পাতা:প্রবাসী (দ্বাবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৭৭৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

१२७ AASAASAAAS AAASASAAAAAS AAASASASS এই তিন মাস কাল স্বৰ্য্যের আলো বালিকার লতা-ঘেরা স্থানে কোনো রকৃমেট প্রবেশ করিতে পাইত না। লোকের ধারণা ছিল, যদি কোনো রকমে সুৰ্য্যের আলোর এক টুক্‌রা বালিকার দেহে লাগে, তবে তাহার নাক পচিয় যাইবে । তিন মাস কাল পূর্ণ হইলে বালিকাকে নিকটের কোনো একটা ঝরণাতে লইয়া যাওয়া হইত। তাহাকে ঘাড়ে করিয়া বা অন্য কোনো রকমে বহন করিবার প্রথা ছিল, কারণ বালিকার পা মাটি ছুইতে পাইত না । এইখানে বালিকার অঙ্গ হইতে সমস্ত বস্ত্র এবং গহনা খুলিয়া লইবাব পর, ঐ দুই বৃদ্ধ এবং বালিকা ঝরণার জলে অবগাহন করিত । গ্রামেব অন্যান্ত নারীরা বালিকা এবং তাহার সেবিকাদ্বয়ের গায়ে অঞ্জলি করিয়া জল ছিটাইত। - স্নান শেষ করিয়া বালিকা নানা রকম লতা-পাতার বস্ত্রে এবং দেশীয় অলঙ্কারে ভূষিত হইয়া গ্রামের ভোজে আসিয়া যোগদান করিত । ভোজ শেষ হইলে পর বালিকা অন্য দশ জন নারীর মত গ্রামের সব কাজে সমান অধিকার লাভ করিত। বালিকা যে নারীত্বে উপনীত হইয়াছে তাহার পরিচয়-স্বরূপ তাহার বুকে ইংরেজী V অক্ষরের ন্যায় উদ্ধি কাটা হইত। বিবাহ করিবার পূৰ্ব্বে যুবতী নারী প্রথমে তাহার মনোমত কোন যুবকের সৃহিত প্রণয় করিত। অবশ্য কোনো যুবক যদি কোনো যুবতীর প্রেমে পড়িত তবে সে গ্রামের নাচে গানে ও অন্তান্ত নানা কাজে সব সময় বাহাদুরী লাভের প্রয়াসে থাকিত । শাস্তির সময় এই পদ্ধতিতে যুবক কোনো বিশেষ যুবতীর মনোরঞ্জনের চেষ্টা করিত। কিন্তু অশান্তির সময় যুবক যদি কোনো রকমে একটা মড়ার মাথার খুলি জোগাড় করিতে পারিত তবে তাহার ভালবাসার পাত্রী তাহার প্রেমে না পড়িয়া আর থাকিতে পারিত না । কারণ মাথার খুলি জোগাড় করা যার-তার কৰ্ম্ম নয়—প্রকাণ্ড বীর না হইলে কেহই তাহা পারে না। যুবতীর মন হরণ করিবাব আরো একটা উপায় ছিল—যুবক নারিকেল তেলের সঙ্গে নানা রকম গাছ-পালার রস মিশাষ্টয়া এক রকম গন্ধ-তৈল প্রস্তুত করিত। এই গন্ধ-তৈল মাখিয় সে যুবতীর সাম্নে ঘুরিত । ভেলের চমৎকার গন্ধে যুবতীর মন একেবারে প্রবাসী—ভাদে, ১৩২৯ SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS [ ২শ ভাগ, ১ম খণ্ড পাগল হইয়া যুবকের দিকে ছুটিয়া যাইত, তাহার পরে সেই যুবতী একগাছা ফুলের মালা যুবকের কাছে পাঠাইত-এই মালা দেওয়াব অর্থ যুবককে পাণিগ্রহণে আহবান করা। মালা বহন করিত যুবতীর বোন বা অন্ত কোনো নিকট সম্বন্ধীয়া আত্মীয়া। রাত্রে বন্ধু-বান্ধব সকলে নিদ্রিত হইলে পর-যুবক ধীরে শয্যা ত্যাগ করিয়া প্রেমিক যুবতীর কুটীরে হাজির হইত। কিছুকাল এই রকম ভাবেই চলিত। দিনের বেলায় যুবক নানা কাৰ্য্যে যুবতীর পিতার সাহায্য করিত। কন্যার পিতা সমস্ত জানিয়া শুনিয়াও কিছু না-জানিবার মত ভাব দেখাইত । তারপর যখন কথাটা পাকা রকমে কন্যার পিতার কানে আসিল, সে রাগ করিত না । কিন্তু কন্যার মাতার প্রধান কর্তব্য ছিল একটা বিকট রকমের গোলমাল করা। ক্রমশ বরপক্ষে এবং কন্যাপক্ষে বেশ একচোট ঝগড়ার মত হুইত, তাহার পর সামান্ত রক্তপাত হইলেই কন্যার সম্মান বজায় থাকিত । এই-সমস্ত প্রাথমিক কাণ্ড শেষ হইলে পর বিবাহ পাকা রকমে হইত। বর এবং কন্যা নানা রকম সাজে সাজিয়া একটা মাতুরে সামন-সামনি বসিত । নানা -প্রকার উপহারাদির আদানপ্রদান শেষ হইলেই বর-কন্যা আহার করিত—বাস, তাহার পর হইতেই তাহারা স্বামী-স্ত্রী । - টরেস ষ্ট্রেটে সেবাই ( Saibai ) দ্বীপে কোনো নারীর প্রথম সন্তান হইবার পূৰ্ব্বে একটি মজার অনুষ্ঠান প্রচলিত ছিল । নারীর গলায় সাগু-পাতার তৈরী একটা পুতুল বা গুটিক ঝুলাইয়া দেওয়া হইত। বঁাশের কাঠামোর উপর এই পুতুল বা গুটিক তৈরী হইত। যে দুটা স্থতা দিয়া গুটিকা বা পুতুল গলায় বাধা থাকিত, তাহা পুতুলের হাত । আর যে দুটা দড়ি দিয়া কোমরে বাধা থাকিত তাহা পুতুলের পা। পুতুলটা ২০ ইঞ্চি লম্বা। এই পুতুল গলায় ঝুলাইয়া ভাবী মাতা গ্রামের আর-সকল নারীদের সঙ্গে উৎসব করিতে করিতে গ্রামের চারিদিকে ঘুরিয়া বেড়াইত । ইহাতে গ্রামের সকলেই জানিতে পারিভ যে তাঁহাদের গ্রামে অচিরে একজন নূতন লোক আসিতেছে । গ্রামবাসীরা ইহাতে আনন্দিত হইয়। উঠিত।