন্মগ্রহণ এবং দারিদ্র্য দুর করিবার পুস্তকে ধে মত প্ৰকাশ করিয়াছেন, সমাজহিতৈষী নীতিপরায়ণ অাশা দুরাশায় পৰ্য্যবসিত হইবে । ব্যক্তি মাত্ৰেই তাহার সম্পূৰ্ণ সমৰ্থন করিবেন সন্তানের শিক্ষ গান্ধী বলিয়াছেন যে “শিক্ষ “বায়ু চিকিৎসা .” “জল চিকিৎসা, ” “মুক্তিকা চিকিৎসা” প্ৰভৃতি বালকের জন্ম হইতেই আরম্ভ হইয়া থাকে, একথা সৰ্ব্বদা স্মরণ বিবিধ প্ৰণালীর চিকিৎসা সম্বন্ধে তিনি অল্প বিস্তুর লিথিয়াছেন । রাখিতে হইবে । মাত৷ পিতাই বালকের উত্তম শিক্ষক মাত মৃত্তিকা চিকিৎস একটি অভিনব ব্যাপার ; এবিষয়ে আমাদের কোন পি র স্বাবে অী বাকে স্বভাব হইয়া থাকে অভিজ্ঞতা নাই বলিয়৷ ইহার সম্বন্ধে কোন প্রকার মত প্ৰকাশ কর বিদ্যালয়ে পাঠাইলেই যে সন্তান স ত্ৰ হইবে, এ আশা করা থ সঙ্গত নহে জল ও বায়ু, চিকিৎসার প্রকরণ সম্বন্ধে সকল স্থলে সদাসৰ্ব্বদা সৎসঙ্গ করাই সচ্চরিত্ৰতালাভের একমাত্ৰ উদয় । গৃহের ও তাহর সহিত একমত না হইলেও এবং মহাত্মা গান্ধী স্বয়ং চিকিৎসক ন বিদ্যালয়ের শিক্ষা যদি বিভিন্ন প্রকারের চয়, তাহা চইলে কখনই হইলেও, হার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার যে বিশেষ মূল্য আছে, তাহা বালকের চরিত্ৰ সংশোধিত হইবে ন আমরা স্বীকার করিতে বাধ্য । এই গ্রন্থে এমত কতিপয় মত প্ৰচারিত হইয়াছে, বা বিজ্ঞান বসন্ত রোগে টীকা লইবার বিরুদ্ধে তিনি যে-সকল যুক্তি-তকের সন্মত নহে, সুতরাং তাদের অনুমোদন করিতে পারা যায় ন অারও অবতারণা করিয়াছেন, তাহা ইংলওর সম্প্ৰদায়-বিশেষের অনুমোদিত এমন কতকগুলি মত অাছে সাহ৷ সমাজের সমান অবস্থার উপসাগী হইলেও আমরা তাহ। ভ্ৰান্ত বলিয়া প্ৰতিবাৰ করিতে বাধ্য এবং নহে, সুতরাং তাহাদিগেরও সমৰ্থন করিতে পারা যায় না । কিন্তু প্ৰয়োজন হইলে ঐ ক্ৰান্ত মতের বিরুদ্ধে যথেষ্ট বিশ্বাস্ত প্ৰমাণ অধিকাংশ উপদেশই স্বাস্থ্যরক্ষ।. এবং নৈতিক ও অধ্যায়িক জীবন প্ৰদৰ্শন করিতে সমৰ্থ। মহাত্মা গান্ধী টীকা লওয়া সম্বন্ধে যে-সকল । লাভের পক্ষে অনুকুল, ধ “রাং তাঁহাদের আলোচনায় দেশের মহপকার অনুদার মত প্রচার করিয়াছেন, অামাদের বিশ্বাস যে ভারতবযের সাধিত হইসে পাঠক পাঠিকা। গ্ৰ পাঠে উপকার লাভ করিবেন মত দেশে উহা প্ৰচারিত হইলে সঁমাজের বিশেষ অনিষ্ট হইবার সম্ভাবন অনুবাদে ভাষা সরল ও সুবোধ্য । গ্ৰন্থের কাগজ ও ছাপা সুবিধা তক্ষপ্ত আমরা ইহার তীব্ৰ প্ৰতিবাদ করিতেছি । তিনি বলিয়াছেন নহে । গ্ৰন্থ অনেক ছাপা ভুল রহিয়া গিয়াছে, আশা করি দ্বিতীয় যে টীকা লওয়া নেহাত জংলী প্ৰথা । ইহা এমনই একটি কুসংস্কার সংস্করণে এসকল ক্ৰটাের সংশোধন হইবে। যে ধাহাদিগকে অমৰা বহু অসভ্য বলি, তাহদের মধ্যেও এরুপ শ্ৰী চুণীলাল বহু