পাতা:প্রবাসী (দ্বাবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৮৩৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

سbس۹b ভিতর আমাদেরও স্থান আছে একথা ভাবলে অনেকটা আরাম পাওয়া যায় নিঃসন্দেহ । কিন্তু সে অধিকার কি সকলের জন্মেছে? আমরা জ্ঞানী বলে ভাবছি যে মানুষ বুঝি শুধু Histi c5f4 gx gyrffi nervous system বা স্নায়ুমণ্ডল দিয়ে রচিত হয়েছে—এত বড় অলীকতাকে আজকাল মনস্তত্ববিদরাও প্রত্যাখ্যান করছেন। শরীর ও মনের parallelism বা পরস্পর-সাপেক্ষতা একট। উদ্ভট কল্পনা । মনের লীলা শরীরকে পদে পদে ছাড়িয়ে যায়— প্রফেসর বার্গসে। বার বার একথা দেখিয়েছেন । কাজেই চাক্ষুষ সত্যের পরিমাপের উপর মনের আনন্দ ও বেদন মোটেই নির্ভর করে না। আমরা জ্ঞানী বলেই রসজ্ঞ বা রসবিদ বেশী, একথা বলা কম শক্ত নয় ; এবং স্থষ্টির রূপরসগন্ধের সন্ধিস্থল হতে সৌন্দর্য্যের যে অফুরন্ত উৎস উদ্বেলিত হয়ে উঠছে প্রতি যুগেই তার বহন ও অনুভবের ক্ষমতাকে বার বার পরাজয় মানতে হচ্ছে। সৌন্দৰ্য্য, স্বষ্টি অগ্রদূতের মত স্বন্দরের পতাকা বহন করে এগিয়ে চলেছে, মানুষও সে মায়ামৃগের পিছনে ছোটে। আশ্চর্য্যের বিষয় শত শত বুৎসর পরেও তার এই রম্য প্রয়াণ তাকে ক্লান্ত করে নি, তাকে আশ্বাস ও আনন্দ দিয়েছে, তাকে স্বস্থ ও সজীব করে নিত্যনূতন রূপলোকের বিভ্রম এনে তা ক্রমশ: সত্যোপেত করে তুলেছে। প্রতিমুহূৰ্বেই সৌন্দর্ঘ্যের সংস্পর্শ এই পরম রমণীয় অভিযানের ভিতর দিয়ে স্থষ্টিকে বিকশিত করছে— ‘ স্বষ্টির কণ্ঠে রূপমাল্য দান করছে। প্রতি পলকে মানুষ ধাতার কুহেলি-কৌতুকে এই রসাভিনয়ে চরিতার্থ হচ্ছে । কিন্তু যা লীলা, তার ভিতরকার রসসমাবেশ ও রসাস্বাদ এক অনিৰ্ব্বচনীয় আকর্ষণেই হয়ে থাকে— তা মূলে যে পরমলোকের সহিত যুক্ত তার সঙ্গে সব সময় বৈজ্ঞানিক বোঝাপড়া হয় না । এজন্য রসাস্বাদেও নানা অন্তরায় ঘটে উঠে। আজকাল পশ্চিমে ললিতকলার যে কয়েকটা রম্য স্বষ্টি হয়েছে—সে সম্বন্ধেও এ কথা বলা চলে। কবিতায় আর্ট বস্তুনিরপেক্ষ হয়েছে—ছনের রূপ-মাধুর্ঘ্যে নানা ভাবের বায়বীয় রামধন্থ চিত্তফলকে বিম্বিত করা হচ্ছে—সঙ্গীতে প্যাটারণ, মিউজিক ভেঙে এয়াগনার যার স্বত্রপাত করে’ প্রবাসী—আশ্বিন, ১৩২৯ AASAASAASAASAASAASAASAA AAAA AAAAM AeMMAee eMA AMA SAAMAAA SAAAA SAS A SAS SSAS SSAS SS SAAAAAA AAAA AAAAMAMMAMAee ee eS See AAAA SAAAAAS AAAAA AAAA SAA AAAASS SAA AAAS [ ২২শ ভাগ, ১ম খণ্ড গেছেন, ষ্ট্রাওস ও Lisz প্রভৃতি তাকে অবিভাজ্য লোকোত্তর অনির্দিষ্টতার ভিতর নিয়ে গেছেন। চিত্রে ঝাণ্ডিনস্কী ( Kandinsky ) অরূপলোককে রূপলোকের রম্যমঞ্চে প্রতিষ্ঠা করার স্পৰ্দ্ধা করেছেন। আর্চিপেন্ধে৷. (Archipenko ) ভাস্কর্য্যে সে চাক্ষুষ অরূপতার ললিত রূপকে খোদিত করতে সঙ্কোচ করেননি। এ-সব হয়েছে বলে’ যারা বিচার ও তর্কের ভিতর দিয়ে দুনিয়াকে দেখতে চায় শিল্পীরা আজ তাদের অপ্রিয় হয়েছে। কাণ্ডিল্‌স্কার spiritual impressions &l of Jifo ojo, ixternal harmonies i arstoffer RH, psychical effects ql wViolzugal, soul vibration &l Wojtoপুলক আজ না জ্ঞানীর না রসার্থীর প্রিয় হতে পেরেছে। জনতার অশ্ৰদ্ধায় আর্চিপেস্কোর রূপলোকও আজ ক্লান্ত হয়ে ললাট কুঞ্চিত করে আছে। এ যুগের ভূতত্ত্ব জীবতত্ত্ব প্রভৃতি বিশ্বতত্ত্বাদি যদি আর্টের উপর ভ্রুকুটি করে তবে অধ্যাত্মতত্ত্বও বাদ যায় কেন ? রাসেল ( Russel ) ও (Wright ) রাইটের বর্ণস্তরবিধি ত মুকুলেই অকুল পাথারে ডুবেছে। আজ এ-সব বহন করার দুর্যোগ কি অসামান্তই হয়ে পড়েছে ! উরোপ যেমন এশিয়ার সংস্পর্শে জেগেছে, তেমনি এশিয়ার শিল্প-লোক ও উরোপের সম্ভঘাতে একটা সদ্য বিকাশের মহিমা পেয়েছে। কিন্তু সে রচনাও কি পরিপূর্ণ সার্থকতার ভিতর দিয়ে যেতে পারছে ? অজস্তার অপূৰ্ব্ব ও অকুষ্ঠিত কলা আজ বিচার করে বিজ্ঞতার চশমা দিয়ে দেখতে হচ্ছে। অধ্যাপক ফুসে সে-সবের মানে বার করতে যতটা পরিশ্রম করেছেন, রসাস্বাদ তার সামান্য কণাও করেছেন কি না সন্দেহ। দেশের হৃদয়ের সহিত মমি বা মিউজিয়মের যতটা যোগ, অৰ্দ্ধ অন্ধকারে স্তিমিত দিবালোকে দুলক্ষ্য সে অপূৰ্ব্ব সৌন্দৰ্য্যস্বপ্ন তার চেয়েও দুজ্ঞেয় ও দুবোধ্য হয়ে পড়েছে। চিরকালই হয়ত এমনিভাবে চলে এসেছে 1. ཨ་ শুধু একুল ওকুলের বোঝাপড়ার কথা নয়, এদেশের ওদেশের বলে এটা ওটা যে দুৰ্ব্বোধ্য তাও নয়। এদেশ ওদেশ যখন কোথাও বা এক-জায়গায় মিলেছে তখনও • যে সৌন্দর্ঘ্যের টানকে নিঃসঙ্গভাবে কেউ ওজন করেছে তা