পাতা:প্রবাসী (দ্বাবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৮২০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

-৫ম সংখ্যা ] বিরোধ ট্রং স্কালি প্রবল ভাবে বিদ্যমান, তাহ আইনলক্ষনের যোগ্য স্থান নহে। যেখানে "অস্পৃশ্যতা” মাছে, তৃথায় একদল লোক অবজ্ঞাপীড়িত থাকায় অবজ্ঞা.কারীদের প্রতি মৈত্রীভাবাপন্ন নহে, ইহা সহজবোধ । স্বতরাং সাম্প্রদায়িক বিরোধ ও মনোমালিন্যের এবং “অস্পৃশ্যতা"র অস্তিত্ব আইনলঙ্ঘনের যোগ্যতার অভাব প্রমাণ করে । @ স্বদেশের কল্যাণের জন্য র্যাহারা আইনলঙ্ঘন করিয়া - জেলে যাইতে ও অন্তবিধ নানা দুঃখ সহ করিতে বাস্তবিক প্রস্তুত, বিলাসিত ত্যাগ করিয়া খন্দর উৎপাদন ও ব্যবহার নিশ্চয়ই র্তাহাদের পক্ষে সহজ কাজ। যাহার এই অপেক্ষাকৃত সহজ কাজ করিতে পারেন না, যাহাঁদের ইহা করিবার মত ধৈৰ্য্য ও আত্মসংযম নাই, তাহারা ধীর শাস্তভাবে দীর্ঘকাল ধরিয়া আইনলঙ্ঘনের আনুষঙ্গিক সকল দুঃখ সহ করিতে পারিবেন, ইহা বিশ্বাস করা যায় না। পদ্ধর উৎপাদন ও ব্যবহার আইনলঙ্ঘনের যোগ্যতার অন্যতম প্রমাণ, এরূপ মনে করিবার ইহা একটি কারণ। তদ্ভিন্ন, বাণিজ্যিক ও আর্থিক স্বাধীনতা স্বরাজের একটি প্রধান অঙ্গ। অমরা খদর দ্বারা এই স্বাধীনতা কতকটা লাভ করিতে পারি। এবং ইহা যতটা কেবলমাত্র জামাদের চেষ্টার উপর নির্ভর করে, রাজনৈতিক স্বরাজ লাৰু ততটা কেবলমাত্র আমাদের চেষ্টা "পেক্ষ নহে ; উহাতে অন্যের সম্মতিও চাই। যাহা প্রধানতঃ আমাদের চেষ্টাসাপেক্ষ, তাহা যদি আমরা করিতে না পারি, তাহা হইলে যাহা অন্যেরও সম্মতিসাপেক্ষ, তাহা কেমন করিয়া লাভ করিব ? স্বরা ও অন্যান্ত মাদকদ্রব্য ত্যাগ ও তাহার বিক্ৰী বন্ধ করা রাজনৈতিক স্বরাজ লাভ করা অপেক্ষা সহজ কাজ । ইহা যদি দেশের লোকে করিতে না পারেন, তাহা হইলে র্তাহারা কি প্রকারে স্বরাজ লাভ করিবেন ? দেশবাসী সকলের “স্ব”-রাজ পাওয়ার মানে এই, যে, সকলে নিজের নিজের গ্রন্থ হইয়াছেন। কিন্তু দেশের বিস্তর লোক যদি নেশার বশ থাকে, তাহা হইলে "বু"াজের পরিবর্তে নেশা-রাজই অনেক স্থলে প্রতিষ্ঠিত থাকিবে । অধিকন্তু শান্তও নিরূপত্ৰৰ আইনজন প্রচেষ্টার জন্ত দেশব্যাপী বিবিধ প্রসঙ্গ-লয়েড জর্জের বস্তৃত৷ 够 ‘૧૧o: MAeMASAMAMAMMAeeAeSAAAAAASAAAA যে শাস্ত সংযত সাত্ত্বিক অবস্থার প্রয়োজন, স্বরা ও অন্যান্ত মাদক দ্রব্যের প্রচলন থাকিতে তাহা সৰ্ব্বত্র সম্ভব নহে । লয়েড জর্জের বক্তৃত৷ সম্প্রতি বিলাতের পালেমেণ্টে ভারতীয় সিবিল সার্বিসের চাকুরিয়াদের দুঃখ ও আশঙ্কার কথা আলোচিত হয়। র্তাহাদিগকে আশ্বস্ত করিবার জন্য প্রধান মন্ত্রী এক বক্তৃত করেন। তাহাতে তিনি বলেন, যে, ভারতবর্ষে আর যত পরিবর্তনই হউক না কেন, সিবিল সার্বিস্ ও তাহাতে ইংরেজের চাকরী এবং ইংরেজ त्रिलिङ्गानग्नत्र अङ्ग्रतः। ও অধিকার অক্ষুণ্ণ থাকিবে । তিনি ভারতশাসন-সঞ্জার আইন এবং তদনুযায়ী সমুদয় ব্যবস্থাকে একটা এক্সপেরিমেন্ট, বা পরীক্ষা বলেন। অর্থাৎ যদি ভারতীয়ের ইংরেজদের মনের মত ব্যবহার করে, তাহা হইলে এই আইন অনুসারে কাজ চলিতে থাকিবে, যদি তাহা না করে, তাহা হইলে ব্রিটিশ জাতি ভারতীয়দিগকে “পুনমূৰ্ষিকে ভব” বলিবেন । কিন্তু তাহার বক্তৃত৷ হইতে ইঙ্গ বুঝা যায়, যে, আমরা • যেরূপ ব্যবহারই করি না কেন, ইংরেজরা কোনকালেই আমাদের হিত করিবার দায়িত্ব ত্যাগ করিবেন না। অর্থাৎ আমরা নিজেরাই নিজেদের মঙ্গলের ব্যবস্থা করিবার উপযুক্ত কখনও হইব না, চিরকাল নাবালক থাকিব, নিজেদের 'দেশের কাজ চালাইবার দায়িত্ব পাইবার ও লইবার ধোগ্য কথন হুইব না, ইংরেজ চিরকালই আমাদের হিত করিতে থাকিবেন! অথচ মডারেটরা বুঝিয়াছিলেন, যে, শাসনসংস্কার আইন কালক্রমে নিশ্চয়ই ভারতবর্ষকে কানাডা ও অষ্ট্রেলিয়ার মত আত্মকর্তৃত্ব আনিয়া .দিবে, এবং তখন ইংরেজ সিবিলিয়ানদের প্রভুত্ব থাকিবে না। এ বিষয়ে সম্ভবতঃ মডারেটদের ভ্রমই হইয়াছিল। কারণ, যুদ্ধের সময় ভারতবর্ধকে ঠাও রাখিবার জন্ত ভারতশাসন আইন সংস্কার করা হইয়াছিল, এবং অনেক স্তোকবাক্য বলা হইয়াছিল। হইতে পারে, যে, মণ্টেগুর এরূপ প্রবঞ্চনার অভিসন্ধি ছিল না ; किरू মন্ত্ৰীসভার অন্য সড়োর রাজনৈতিক চাল চালিয়াছিলেন, তাহাতে সন্দেহ নাই। ইংরেজ গবৰ্ণমেন্ট ফেজনীকার